অনেক দিন ধরেই জলসঙ্কটে ভুগছে কর্নাটকের বেশিরভাগ অঞ্চল৷ তার মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে৷ একটু জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে, এমনও দৃশ্য দেখা গিয়েছে৷ বিষয়টি আপাতত সামাল দেওয়া গেলেও আগামী দিনে কর্নাটকের ছবিটা যে খুব একটা স্বস্তির হবে না, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন৷
বেঙ্গালুরুতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল মাসখানেক আগে, এ বার সেই একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে দক্ষিণ ভারতের আরও চার রাজ্যে৷ কর্নাটকের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জল কমিশন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যের জলাধারগুলির মোট ধারণক্ষমতার ৮৩ শতাংশ জল ফুরিয়ে গিয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় জলস্তর অনেকটাই নেমেছে৷ ফলে এই রাজ্যগুলিতে আগামী দিনে জলসঙ্কটের একটা সম্ভাবনা তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷
জল কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর গড় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল গোটা দেশে৷ তার জেরে দেশের জলাধারগুলিতে জলস্তর নামতে শুরু করেছে৷ একেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে জলাধারগুলিতে জলের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ছে না, তার সঙ্গে সেই জল ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই জলাধারগুলির সঞ্চয় প্রায় তলানির দিকে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার জল কমিশন দক্ষিণের পাঁচ রাজ্যের জলাধারের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৫৩০৩ কোটি কিউবিক মিটার জল ছিল ওই রাজ্যের জলাধারগুলিতে, বর্তমানে রয়েছে ৮৮০ কোটি কিউবিক মিটার৷ এই পরিস্থিতিতে যে ভয়ানক সঙ্কটের মুখে দাঁড় করাবে পাঁচ রাজ্যকে, সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন জল কমিশনের ওই আধিকারিক৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সময়ে জলস্তর কমে যাওয়াটা আরও বেশি আশঙ্কার৷ গত বছরের তুলনায় এ বছর এই সময়ে জলস্তর দ্রুত নামছে৷ এখনও বর্ষা আসতে আরও এক মাসের বেশি সময় বাকি৷ ফলে পরিস্থিতি যে খুব একটা স্বস্তির নয়, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি৷ তবে তার মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছে মৌসম ভবন৷ এ বছর গড় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে৷ ফলে সেই সময় দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে৷