সংবাদ দর্পণ

বনগাঁয় কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

তত্ত্বসভা ঃ গত ৪ঠা মে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ নতিডাঙ্গার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অমল মণ্ডলের বাসগৃহে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওইদিন অপরাহ্ণে স্থানীয় ইউনিটের মার্গী ভাই-বোন ও স্থানীয় মানুষ উক্ত তত্ত্বসভায় অংশগ্রহণ করেন৷ তত্ত্বসভায় বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজে আনন্দমার্গেরপ্রয়োজ ও আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷

অখণ্ড কীর্ত্তন ঃ ৫ই মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রী অমল মণ্ডলের বাসগৃহে ‘অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় ইউনিটের মার্গী ভাই-বোনেরা৷ এরপর শুরু হয় কীর্ত্তন৷ দীর্ঘ ৬ঘন্টা আধ্যাত্মিক পরিবেশে কীর্ত্তনের সুরমাধূর্যে আকৃষ্ট হয়ে বহু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কীর্ত্তনে যোগ দেন৷

কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজে কীর্ত্তনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিসের আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নারী কল্যাণ বিভাগের সচিব অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা, ব্যারাকপুর ডায়োসিস সচিব আচার্য সৌমসুন্দরানন্দ অবধূত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷

নির্বাচনী প্রচারে ‘আমরা বাঙালী’র দাবী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে নির্বাচনে লড়ছে ‘আমরা বাঙালী’৷ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পুরুলিয়া কেন্দ্রে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়৷ আমরা বাঙালীর যুব সচিব তপময় বিশ্বাস বলেন--- ‘আমরা বাঙালী একটা আদর্শের জন্য লড়াই করছে৷ মুখ্যতঃ ‘আমরা বাঙালী’ যে দাবীগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরছে, তা হ’ল---প্রথমতঃ অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নূন্যতম চাহিদা পূরণের গ্যারাণ্টি অর্থাৎ যুগোপযোগী অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের গ্যারাণ্টি দেওয়া ও উত্তরোত্তর তাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি৷ আর দ্বিতীয় মুখ্য দাবী হ’ল---বাঙালীস্তানের অর্থাৎ পূর্ব উত্তরপূর্ব ভারতে বাংলা ভাষা-ভাষী এলাকায় সরকারী সমস্ত কাজে অফিস-আদালতে মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করা৷ এতে বাঙলার সংস্কৃতি ও সভ্যতা রক্ষা পাবে৷ তার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র নৈতিক তথা আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া৷

শ্রী বিশ্বাস বলেন--- ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের তাঁদের সমর্থনে সর্বত্রই জোর প্রচার চলছে৷ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি, নোংরা ভাষা ব্যবহার এসব ‘আমরা বাঙালী’র নেতা-নেত্রীরা করেন না, তাঁরা আমরা বাঙালীর আদর্শকেই মানুষের সামনে তুলে ধরছেন, এলাকার প্রকৃত সমস্যা সে বাঙলার হোক বা ঝাড়খণ্ডের হোক মানুষের সামনে তুলে ধরে প্রাউট দর্শনের মাধ্যমে এই সমস্যার কী সমাধান তাই ব্যক্ত করছেন৷ বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যেভাবে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে হিংসা, দ্বেষ ছড়াচ্ছে---আমরা বাঙালী তার নিন্দা করে৷ আমরা বাঙালীর বক্তব্য, এতে বরং বাঙালী জাতির সর্বনাশ হচ্ছে, কারণ এতে বাঙালী ঐক্য---বাঙালী সংহতি ধবংস হচ্ছে৷

উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে ভারতীয় অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের দিল্লি সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন, দেশে সম্পদের অভাব নেই, সুষ্পষ্ট নীতি পরিকল্পনা ও রাষ্ট্র নেতাদের সততা সদিচ্ছার অভাবে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি পুঁজিপতিদের অর্থে পুষ্ট হওয়ায় তাদের স্বার্থরক্ষা করতেই ব্যস্ত থাকে৷ সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই, ইচ্ছাও নেই৷

আচার্য সুপ্রভানন্দ বলেন---প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ফলপ্রসূ পরিকল্পনার ভিত্তি হবে উৎপাদন সম্ভাব্যতা, উৎপাদন ব্যয়, ক্রয় ক্ষমতা ও স্থানীয় মানুষের সামূহিক প্রয়োজনীয়তার উপর৷ এছাড়াও কোন অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়তে অর্থনীতির নিয়ামকদের জানতে হবে--- সেই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ,ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, জলবায়ু, নদীর গতি-প্রকৃতি, পরিবহন ব্যবস্থা শিল্প সম্ভাবনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সামাজিক অবস্থা৷

উপরিউক্ত তত্ত্ব ও আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে প্রাউট স্বয়ং সম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে স্থানীয় মানুষের সার্বিক বিকাশ করতে চায়৷ তবে প্রথমেই জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসার জন্য প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷

আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত আরও বলেন, প্রাউট পূর্ব উত্তর পূর্বাঞ্চলের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের বাংলাভাষী অঞ্চল নিয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বাঙালীস্তান গড়তে চায়৷ যারা মানব সমাজের প্রকৃত কল্যাণ চায় তাদের উচিত পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোলনলচে পাল্টে প্রাউটের এই প্রগতিশীল আর্থিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্যে সচেষ্ট হওয়া৷

এক প্রশ্ণের উত্তরে আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রাউটিষ্টরা প্রাউটের এই সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রার্থীদের সমর্থন করবে৷

জনগণ সচেতন ও নির্ভীক হলে দেশে প্রকৃত জনগণের সরকার হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---স্বাধীনতার ৭৭ বছর হয়ে গেল, এখনও দেশে প্রকৃত জনগণের সরকার হলো না৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার৷ কিন্তু ভারতে পুঁজিপতিদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত অর্থে জনগণের স্বার্থ দ্যাখে না৷ নির্বাচনে পুঁজিপতিরা হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালে নিশ্চয়ই জনগণের সেবার জন্যে নয়, মুনাফা লোটাই তাদের লক্ষ্য৷ তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক পুঁজিবাদের স্বার্থরক্ষা করে তাকে চলতে হয়৷ তাই ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম গর্বিত গণতন্ত্র তামাসায় পরিণত হয়েছে৷ পুঁজিপতিদের কৃপার প্রসাদ পেতে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যে কোনভাবে ক্ষমতা হস্তগত করে রাখতে চায় দলগুলি৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোট প্রচারে এসে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারার বিধান দেয় কি করে? এ কেমন গণতন্ত্র!

শ্রীখাঁ বলেন--- এইসব নেতামন্ত্রীদের সাধারণ সৌজন্য বোধটুকুও নেই৷ একটা দল দশবছর শাসন ক্ষমতায় থাকার পর ভোট প্রচারে এসে কোন উন্নয়নের পরিসংখ্যান দিতে পারছে না৷ শুধু বিরোধী দলকে জেলে পুরার হুমকি, ঝুলিয়ে মারার হুমকি! এ রাজ্যের এক বিরোধী নেতার কথাবার্র্ত এমন যেন রাজ্যটা তার পৈতৃক সম্পত্তি৷

শ্রী খাঁ আক্ষেপ করে বলেন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সার্থক হবার প্রধান শর্তই হলো জনগণকে শিক্ষিত সচেতন হতে হবে ও সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে৷ ভারতবর্ষের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও দেশের সত্তর শতাংশ মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে অজ্ঞ,গণতন্ত্রের অর্থই বুঝে না৷ দেশের এই পরিস্থিতি শাসক পুঁজিপতি শোষক গোষ্ঠীর সুপরিকল্পিতভাবে তৈরী করা৷ কারণ জনগণের এই অজ্ঞতার কারণে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার পুঁজিপতিদের সেবাদাসে পরিণত হয়৷ তাই আজ অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, ধনকুবেরদের ধনের পাহাড় বাড়ছে৷

দেশে প্রকৃত জনগণের সরকার গড়তে ও গণতন্ত্রকে সার্থক করতে হলে জনগণকে সচেতন ও নির্ভীক হয়ে বোট দিতে হবে৷ নতুবা শাসকদলের রক্তচক্ষু ও অর্থের প্রলোভনের কাছে বিকিয়ে যেতে হবে৷ ইতিমধ্যে কয়েকটি আসনে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে শাসক দলের প্রার্থীরা জয় নিশ্চিত করে৷ এখানে ভীতি প্রদর্শন ও প্রলোভনের অভিযোগ উঠছে৷ জনগণের সচেতনতা ও সাহসীকতার অভাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হয়েছে৷

 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৪ই এপ্রিল রবিবার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত কাঁউরচণ্ডী আনন্দমার্গ স্কুলে মহাসমারোহে বিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করা হল৷ সকালে প্রভাতসঙ্গীত, নগর কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর জলযোগপর্ব৷ তারপর ছাত্র-ছাত্রাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ অভিভাবক-অভিভাবিকা ও স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত৷কোলাঘাট ইউনিটের মার্গীদের আন্তরিক অনুরোধে পূর্বমেদিনীপুরের ভূক্তিকমিটির মিটিংTeacher-in-charge মিটিং উক্ত স্কুলেই অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, আচার্য চিতিবোধানন্দ অবধূত ও ভূক্তিপ্রধান শ্রীসুভাষপ্রকাশ পাল প্রমুখ ব্যষ্টিরা সারাক্ষণ উপস্থিত থেকে সবাইকে উৎসাহ প্রদান করেন৷ সবশেষে মিলিত আহারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

ডি.এস দাদা আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূতের অনুপ্রেরণায় পূর্বমেদিনীপুরে সেমিনার প্রোগ্রামগুলি সূচি অনুসারে হয়ে চলেছে৷ ২০শে এপ্রিল রঘুনাথবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে এবং ২৭শে এপ্রিল মাগুরি আনন্দমার্গ স্কুলে পঞ্চায়েত লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ রঘুনাথবাড়ি পঞ্চায়েত সেমিনারে ক্লাস নেন শ্রী রঞ্জিত কুমার রাউত ও শ্রী সঞ্জিত বাগ এবং চৈতন্যপুর -১ পঞ্চায়েত সেমিনারে ক্লাস নেন শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল৷ শ্রীতারক কুমার রাণা ও শ্রী সুরজ কুমার বেরার ব্যবস্থাপনায় সেমিনারগুলি সুন্দরভাবে করা৷

পাঁশকুড়ায় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৭ই এপ্রিল রবিবার সুরানানকার আনন্দমার্গ স্কুলে তিন ঘন্টার অখণ্ড কীর্ত্তন ও পাঁশকুড়া পুরসভার ব্লক পর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ উক্ত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় মার্গীরা সবাই উপস্থিত হয়েছিলেন৷ অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার্যা সেমিনারে মানবজীবনের লক্ষ্য ও আদর্শ মানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে সুন্দর বক্তব্য রাখেন৷ প্রায় দুই শতাধিক ব্যষ্টি মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

মেদিনীপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ঝেঁতলার বড়গোপীনাথপুর গ্রামের সুকেশ পলমল ও রবীন্দ্র পলমলের গৃহে ১১ই এপ্রিল তিন ঘণ্টা ব্যাপী ’ বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ সকাল ৯টায় প্রভাত সঙ্গীত গাওয়ার পর শুরু হয় কীর্ত্তন ৷ কীর্ত্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ ‘পরমপুরুষ আমার’ প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ মহাশয়৷ এরপরে কীর্ত্তন প্রসঙ্গে ও আনন্দ মার্গ আদর্শ সম্বন্ধে সুন্দরভাবে বক্তব্য রাখেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ প্রায় ঘন্টা খানেক বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই মোহিত হয়ে যান৷ ইতিমধ্যে একটি নেবু গাছের চারা তাদের গৃহপ্রাঙ্গনে রোপণ করা হয়৷ সবশেষে চার শতাধিক গ্রামবাসী সহ আনন্দমার্গীগণ মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷ এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে ১৪ জন নতুন ব্যষ্টি আনন্দমার্গের সাধনা পদ্ধতি শেখেন৷

২৪ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ডায়োসিসের মাসিক কর্মসূচী অনুযায়ী ৪ঠা ও ৫ই এপ্রিল,২০২৪ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনারোডের নিকটবর্তী বোরোজাম গ্রামে স্থানীয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ইউনিটের পরিচালনায় ২৪ঘন্টা ব্যাপী ৰাৰা নাম কেবলম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ও উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল৷ স্থানীয় মানুষজন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ ৫ই এপ্রিল দুপুরে মিলিত আহারে গ্রামবাসীগণ সহ উপস্থিত সকলেই অংশ নেন৷ কীর্ত্তন অনুষ্ঠান শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় করা হয়৷ কীর্ত্তন ও আনন্দ মার্গ আদর্শ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, রমেন্দ্রনাথ মাইতি, অসিত দত্ত প্রমুখ৷ এরপরে ছোটো আকারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৃহস্পতি দেব সিংহ, দীনবন্ধু আদক, জয়শ্রী নায়েক৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে দুটি নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মোহিত করে দেয় চিরস্মিতা নায়েক৷ এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার দায়িত্ব পালন করেন শিউলি নায়েক প্রতিহার৷ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এই ইউনিটে অনেক বছর আগে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান শুরু হয় সম্প্রতি পরলোকগত বিশিষ্ট আনন্দমার্গী গজেন্দ্রনাথ নায়েকের উদ্যোগে৷ এবছর এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তাঁদের পরিবারের সকলে৷

আমতায় জলসত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের হাওড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মত এবারেও ১লা বৈশাখ আমতা বাসস্ট্যাণ্ডে জলসত্রের আয়োজন করা হয়৷ সকাল ১০টা থেকে অপরাহ্ণ পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে বাতাসা ও ভিজে ছোলা প্রভৃতি দেওয়া হয়৷ তাপ-ক্লান্ত মানুষ খুব-তৃপ্তির সঙ্গে জল-ছোলা-বাতাসা খায়৷

আলিপুর দুয়ারে ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৭শে এপ্রিল আনন্দমার্গ সেবাদল মহিলা শাখার পক্ষ থেকে আলিপুর দুয়ার জেলার শলশলাবাড়ী সংলগ্ণ শিবকাটা ও গদাধর বস্তিতে শাড়ী, মশারী জামা প্যান্ট ও চুড়িদার বিতরণ করা হয়৷ প্রায় শতাধিক শিশুর হাতে বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হয়৷