চক্ষু অপারেশন শিবির
গত ১৮ই মার্চ বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের জন্য একটি চক্ষু অপারেশন শিবিরের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পঞ্চাশজন মানুষের সফলভাবে অপারেশন করা হয়৷
গত ১৮ই মার্চ বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের জন্য একটি চক্ষু অপারেশন শিবিরের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পঞ্চাশজন মানুষের সফলভাবে অপারেশন করা হয়৷
কর্মসংস্থানের অভাব বরাক উপত্যকার এক জ্বলন্ত সমস্যা৷ অথচ এরপরও বরাকের বিভিন্ন সরকারি অফিসে স্থানীয় প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে নিযুক্তি দিয়ে পাঠানো হচ্ছে৷ বরাকের প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে এবার সরব হল ‘আমরা বাঙালি’ দল৷
এক প্রেস বার্তায় আমরা বাঙালী দলের আসাম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে বিজেপি দল হিন্দু দরদী বলে সর্বদা নিজেদের জাহির করে৷ বরাকের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বহু বাঙালী হিন্দু রয়েছেন৷ তাঁরাও বঞ্চিত হচ্ছেন৷ তার প্রশ্ণ তাহলে বাঙালী হিন্দুদের কি হিন্দু বলে মনে করেনা আসামের বিজেপি সরকার?
সাধনবাবু এদিন বলেন বিগত যে একলক্ষ নিয়োগ হয়েছে তাঁতে বরাক থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা খুবই সীমিত বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এমনকি সম্প্রতি এডিআরই লিখিত পরীক্ষার যে ফল ঘোষিত হয়েছে তাতেও বরাক বঞ্চিত হয়েছে বলে তাদের জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী৷ তিনি বলেন বরাকে মেধার অভাব নেই৷ যদি সত্যিই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়ে থাকে তবে প্রাপ্ত নম্বর সহ জেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে নিজেদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করুক সরকার৷ সাধন পুরকায়স্থ এদিন আরো বলেন যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ জেলাভিত্তিক সংরক্ষণের ব্যাপারে কোন আইনি বাধা নেই৷ এই মর্মে একটি প্রস্তাব আসাম বিধানসভায় গৃহীতও হয়েছিল৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী বরাকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করে তার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমান রাখুন৷ তিনি বলেন বরাকের রেজিস্ট্রিকৃত বেকারের সংখ্যা ছয় লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ কাজেই সর্বাবস্থায় সরকারের সদর্থক ভূমিকা কাম্য৷ অন্যথা বিকল্প ভাবনা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি৷
সাধন পুরকায়স্থ এদিন বলেন যে কর্মসংস্থানের অভাবে উচ্চ শিক্ষিতরা এখানেই রিক্সা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ স্বল্পশিক্ষিতরা সামান্য আয়ের জন্য বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাইতে পাড়ি জমাচ্ছেন৷ তিনি বলেন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হলে এই উপত্যকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন পাঁচ গ্রামে মিথানল উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির যে প্রস্তাব এসেছে তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিক সরকার৷ এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি স্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠন করে সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন৷ নবগঠিত বরাক উন্নয়ন বিভাগকে এদিন এই ব্যাপারে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
কলকাতা ঃ গত ৮ই মার্চ বিশ্বনারী দিবস উপলক্ষে গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যাবৃন্দ ভি.আই.পি নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা রুবি, রাসবিহারী, যতিনদাস পার্ক হয়ে ধর্মতায় সমবেত হয়৷ সেখান থেকে নারী জাতির সমস্যা সমাধানের নানা দাবী সহ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্র্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷
দুর্গাপুর ঃ গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর শাখার আহ্বানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবে৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আসানশোল ইয়ূনিটের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা, আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাব সব পেয়েছি আসর,শ্রুতি, স্বরলীপি, স্বরসপ্তক, শিল্প, সাহিত্য, কাব্যকথা সুরঝঙ্কার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট৷
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর ইয়ূনিটের সম্পাদিকা পাপিয়া ধীবর মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন৷ অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷ মঞ্চে চেয়ারপার্সন হিসেবে অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যাকে বরণ করা হয়৷ এরপর আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বাসুদেব ব্যানার্জী,সুনীল কুমার মাহাত, তপন কুমারসহ বিভিন্ন ব্যষ্টিবর্গকেও বরণ করে নেওয়া হয়৷ এরপর বিভিন্ন সংঘটনের শিল্পীবৃন্দ নৃত্য, কবিতা আবৃত্তৃি সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ এই অনুষ্ঠানে প্রভাতসঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি পরিবেশিত হয়৷ উপস্থিত সমস্ত শিল্পীদের গার্লস প্রাউটিষ্টদের পক্ষ থেকে উত্তরীয় শংসাপত্র, মেডেল মেমেন্টো ইত্যাদি দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়৷ উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যা, জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর, অরূপ মজুমদার সুশীল জানা, পরমা মণ্ডল৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপি চ্যাটার্জী৷
গত ১১ই মার্চ মঙ্গলবার নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল প্রাউট প্রবক্তার শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত শুভ পদার্পণ দিবস৷ কলকাতা ও সংলগ্ণ জেলাগুলি থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ভক্তবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এই উপলক্ষ্যে নোতুন পৃথিবী ভবন ও অনুষ্ঠানস্থলকে পুষ্পাদির দ্বারা সুন্দরভাবে সাজানো হয়৷ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান৷ সকাল ৯টাকা থেকে শুরু হয় সিদ্ধ অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন৷ বেলা বারোটায় কীর্ত্তন শেষে শুরু হয় সমবেত মিলিত সাধনা ও ধর্মশাস্ত্র পাঠ৷ এরপর শুরু হয় আলোচনা৷ মার্গের আদর্শের প্রচারে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা ও মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিশেষ গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত,আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ নোতুন পৃথিবী পত্রিকার ইতিহাস সম্বন্ধে আলোচনা করেন নোতুন পৃথিবীর প্রাক্তন সম্পাদক আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এরপর বর্তমান সম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত অনুষ্ঠান সফল করার জন্যে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার প্রচার ও প্রসারের সকলকে সক্রীয় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানায়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনা করেন জয়দীপ হাজরা ও স্বপন সাহা, কালীপদ পোড়ে৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, তনুশ্রী সরকার, হরলাল হাজারিকা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন আচার্য প্রমথেষানন্দ অবধূত৷ অপরাহ্ণে পাঁচ শতাধিক স্থানীয় মানুষদের নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷
জলের অপচয় রুখতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ গত সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়৷ সেখানে প্রশ্ণোত্তর পর্বে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ জল অপচয় নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চান৷ জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমাদের সরকারের লক্ষ্য রাস্তার ধারের কল (স্ট্যান্ড পোস্ট)-এর সংখ্যা কমানো৷ এখন সব বাড়ি বাড়ি জল দেওয়া হচ্ছে৷ আমরা বলেছি বাড়িগুলিতে জলের ট্যাঙ্ক করে জল ধরে রাখতে, যাতে সারা দিনই বাড়িতে জল পাওয়া যায়৷ কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় এখনও সমস্যা আছে৷ কোথাও বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে সমস্যা, কোথাও আবার শরিকি সমস্যা৷ তাই আমরা কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার ধারের কল (স্ট্যান্ড পোস্ট) রাখতে বাধ্য হই৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতে মোট ৭৩ হাজার স্ট্যান্ড পোস্ট রয়েছে৷ সেখানে জলের অপচয় রুখতে ট্যাপ লাগানো থাকে৷ কিন্তু তার পরেও দেখা যায় বহু জায়গায় স্ট্যান্ড পোস্ট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে৷ ট্যাপ লাগানো থাকলে জলের গতি একটু কম হয়৷ একটি বালতি ভরতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতে পারে৷ আর স্ট্যান্ড পোস্টের মুখ ভেঙে দেওয়া হলে সেখানে তিন- চার মিনিটে একটি বালতি ভরে যায়৷’’
পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কলকাতা পুরসভা এলাকায় আমরা ৩-৪ বার করে স্ট্যান্ড পোস্টের ট্যাপ লাগিয়ে দিয়েছি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি ভেঙে দেওয়া হয়, তবে আমরা স্ট্যান্ড পোস্ট তুলে নেব৷’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন জলই জীবন৷ তাই জীবনের কর হয় না৷ তাই যেখানে বাণিজ্যিক ভাবে জলের ব্যবহার হয় না বা তুলনামূলক কম জলের ব্যবহার হয় সেখানে আমরা কর নিই না৷ সেখানে যদি জলের অপচয় হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কড়া পদক্ষেপ করতে হবে৷’’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘৭৩ হাজার স্ট্যাম্প পোস্টের মুখে ট্যাপ বসানো হয়ে গিয়েছে৷ ২৮২৩টি স্ট্যান্ড পোস্টের মুখে এখনও ট্যাপ লাগানো হয়নি৷ এর মধ্যে বহু ক্ষেত্রে ট্যাপ ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷’’ তথ্য দিয়ে পরে পুরমন্ত্রী জানান, জলের অপচয় রুখতে সাড়ে ৬৪ লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে সরকার৷ মার্চ মাসের মধ্যে আরও ১১ লক্ষ ৮২ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়েই ওষুধের উপরে ছাড় দিচ্ছেন বহু ব্যবসায়ী৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ তথা রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে৷ কিন্তু জাল ওষুধ চেনার উপায় ঠিক মতো জানা নেই সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও৷ গত শুক্রবার এমনই কথা স্বীকার করল ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিডিএ)৷গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার রাতেই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম৷ বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যাচের ওষুধের তালিকা ও তথ্য সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর, পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের নির্দেশিকা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্েন্টালকে৷ যাতে কোথাও ওই সব ওষুধ ব্যবহার না হয়৷
‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্েন্টাল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও) সূত্রের খবর, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করেছে৷ যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থার তৈরি ওষুধও রয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ণ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও৷ নির্দেশ হয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দোকানেও প্রকাশ্যে ঝোলাতে হবে অনুত্তীর্ণ সব ওষুধের তালিকা৷ তা রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও৷ এর পরেও কোথাও ওই সব ওষুধ বেচাকেনা হচ্ছে কিনা, তাতে নজরদারি চালাতে দোকানে আচমকা পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্টোলকে৷ গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে৷ রাজ্যের যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধ অনুত্তীর্ণের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব৷
বিসিডিএ-এর মুখপাত্র শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘জাল বা ভুয়ো ওষুধের সমস্যা গুরুতর৷ যা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং ওষুধ ব্যবসা, দু’টিরই ক্ষতি করছে৷ দ্রুত এর বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ করা প্রয়োজন৷’’ তাঁদের অভিযোগ, ৩৫ শতাংশ জাল ওষুধ তৈরি হয় এ দেশে৷ মিশর এবং চিনেও জাল ওষুধ তৈরির রমরমা কারবার চলে৷
নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷
অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ ন’মাসের অপেক্ষার৷ অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে চলেছেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর৷ সাংবাদিক বৈঠকে সুনীতাদের ফেরার তারিখ ঘোষণা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ কী ভাবে, কোন মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা ফিরবেন, প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেই নীল-নকশাও৷
নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷ নাসার আইএসএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডানা ওয়েইগেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷
গত মাসে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা৷ জানানো হয়েছিল, ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান৷ তাতে থাকবেন আরও চার নভশ্চর৷ নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ ১০-এ চড়ে মহাকাশে যাবেন৷ তাঁদের গবেষণার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে একই মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা৷
গত বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ৷ মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে৷ কিন্তু আট দিনের সফর যে ১০ মাসেরও বেশি দীর্ঘায়িত হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি৷ যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে সুনীতারা মহাকাশে গিয়েছিলেন, উৎক্ষেপণের কয়েক দিনের মাথায় তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷ তাই ওই মহাকাশযানে তাঁদের ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার সংস্থা৷ ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন দুই নভশ্চর৷ পরে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য ইলনের সংস্থা স্পেসএক্সের সাহায্য নিয়েছে নাসা৷
যদিও ইলনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও বেশ কয়েক বার পিছিয়ে গিয়েছে সুনীতাদের ঘরে ফেরার দিন! প্রথমে কথা ছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের নিয়ে স্পেসএক্সের মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরবে৷ পরে জানা যায়, মার্চ মাসের আগে তাঁদের ফেরা হচ্ছে না৷ ঠিক হয়, মার্চ মাসের শেষের দিকে চার সদস্যের ক্রিউ-১০ মিশন মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে৷ তাতেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা এবং বুচ৷ সেই আবহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্পেসএক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ককে৷ তার পরেই তড়িঘড়ি এগিয়ে আনা হয় ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন৷ উল্লেখ্য, সুনীতাদের ফেরাতে গত সেপ্ঢেম্বরে স্পেসএক্সের ক্রিউ-৯ মিশনে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন নাসার আরও দুই মহাকাশচারী নিক হেগ এবং আলেকজান্ডার গর্বুনভ৷ সুনীতাদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরাও৷
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন সভা সমিতিতে বড় গলা করে ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি দাবী করেন দেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি৷ খুব দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে৷
এই প্রসঙ্গে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- তৃতীয় বৃহত্তম, পঞ্চম বৃহত্তম-এসব অর্থনীতির অসার তত্ত্ব কথা৷ এসব শুকনো কথায় চিঁড়ে ভেজেনা৷ গত দশ বছরে বিজেপি শাসনে দেশে শুধু ধনিক শ্রেণীর বিকাশ হয়েছে৷ নোটবন্দি জি.এস.টি করোনাকালে গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার হাল খারাপ হয়েছে৷ অথচ ওই বিপর্যয়কালেই ধনকুবেররা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে৷ কিসের ভিত্তিতে পঞ্চম বৃহত্তম, তৃতীয় বৃহত্তম নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে সরকার জনগণের সামনে মুখ খোলে না৷
শ্রী খাঁ বলেন---জনগণ ওসব অর্থনীতির তত্ত্ব কথার কচকচানি শুনতে চায় না৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে অচেতন সাধারণ মানুষের চাই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও সামাজিক নিরাপত্তা৷ দুটোই আজ বিপন্ন৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে ধনীর সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠছে আর গরীব মানুষ আরও গরীব হচ্ছে৷ দারিদ্রতাই সামাজিক অস্থিরতার প্রধান কারণ৷ মানুষের অভাবই সমাজকে কলুষিত করছে৷ শ্রী খাঁর কথায় আজকের ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনীতি সবকিছু পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে৷ দেশের সাধারণ নাগরিককে আর্থিক স্বনির্ভরতার আওতায় আনতে হলে আর্থিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে বাতিল করে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে৷ প্রাউটের ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনায় প্রতিটি ব্লকের স্থানীয় মানুষের ব্যবস্থানায় কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এক সুসন্তুলিত আর্থিক ব্যবস্থা---যেখানে ১০০শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷ পুঁজিবাদী শোষনের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার এটাই একমাত্র পথ৷
১৫ই ফেব্রুয়ারী’২৫ মহিলা শাখা পরিচালিত উমানিবাস (খটঙ্গা) আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শিশুরা খুব আনন্দ উপভোগ করে৷
গত ৫ই মার্চ ছিল দধীচি দিবস৷ পুরুলিয়ার আনন্দনগরে --- আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় হতদরিদ্র মানুষগুলোর জন্যে গড়ে উঠেছিল নানা সেবাকেন্দ্র, স্কুল, শিশুসদন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতি৷ সর্বহারার দল কমিউনিষ্টরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল৷ মানুষ যদি এত উন্নয়নের ছোঁয়া পায় তাহলে সর্বহারা দলের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে৷
সময়টা ছিল ১৯৬৭ সাল৷ রাজ্যে তখন যুক্তফ্রন্ট সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু৷ শাসকদলের মদতেই চিরাচরিত কম্যুনিষ্ট প্রথায় আনন্দমার্গে বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে ওই অঞ্চলের হতদরিদ্র সহজ সরল কিছু আদিবাসী মানুষকে আনন্দমার্গের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুললো৷ ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ আশ্রম আক্রমণ করে কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনী যার নেতৃত্বে ছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির জেলার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)৷ কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সেদিন নিহত হন আনন্দমার্গের পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী কর্মী, তারা হলেন--- আচার্য অভেদানন্দ অবধূত, আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত, আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী ও আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷
কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর চক্রান্ত ব্যর্থ করে আনন্দমার্গ আজ সারা বিশ্বে তার বিজয় রথের পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে চলেছে৷ আর সেই কম্যুনিষ্টরা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় পৃথিবী গ্রহ থেকেই লুপ্ত হতে চলেছে৷
সেই দিন থেকে ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ বিশ্বের সকল ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করে৷ পুরানের কাহিনী অনুযায়ী দধীচি মুনি আসুরিক শক্তির বিনাশ করতে আত্মত্যাগ করেছিলেন৷ কম্যুনিষ্ট অসুরদের প্রতিহত করতে সেদিন আনন্দমার্গের পাঁচজন সন্ন্যাসী আত্মত্যাগ করেন৷
এই দিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় সেদিনের ঘটনাস্থল আনন্দনগরে৷ সেখানে সকাল থেকে পাওয়ার হাউসে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্তন ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর শোভাযাত্রা করে দধীচি হিলে সমবেত হন৷ সেখানে দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের মহান আত্মত্যাগ স্মরণ করে সমাজকে অশুভশক্তি থেকে মুক্ত করার শপথ গ্রহণ করেন উপস্থিত সকলে৷ এরপর সন্ধ্যায় উপবাস ভঙ্গ করে সকলে মিলিত আহার করেন৷ এছাড়া কলিকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম সহ বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করা হয়৷ এইদিন সারাদিন আনন্দমার্গীরা উপবাসে থাকেন ও সন্ধ্যায় ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সমাজ থেকে পাপশক্তি বিনাশের শপথ গ্রহণ করে৷