সংবাদ দর্পণ

রাজনৈতিক গণতন্ত্রের ধোঁকাবাজি নয় অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা চাই

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫-৬ ও ৭ জুলাই কলিকাতা ভিআইপি বাজারে আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে একটি তিন দিবসীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা ও আচার্য কৃষ্ণপ্রসুনানন্দ অবধূত৷

 আচার্য সুধাক্ষরানন্দ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রসঙ্গে আলোচনায় বলেন বর্তমান ভারতবর্ষে গণতন্ত্রের নামে যেটা চলছে সেটাকে রাজনৈতিক গণতন্ত্র বলা যায়৷ এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একটি চোখ ধাঁধানো শোষণ মূলক ব্যবস্থা৷ ভারতীয় সংবিধান তিন শোষক গোষ্ঠী দ্বারা রচিত---ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী দেশীয় সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিপতিদের প্রতিনিধি শাসক দল৷ তাই এই সংবিধানের নীতি নির্দেশনাতে সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় করা হয়েছে৷ কোটি কোটি সাধারণ মানুষ, হতদরিদ্র, অশিক্ষিত ও কুসংস্কারগোস্ত অসহায় মানুষগুলো শোষিত ও বঞ্চিত হতেই থাকে৷ শাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনের নামে যা হয় সেটা একপ্রকার প্রহসন৷

তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিগুলি উল্লেখ করে বলেন প্রাপ্তবয়স্ক হলেই ভোটদানের অধিকার পাওয়ায় রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে অসচেতন মানুষও কিছু না বুঝে ভোট দিয়ে থাকে৷ অথচ এই বিষয়গুলিতে সচেতন হলেও বয়সের কারণে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় মানুষ৷ তাই নির্দিষ্ট বয়সসীমা কখনোই ভোটাধিকারের মাপকাঠি হতে পারে না৷ আচার্য সুধাক্ষরা নন্দ বলেন গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অশিক্ষিত কুসংস্কারগ্রস্থ মানুষকে শিক্ষায় নৈতিকতায় ও সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সচেতনতায় প্রতিষ্ঠিত হতেই হবে৷ তিনি এই অসার রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে পুতুল নাচের সঙ্গে তুলনা করে বলেন এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেশকে ধবংসের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে, জনসাধারণকে চরম দুঃখ দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে৷

 আচার্য সুধাক্ষরানন্দের মতে প্রাউটের দাবি মেনে এই অসার রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা খারিজ করে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিত৷ প্রাউটের মতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সফল হবার একমাত্র পথ হল জনগণের হাতে আর্থিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া৷ অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের সার্বজনীন লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির গ্যারান্টি দেওয়া৷ তিনি দেশের অর্থনীতিবিদদের যারা সত্যি কারের সর্বশ্রেণীর মানুষের কল্যাণ চান তাদের প্রাউট ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আহ্বান জানান৷

 তিনদিনের এই আলোচনা সভায় বৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা, প্রমা, আন্তরিক শক্তির উৎস বিষয়ে আলোচনা হয়৷ এছাড়া প্রভাত ফেরী, কীর্ত্তন পরিক্রমা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য সর্বজ্ঞানানন্দ অবধূত ও কলিকাতা ভুক্তির আনন্দমার্গী ভাইবোনদের সক্রিয় সহযোগিতায় আলোচনা সভা সফল হয়৷

 শিলং সার্কেলের শিলচর ডায়সিসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ ছয় সাতই জুলাই হাইলাকান্দি আনন্দমার্গ স্কুল হয়৷ এখানেও উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি আলোচনা হয়৷ এখানে মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য তথাগতানন্দ অবদূত৷ তিনি আন্তরিক শক্তির উৎস ও প্রমা বিষয়ের উপর প্রজ্ঞা সমৃদ্ধ আলোচনা করেন৷ এছাড়া আচার্য মন্ত্র সিদ্ধানন্দ অবধূত বৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা, অর্থনৈতিক গণতন্ত্র বিষয়ের উপর আলোচনা করেন৷ আনন্দমার্গের দার্শনিক বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও তিন দিনের সেমিনারে প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যা কীর্ত্তন মিলিত সাধনা প্রভাত ফেরী হয়৷ ৫ই জুলাই সকালে অনুষ্ঠানের শুরু হয় তিন ঘন্টা অখন্ড বাবা নাম কেবলম কীর্তনের মাধ্যমে৷ সেমিনার সংগঠিত করার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য চিরঞ্জয়ানন্দ অবধূত ও স্থানীয় ভুক্তির আনন্দমার্গী ভাই-বোনেরা৷

দুন এক্সপ্রেসে যাত্রী হামলার প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ প্রদর্শন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কুদরা স্টেশনে হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় কেদারনাথ ফেরত একদল বাঙালী পর্যটকদের ওপর চড়াও হয় কিছু বিহারী দুষৃকতী, আর পি এফের কাছে সাহায্য চাইলেও আরপিএফ নীরব থেকেছে৷ আরপিএফের এরূপ ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ ও ‘বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ’৷ আরপিএফের পরোক্ষ মদতের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ডিআরএম কার্যালয় অবধি বিক্ষোভ মিছিল করে এসে ডিআরএম সাহেবের নিকট ‘আমরা বাঙালী’ ও ‘বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ’ স্মারকপত্র জমা দেয়৷ ‘বাঙালী যুব সমাজের’ পক্ষে তপোময় বিশ্বাস বলেন- গত মঙ্গলবার হাওড়াগামী ডাউন দুন এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় কেদারনাথ ফেরত বাঙালী যাত্রীদের আক্রমণের শিকার হতে হয়৷ বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও রেল পুলিশ তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন? আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারতবর্ষ বিভিন্ন  জাতি এবং সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত এবং ভারতীয় রেল তাদের সবার মধ্যে এক সুন্দর সংহতি স্থাপন করেছে ,প্রতি টি রাজ্য কে পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ করেছে৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম, সম্প্রতি হাওড়া গামী ডাউন দুন এক্সপ্রেসের কামড়ায় বাঙালী যাত্রীরা কিছু দুর্বৃত্তদের দ্বারা চরম হেনস্তার শিকার হলো, লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে৷ রেহাই পায়নি শিশু থেকে বৃদ্ধ, মহিলা৷

রিজার্ভেশন কামরা হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের  অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিভাবে? এই বাঙলার বুকে ও তো কতো ট্রেন চলাচল করে কিন্তু কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার নিদর্শন নেই, তাহলে বিহারের বুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটে কিভাবে ? বিশেষত যেখানে আরপিএফ থাকে? ভারতীয় রেল দোষীদের বিরুদ্ধে এখনও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন? আমরা পরিষ্কার ভাবে মাননীয় ডিআরএম সাহেবের নিকট ডেপুটেশনের মাধ্যমে ভারতীয় রেলের কাছে আবেদন করছি৷ ১) অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ২) ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, ৩) আহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জ্যোতিবিকাশ সিনহা, জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, বাপী পাল, মিন্টু বিশ্বাস, হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণতি পাল প্রমুখ৷

কাঁথি ইউনিট তথা বৃহৎ আনন্দ পরিবার এক অন্যতম কিশোর সদস্যকে হারালো

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৮ই জুন,২০২৪ আনন্দমার্গ ইউনিটের ঘটনা-দুর্ঘটনার ঘনঘটা ক্রমান্বয়ে কাটিয়ে ইউনিটের সকল মার্গীগন ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল গত কয়েকমাস৷ নিয়মিত ধর্মচক্র, মার্গীদের বাড়িতে বাড়িতে মাসিক তিন ঘণ্টা অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন সহ আধ্যাত্মিক সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেবা কার্য সহ মার্গীয় নানান অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছিল৷ ‘হরি পরিপন্ডল’, কাঁথি ইউনিট সবেমাত্র রেজিস্ট্রেশন এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ ইতঃবসরে এক অত্যন্ত গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে সকল মার্গীমহলে৷ গত ১৭ই  জুন (সোমবার) রাত্রিতে ইয়ূনিটের কার্যকরী সম্পাদক বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শিক্ষক বিদ্যাসাগর মাহাত ও মনোরমা মাহাত মহাশয়ার একমাত্র পুত্র সকলের প্রিয় ও কাঁথি হরি পরিমন্ডল গোষ্ঠীর অন্যতম কীর্ত্তনীয়া ও খোল বাদক  শুদ্ধসত্ত্ব মাহাত’র (বয়স- ১৮) আকস্মিক প্রয়াণ হয়৷  আনন্দমার্গ চর্যাচর্য মেনে ডীট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত মহাশয়ের উপস্থিতিতে প্রয়াত কিশোরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও শ্রদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ পরমপুরুষের ক্রোড়ে সে যেন চিরাশ্রয় লাভ করে সকলেই সে মিনতি করে৷ প্রসঙ্গত মাহাত দম্পতির যমজ কন্যা সন্তানের জ্যেষ্ঠ কন্যা মনিকা মাহাত (বয়স ১৬) গত ২০১৩ সালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়৷ একের পর এক সন্তান হারানোর শোকে ইয়ূনিটের সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ, ভজহরি বর্মন, দীপ্তেন্দু জানা সহ সকল মার্গীগণ ও সন্ন্যাসীগন শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷

বালিচকে গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

  দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও তাপপ্রবাহের কারণে রেণেশাঁ আর্টিস্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিম মেদিনীপুর পরিচালিত ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতাও উৎসব শুরু হতে দেরি হয়ে যায়৷ ২৬ শে জুন, ২০২৪  বুধবার ডেবরা ব্লকের অন্তর্গত বালিচক ক্রিস্টোফার ডে স্কুলে গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৫ জন প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করে৷ প্রধান শিক্ষক শ্রী রঞ্জিত কুমার দাস এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন৷ সংস্থার সম্পাদক শ্রী বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায় ছাত্র ছাত্রাদের প্রতিযোগিতা বিষয়ে বুঝিয়ে বলেন৷ অধিকাংশ শিক্ষার্থী খুব সুন্দর ভাবে গল্প টি পরিবেশন করে৷ বিচারক হিসেবে উপস্থিত কল্পনা গিরি ও মৌমিতা বাঁকুড়া ৪৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে যে সেরা পাঁচজনকে বেছে নেন তারা হল - অস্মিতা সামন্ত(১ম), ঋদ্ধিতা গোস্বামী (২য়), শ্রেয়সী পাল(৩য়), শ্রীশা বারিক (৪থ) ও সৌমিলি মণ্ডল(৫ম)৷ শংসাপত্র সহ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে৷ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  রাওয়া কর্তৃপক্ষকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক  শুভেচ্ছা  বার্তা প্রদান করেন৷

পটনায় মেডিকেল ক্যাম্প ও সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফটিমের পক্ষ থেকে পটনা, সিমরায় একটি বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল, গত ২৫ জুন ও গত ২৭শে জুন মৌলানা বুধুচক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তর শিবিরে শতাধিক মানুষের  স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেন অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা আচার্যা৷

সেমিনার ঃ গত ২৬,২৭ ও ২৮শে জুন,২৪ বিহারের পাটনা বিশাল নগর মার্গগুরুর কোয়ার্টার্সে  একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ পাটনা ডায়োসিসের শতাধিক ভাই-বোন এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে৷ সেমিনার নোটে প্রকাশিত নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই জুন রবিবার  পাঁশকুড়ার  জয়কৃষ্ণপুরে শ্রী প্রদীপ কুমার  মাইতির   বাড়িতে প্রভাতসঙ্গীত, কীর্তন  ও মিলিত  সাধনার  পর  টুকাই-মৌর্ণীকন্যার শুভ  অন্নপ্রাশন  ও নামকরণ  অনুষ্ঠান  সুসম্পন্ন  হল৷  বর্তমান  সমাজব্যবস্থায়  মার্গীয় প্রথায়  অন্নপ্রাশন  অনুষ্ঠানের যাথার্থতা সম্পর্কে  বক্তব্য  রাখেন  আচার্য  কৃষ্ণনাথানন্দ  অবধূত৷  নামকরণ  অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য  করেন  অবধূতিকা আনন্দ  ভাবাতীতা আচার্যা, সহযোগিতায়  অবধূতিকা আনন্দ  প্রীতিসুধা আচার্যা৷ মিলিতভাবে নবজাতিকার  নাম রাখা হল প্রদীপ্তা৷ সমগ্র  অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন  ভূক্তিপ্রধান  শ্রী সুভাষ  প্রকাশ  পাল৷  গৃহকর্তী টুম্পাদেবী  উপস্থিত  সবার  জন্যই  মিষ্টিমুখের  ব্যবস্থা করেছিলেন৷

হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় যোগ শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে মিন্টু মাইতির সহযোগিতায় সুশান্ত শীলের তত্বাবধানে একটি যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ উক্ত যোগ শিবিরের প্রশিক্ষ ছিলেন আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন ভূক্তি প্রধান সুব্রত সাহা,আনন্দ রসধ্যানা আচার্যা, সুমিতা শীল ভারতী কুন্ডু, দেবমাল্য শীল প্রমূখ৷

বয়লাশোল গ্রামে  অখণ্ড কীর্ত্তন ও বৃক্ষরোপণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত বয়লাশোল গ্রামে ২৪ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হ’ল ২২ ও ২৩ শে জুন৷ গ্রামবাসী ও স্থানীয় আনন্দ মার্গীগণের উদ্যোগে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠান৷ কীর্ত্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ কীর্ত্তন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন ডায়োসিস সচিব আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ, শ্রী রমেন্দ্রনাথ মাইতি, শ্রী শুভাশীষ সাহু৷ ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ধৃতি পাল, বৃহস্পতি দেব সিংহ ও আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন চলাকালীন প্রতীকি দুটি আমগাছের চারা রোপণ করেন প্রবীণ আনন্দ মার্গী  শ্রী রবীন্দ্রনাথ বেরা৷ তিনি বৃক্ষরোপণে গ্রামবাসী গণকে উৎসাহিত করার জন্য দশটি ভালো জাতের আম গাছের চারা প্রদান করেন৷ তিনি কথা দিয়ে এসেছেন আরও দশটি জামরুল গাছের চারা দেবেন৷ গ্রামে জাগৃতি তৈরীর জন্যও রবীন্দ্রনাথ বাবু উদ্যোগ নিতে বলেন স্থানীয় মার্গী ভাই বোনেদের৷ তিনি এ ব্যাপারেও তাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন৷ আশা করা যাচ্ছে আগামী শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন থেকে কাজ শুরু হবে৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও পরিচালনা করেন রাজীব প্রতিহার,বিল্বদল মাইতি, তাপস বেরা, বাহাদুর  প্রতিহার, শিউলি নায়েক প্রতিহার সহ গ্রামবাসীগণ৷

আমতায় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৮শে জুন, হাওড়ার আমতার গুজারপুরে  মায়া বরের বাসভবনে, মানব মুক্তির মহামন্ত্র অখন্ড বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন নির্র্ধরিত কর্মসূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মন্ডিত করে তোলেন সুশান্ত শীল ভূক্তি প্রধান এস ডি এম, দীপ্তি বিশ্বাস, আনন্দ রসধ্যানা আচার্যা, সুমিতা শীল, দেবমাল্য শীল , নিশিকান্ত বর মহাব্রত ব্রহ্মচারী, তপন মান্না আরও অনেকে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তোলেন৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শিলান্যাস অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ০৯ই জুন,২৪ রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘূর্ণীস্থিত গাঙ্গুলীপাড়া, কৃষ্ণনগর, নদীয়ার অধিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত ও শ্রীমতীরেখা দত্ত এঁর জামাতা কৃষ্ণনগরের বিশিষ্ঠ তরুন আনন্দমার্গী শ্রীনির্বান কুন্ডূ ও কন্যা শ্রীমতীপৃথা কুন্ডূর নিজস্ব জমির ওপর নুতন গৃহ নির্মানের জন্যে ‘আনন্দমার্গের চর্যাচর্য’-এর বিধি অনুসারে গৃহের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়৷ শুরুতেই প্রভাতসঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম মিলিত সাধনা গুরুপুজা স্বাধ্যায় হয়৷ এর পর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন ---কৃষ্ণনগর ডিটস এসএল ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷ অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করান অনির্বাণ ও পৃথা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া ভুক্তি কমিটির সদস্য তথা কূষ্ণনগর ইউনিট সচিব শ্রীআনন্দ মন্ডল ও এলাঙ্গী আনন্দমার্গ স্কুল কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীসনৎ মৃধা৷