মাথাব্যথা কেন?

পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদরাও এ প্রশ্ণের জবাব দিয়ে মানুষের স্বার্থবোধকে প্রসারিত করাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ জীববৈচিত্র্যের বিনাশ সাধনের ফলে আমাদের কত ধরনের যে সমস্যা তৈরী হচ্ছে, তারও অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া হচ্ছে৷ একটা সত্য ভুলে যাওয়ার উপায় নেই যে, অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের প্রাণী ও বাঁচার জন্যে অন্য প্রাণীর মতো আমরাও এ বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, যত বেশী সংখ্যক প্রজাতির প্রাণী এ গ্রহে অচ্ছেদ্য পরিবেশগত ভারসাম্যের মধ্যে বসবাস করবে, ততই সেটা স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনশীল হয়ে উঠবে৷ আমরা সবুজ বনে কিংবা কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করি না কেন যে বিশুদ্ধ জল, বায়ু, অবিকৃত ভূমি বা অকর্ত্তিত বন বণ্যপ্রাণীকে রক্ষা করে, তা আমাদেরকেও রক্ষা করবে৷

আমরা এমন এক বিশেষ গ্রহে বাস করি যা আমাদের অভিজ্ঞতায় একমাত্র প্রাণের আবাসভূমি৷ এ গ্রহের প্রাণীদের সংরক্ষণ চূড়ান্তভাবে মানুষের একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাও বটে৷ মনে রাখা দরকার, সবুজায়নের মাধ্যমে হারানো বন অনেকটা ফিরে আসতে পারে, বায়ু ও জলের দূষণ রোধ করাও সম্ভব হবে, কিন্তু অনেক প্রজাতির প্রাণী যা দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তা আর কোনদিনই ফিরে আসবে না৷ তবে আশার কথা হ’ল, আমরা মানবসৃষ্ট এমন এক মহাধ্বংস যজ্ঞের যুগে প্রবেশ করেছি, যেখানে মানুষই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কোন প্রজাতির প্রাণীকে আমরা রক্ষা করবার চেষ্টা করব, আর কোন প্রজাতির প্রাণীর সংহারকের ভূমিকা নেব৷ কাজেই দিকে দিকে ধ্বংসের পদধ্বনি শুনে আতঙ্কিত হওয়াটাই শেষ কথা নয়৷ বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, মানুষের কারণে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, একমাত্র মানুষই দিতে পারে তার সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান৷