আজ সারা পৃথিবীটাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিরাট পরিবার৷ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্যে প্রায় সব দেশের ভাগ্য যাদের হাতে তারা যেন সবকিছু বুঝেও ক্ষমতার মোহে অহমিকার দাস হয়েই একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতেছে আর গণতন্ত্রের গণতন্ত্রের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে রাজনৈতিক ভণ্ডামীতে আত্মঘাতী কাজে মত্ত৷ তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই পৃথিবীর বুকে যে এক বিরাট ভূখণ্ড এশিয়ার বুকে আছে সেই অতীতের, ভারতবর্ষ, তাকে সেই অহংকারে মত্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংরেজ নিজেদের স্বার্থে কুৎসিত সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করে দুটো দল সেই কংগ্রেস ও মুসলীমলীগের দুই দল কে দুটো দেশ উপহার দিয়ে গেল৷ দেশভাগ হলো বটে কিন্তু দু’দলের ঘৃণা ও বিদ্বেষ গেল না! ভারত কিন্তু সংবিধানের মাধ্যমে সেই গণপরিষদ দেশকে ঘোষনা করলো ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কারণ এই দেশের জনগণ এর সংখ্যা বহুভাষাভাষী বহু ও ধর্মমতের মানুষের তাই গণতন্ত্রটাকে নামাবলির মতো গায়ে জড়িয়ে রাখলো যাতে সেই সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া না দেয়৷ কিন্তু মুসলমানরা পাকিস্তান নাম দিয়ে ইসলাম ধর্মমতকে প্রাধান্য দিল! তাই জন্মের পরই পাকিস্তান ইচ্ছাকৃত ভাবে ভারতের সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেই লড়াই করে প্রায় তিনবার৷ কিন্তু অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে ভারত সেই লড়াইকে নিয়ন্ত্রণ করে বুঝিয়ে দেয় যে পাকিস্তান সংযত হোক৷ কে কার কথা শোনে এদিকে বাংলাদেশ যে এলাকা সেই এলাকাই হলো দু’টুকরো! বাঙলার দিকে কংগ্রেস এর কোন নজরই ছিল না সেই জওহরলাল নেহেরু দলেরই৷ নেতাজী মোটেই চাননি অখণ্ড ভারতবর্ষ এইভাবে ভাগ হয়ে যাক৷ তাই বাংলাকে ধবংস করাটাই ছিল কংগ্রেসের লক্ষ্য!
আর এই বাংলাদেশের কংগ্রেস নেতারাই কেমন দেশনেতা ছিলেন? তবে ইতিহাস থেমে থাকে না তাই উর্দুভাষাই হলো কাল পূর্ব পাকিস্তান রাজ্যের! স্মরনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী সেই বঙ্গ বন্ধু ভাষা আন্দোলন করে পূর্ববাংলার নাম বাংলা দেশ করে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে সারা পৃথিবীতে এক মানবতাবাদী দেশ নেতা হয়ে রহিলেন ইতিহাসে! অতি দুঃখের কথা হলো আজ সেই মহান বাংলাদেশ এমন এক অন্ধ উগ্রপন্থী ইসলামিক দল যে কাণ্ডটা ঘটাচ্ছে অন্তবর্ত্তীকালীন শাসনে সেটা কিন্তু সারা পৃথিবীর সংবেদনশীল মানুষজন চাইছেন না৷ তাই প্রায় সব দেশ প্রতিবাদে মুখর৷ কারণ বর্তমান সভ্যদেশের মানুষজন তাদের ভাষা ও ধর্ম আলাদা হলেও তাঁরা এই অখণ্ড বাংলার সন্তান৷ তিনি আজ যেভাবে চিন্তার৷ আগে তিনি ঘোষনা করেন আওয়ামী লীগকে৷ নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হোক৷ আর আজ সেটা তার দল মানতে চাইছেন না! কারণটা অন্যদিকে কি যাচ্ছে না? নির্বাচন তো জনমত গ্রহণ করে শাসনে যাওয়া তাই নির্বাচনে আসতে দিতে হয় সবদলকেই আর নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে সেটা পরিচালনা করবেন তবেই তো সত্যই জনপ্রতিনিধি শাসনে আসবেন!
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃ খালেদা হিয়া যেভাবে চিন ও পাকিস্তানের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে ভাষা প্রয়োগ করছে তা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষের ভয়ঙ্কর৷ প্রথমে তিনি চেয়েছিলেন বাংলা দেশে নির্বাচন হোক আর আওয়ামি লিগ সেই নির্বাচনে অংশ নিক৷ কিন্তু এখনকার তার দলের ভিন্ন সুর৷ আর যে হিন্দুরা এক সময় ২৯ শতাংশ ছিলেন বাংলাদেশে আজ তাঁদের সংখ্যা চরম সাম্প্রদায়িকতার অত্যাচারে একেবারে কমে গেছে ৮ ও ৯শতাংশে, সেটা কি মানবতাবাদের লক্ষণ? সংযম তো দরকার? এই পশ্চিম বাংলায় তো ভারতের মধ্যে মুসলমান ভাইবোনদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী তাই আমরা তো এদেশে কোন হিংসা বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দিই না৷ পশ্চিম বাংলা সরকারের প্রধান মমতাজী তিনি অত্যন্ত এ ব্যাপারে সচেতন৷ আর এই রাজ্যের অন্য অমুসলমানগণই সংযমী৷ এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে যিনি আল্লাহ, গড ও ঈশ্বর তিনি ভাষায় আলাদা কিন্তু সেই তিনিই সকল মানুষেরই স্রষ্টা! মনে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক বিভাগের প্রধান ছিলেন বি.এন.পির মাননীয়া নেত্রী খাদেদা জিয়ার স্বামী৷ তিনি নিহত হন নাকি পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নেতার দ্বারাই৷ সেটা কি ভাববেন না? আজ কি কারণে তিনি সেই বাংলা জাতীয় দলের যে নামটি সত্যই অতিপ্রিয় বাংলা জাতীর কাছে সেই নামের চরম অমর্যাদাটা করতে যাচ্ছেন তাঁর দলের প্রবীন গোঁড়া নেতার হুমকিতে৷ তাই নিজে সংযত হোন ও দলের উগ্র নেতাদের সংযত করুন৷ মনে রাখবেন একই পুকুরের এক পারে ছিল পড়লে অপর পারে তরঙ্গ বহে আসে৷ ঠিক একই ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতির দেশের এক পারের সংখ্যা লঘুর বিপদ অন্য পারে আঘাত হানতে পারে৷
- Log in to post comments