সংবাদ দর্পণ

কিডনি সমস্যা সহজে জানার জন্য তৈরী হ’ল অ্যাপ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এখন শরীরে গোপনে কিডনির কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না, কিংবা তৈরি হয়ে থাকলেও কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা জানার পথ সহজ করতে চালু হল অ্যাপ৷ সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে যা তৈরি করেছেন দুই নেফ্রোলজিস্ট৷ শনিবার শহরের একটি হোটেলে ‘নো ইয়োর কিডনি’ অ্যাপটির সূচনা হল৷ ওই দুই চিকিৎসক, এ শহরের স্মার্ত পুলাই এবং পটনার জামশেদ আনোয়ার জানান, যে কেউ খুব সহজেই নিজের মোবাইলে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন পুরোপুরি বিনামূল্যে৷ সেখানে শারীরিক সমস্যা বা জীবনযাত্রার বিষয়গুলি নথিভুক্ত করলেই কিছু পরীক্ষার কথা জানা যাবে৷ এর পরে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আবার অ্যাপে নথিভুক্ত করলে কোন বিষয়ের চিকিৎসককে দেখাতে হবে, তার পরামর্শ মিলবে৷ পাশাপাশি, যে কোনও মানুষ ওই অ্যাপের মধ্যেই নিজের বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টের রেকর্ড রাখতে পারবেন৷ আবার ডায়ালিসিস, প্রতিস্থাপন, ডায়েট ছাড়াও কিডনি সংক্রান্ত যে কোনও প্রশ্ণোত্তর বা তথ্য মিলবে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ভাষায়৷ তার বাইরেও কোনও প্রশ্ণ জানালে সেগুলির উত্তর দেবেন ওই দুই চিকিৎসক৷ স্মার্ত বলেন, ‘‘কিডনির সমস্যায় প্রথমে কোনও উপসর্গ থাকে না৷ ফলে, বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন৷ এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ প্রথম থেকেই সজাগ হতে পারবেন৷’’ এ দিন সূচনা অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র-সহ অন্যেরা উপস্থিত ছিলেন৷

১৮ বছর বয়সি মেয়ের গলব্লাডারে মিলল ৪ হাজার পাথর!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বি পি পোদ্দার হাসপাতালে হল সফল অস্ত্রোপচার৷ এতগুলি পাথর দেখে ওটিতেই তাজ্জব হয়ে যান চিকিৎসকরা৷ ফেব্রুয়ারি মাসে একদিন পড়তে বসে পেটে চিনচিনে ব্যথা টের পেয়েছিল সুপ্রভা৷ তবে সামনে যার উচ্চ মাধ্যমিক, সে কি আর ব্যথা নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ পায়! ব্যথা ভুলে বইয়ের পাতায় মন দিয়েছিল সে৷ জানায়নি মা-বাবাকেও৷ তাহলেই যে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তাঁরা৷ ডাক্তার, ওষুধ, ছুটোছুটিপাছে পড়ার সময় কম পড়ে! তবে পেটের চিনচিনে ব্যথা আর পাঁচটা সাধারণ ব্যথার মতো রইল না৷ পরীক্ষাটা কোনওমতে মিটতেই ব্যথা চরম আকার নিল৷ বাবা-মা জানতে পেরেই কালবিলম্ব না করে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে৷ বি পি পোদ্দার হাসপাতালের সিনিয়র ল্যাপারোস্কোপিক সার্জেন ডাঃ স্বস্তিক নন্দী নিদান দিলেন, গলব্লাডারের অসংখ্য স্টোনই এই ব্যথার কারণ৷ পরীক্ষানিরীক্ষার পর দেখা যায়, অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই৷ এদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছিল না৷ এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ অর্কজিৎ ঘোষের তত্ত্বাবধানে থেকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে করা হল অস্ত্রোপচার৷ অস্ত্রোপচার করতে করতেই অবাক বনে যান চিকিৎসকদের দল৷ গলব্লাডারে অনেক পাথর থাকবে, এ শঙ্কা তাঁদের ছিলই৷ তা বলে ৪ হাজার! অবাক বনে যান সকলেই৷ বাড়তি সাবধানতা ও সতর্কতা নিয়ে অস্ত্রোপচার শেষ হয়৷ এই জটিল অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে সারতে পেরে খুশি চিকিৎসকদের দল৷ তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাসপাতালের গ্রুপ অ্যাডভাইজার সুপ্রিয় চক্রবর্তী৷ জানান, ‘গলব্লাডার স্টোন বা হিস্টেরেক্টমি অপারেশনের ক্ষেত্রে তাদের হাসপাতালে ব্যবহৃত হয় ফোর কে  ল্যাপারোস্কোপিক সেট৷ এতে সাধারণ ল্যাপারোস্কোপের তুলনায় আরও ছোট ছিদ্র হয়৷ রক্তপাত ও ব্যথার পরিমাণ আরও কমে৷ সংক্রমণের শঙ্কাও প্রায় থাকে না৷’ ১৮-র সুপ্রভা এখন বেশ চনমনে৷ পেটের ব্যথা ভ্যানিশ! কেমন আছে জিজ্ঞেস করলেই বলছে, ‘স্টোনের চিন্তা আমার আর নেই৷ ওটা ডাক্তারকাকু বুঝে নেবে বলেছে৷ আমি শুধু ভাবছি পরীক্ষা তো ভালো হল, এবার রেজাল্টও যেন ভালো হয়!’ 

গার্লস প্রাউটিষ্টের সমাবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে কলিকাতায় একটি শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল৷ দুপুর ১২টায় ভি.আই.পি বাজার গার্লস প্রাউটিষ্টের কার্যালয় থেকে একটি ট্যাবলোসহ শোভাযাত্রা রুবি, গড়িয়াহাট, হাজরামোড় হয়ে রাজভবনে বিভিন্ন দাবী সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন৷ সেখান থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি হয়ে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের নিকটে সমবেত হয়৷ সেখানে একটি সমাবেশে বিভিন্ন বক্তা নারী পুরুষ বৈষম্য, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি অবহেলার অবসানের দাবী করে বক্তব্য রাখেন৷ বক্তাদের দাবী ছিল প্রাউটের বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ থেকে নারী পুরুষ বৈষম্য দুর করা সম্ভব৷ বক্তারা আরও বলেন--- প্রাউটের প্রয়োগ করেই আর্থিক বৈষম্য দুর করা সম্ভব৷ সভায় বক্তব্য রাখেন---অবধূতিকা আনন্দনিরুক্তা আচার্যা, ডঃ সুনন্দিতা ভৌমিক, তনিমা বৈরাগী, মল্লিকা মাইতি, গোপা শীল প্রমুখ৷ ওই দিন কলকাতা ছাড়াও মেদিনীপুর, টাটানগর, বালেশ্বর, ব্যাঙ্গালোর, আন্দামান সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়৷

কেন্দ্রীয় অর্থনীতি ব্যবস্থা বাতিলের দাবী আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন আমরা বাঙালী নেতা খুশীরঞ্জন মণ্ডল বলেন--- শাসক ও পুঁজিপতি গোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক লেন-দেনের অভিযোগ আমরা বাঙালী দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে৷ আজ সুপ্রীম কোর্টের কঠোর পদক্ষেপে নির্বাচনী বণ্ড প্রকাশ হওয়ায় আমরা বাঙালীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলো৷ প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশের আবাজও ফাঁকাবুলি৷ পুঁজিপতিরা অর্থবিনিয়োগ করে মুনাফা লোটার জন্যে সে ব্যবসায় হোক আর রাজনীতিতে হোক৷ অর্থের বিনিময়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে কবজায় এনে দেশীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী অর্থনীতির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে৷ তাই এই সরকার জনস্বার্থের পরিপন্থি৷ এই সরকারের দ্বারা জনগণের সার্বিক কল্যাণ কখনই সম্ভব নয়৷ শ্রীমণ্ডল বলেন--- অর্থনীতিকে যদি সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হয় তবে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি ব্যবস্থাকে বাতিল করে প্রাউট নির্দেশিত পথে ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ প্রাউটের এই বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই পুঁজিপতি গোষ্ঠীর ঔপনিবেশিক, সাম্রাজ্যবাদী ও ফ্যাসিষ্ট শোষণের অবসান ঘটাবে৷ এর জন্যে প্রয়োজন উন্নত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস৷

নির্বাচনী বণ্ড---শাসক শোষকের অশুভ আঁতাত সবকা বিকাশের পরিপন্থী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ এক আলোচনা সভায় নির্বাচনী বণ্ড প্রসঙ্গে বলেন এটা শাসক শোষকের অশুভ আঁতাত, সবকা বিকাশের পরিপন্থী৷ এখানে শাসক ও শোষকের পরস্পরের স্বার্থজড়িত৷ এই আর্থিক বোঝাপড়ার সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণের কোন  সম্পর্ক নেই৷ পুঁজিপতিরা রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দেয় তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে৷ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেটা ওই ধনকুবেরাই যোগায়৷ প্রতিদানে তারা শাসকের কাছ থেকে আর্থিক মুনাফা লোটার সুযোগ পায়৷ শ্রী খাঁ বলেন--- নির্বাচনী বণ্ডের এখনও পর্যন্ত যতটুকু প্রকাশ পেয়েছে তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার নির্বাচনী বণ্ডের সিংহভাগ টাকা কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির ঘরে গেছে৷ প্রতিদানে শাসকদল তাদের মুনাফা লোটার বরাদ্দ পাইয়ে দিয়েছে৷ তিনি বলেন---স্বাধীনতার আগেও দেশীয় পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ শাসককে শক্তি যোগাত৷ এখন তারা দেশীয় শাসককে শক্তি যোগায় প্রতিদানে জনসাধারণের পকেট কেটে মুনাফা লোটার সুযোগ পায়৷ প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ রাজনৈতিক বুলিমাত্র৷ পুঁজিবাদের তোষণ আর সর্বসাধারণের বিকাশ একসঙ্গে হয় না৷ শ্রী খাঁ আরও বলেন--- মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অচেতনতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পুঁজিপতি গোষ্ঠীর এই আর্থিক লেনদেনই সমাজে বৈষম্যের কারণ৷ অর্থের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে পুঁজিপতিগোষ্ঠী৷ জনগণের নির্বাচিত শাসক পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত দাস৷ পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন--- বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে শতছিদ্র৷ আর সেই ছিদ্রপথেই রাষ্ট্র ক্ষমতার মাথায় চড়ে বসেছে পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ রাষ্ট্র কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ নতুবা পুঁজিবাদী আগ্রাসন আরও ভয়ঙ্কর হবে৷ গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাতেও পরিবর্তন করতে হবে৷ জনগণকে সামাজিক-অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন করতে হবে৷ তবেই সবকা সাথ সবকা বিকাশের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷

প্রাউটিষ্ট ছাত্রযুব সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৭ই মার্চ বীরভূম জেলার ইমাদপুর আনন্দমার্গ স্কুলে প্রাউটিষ্ট ছাত্র-যুব সমাজ আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনা সভার আয়োজন করেন ইয়ূনিবার্র্সল প্রাউটিষ্ট স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন ও ইয়ূথ এ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত আচার্য সর্বজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জগতের অবক্ষয় দূর করতে ছাত্র যুব সমাজের ভূমিকা ও ছাত্র ছাত্রাদের আদর্শ চরিত্র ঘটনে আত্মিক অনুশাসন, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রয়োজন৷ আলোচনা করেন ইমাদপুর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সুধাব্রতানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷

 প্রাউট প্রসঙ্গে আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বারাসাত সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে গতকাল সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হ’ল প্রাউটের আলোচনা সভা৷ এটির আয়োজন করেছিলেন *প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্সাল, বারাসাত শাখা৷ এই আলোচনা সভায় আলোচনা করেন (১) ডঃ অমিতা মজুমদার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা, মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ), (২) ডঃ সুস্মিতা চ্যাটার্জী (সহকারী অধ্যাপিকা, অর্থনীতি বিভাগ,মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ), (৩) শ্রীমতি কাকলি সরকার (প্রধান শিক্ষিকা, মাসুন্দা গার্লসহাইস্কুল), (৪) আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, (এডিটর, নোতুন পৃথিবী) ও (৫) শ্রী তপোময় বিশ্বাস,বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট৷ এঁরা প্রাউটের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন ও মন্তব্য করেন যে আজকের এইসামাজিক-মানবিক অবক্ষয়ের যুগে ও মানুষের অতি ধনী-অতি গরীবের পরিস্থিতিতে প্রাউট-ই একমাত্রসমাধান৷ প্রাউট সমস্ত অসুখের মকরধবজ৷ সমাজের সমস্ত সমস্যা সমাধানের একমাত্র দর্শন৷ সম্মানীয়বক্তাগণেরা আরও জানান যে প্রাউটের চমৎকারিত্ব হচ্ছে যে প্রাউট দর্শন প্রণেতা মহান দার্শনিকশ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার অর্থনীতির সাধারণ দুটি বিভাগ (সাধারণ অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক অর্থনীতি)ছাড়াও গণ অর্থনীতি ও মানস অর্থনীতি নামে অতিরিক্ত দুটি বিভাগ যোগ করেছেন যা কি-না যুগান্তকারী ওবৈপ্লবিক হিসাবে বর্তমানের অর্থনীতিবিদরা স্বীকার করেছেন৷ এছাড়া ক্রয় ক্ষমতা, ব্লকভিত্তিকপরিকল্পনা, সুতুন্তলিত অর্থনীতি, অর্থনীতির বিকেন্দ্রীয়করণ, মানুষের নৈতিক মান, মিশ্র চাষ, জলসংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে বিষদভাবে তাঁর পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়েছেন৷শিক্ষা বিষয়ে শ্রীসরকারের যে অভিমত তা ব্যক্ত করেছেন শ্রীমতি কাকলি সরকার৷ এখনকার এইবানিজ্যিক শিক্ষার সঙ্গে প্রাউটের শিক্ষার যে পার্থক্য তা তিনি বুঝিয়েছেন৷ আলোচনা সভার সভাপতিআচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত সকল বক্তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন ও সকলকে প্রাউট আরও পুঙখানুপুঙ্ক ভাবে জানতে আহবান করেছেন৷ ট্রেন সার্ভিসের গোলযোগের পরেও এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য উপস্থিত সকল শোতৃবর্গকে ও সম্মানীয় অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন ও সকলকে প্রাউটের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আদর্শ মানব সমাজ গড়ার আহবান জানান শ্রীসন্তোষ কুমার বিশ্বাস৷

 

গোবরডাঙ্গায় আলোচনা চক্র

সংবাদদাতা
গোবিন্দ বিশ্বাস
সময়

গত ৯ই মার্চ, উঃ২৪পরগণা জেলার গোবরডাঙ্গায় গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনার বিষয় ছিল ‘এবারের নবজাগরণ কোন পথে৷’ উক্ত আলোচনাচক্রে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গোস্বামী৷ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দীপক কুমার দাঁ, ভাস্কর সুর, রাজীব মিশ্র প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন দীপঙ্কর দাঁ৷ বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে বিশ্বজুড়ে মানব সংহতির অবক্ষয় এক গভীর সংকটের আবর্তে পড়েছে৷ দুর্নীতি ছল চাতুরী রাজ্য দেশের সীমা অতিক্রম করে বিশ্বজুড়ে বিস্তার করেছে৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সমাজ কল্যাণমূলক কাজ চাকুরী বিভিন্ন ক্ষেত্র দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়ছে৷

কাকদ্বীপে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই মার্চ দঃ২৪পরগণা জেলার কাকদ্বীপ আনন্দমার্গ স্কুলে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৮-৩০ মিনিটে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ এরপর ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টা কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য উদ্ভাসানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা৷ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনার পর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য উদ্ভাসানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা৷

হোয়াইট হাউসে ২০২৪ সালের পুরস্কার পেলেন একজন বাঙালী আইনজীবী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রতি বছর মার্চ মাসটিকে আমেরিকায় ‘জাতীয় মহিলা ইতিহাস মাস’ হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়৷ এই মাসেরই প্রথম সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত কিছু মহিলাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করে বিদেশ দফতর৷ ২০০৭ সাল থেকে ৯০টি দেশের ১৯০ জন মহিলা এই সম্মান পেয়েছেন৷ যাঁরা অদম্য ও ব্যতিক্রমী, সাহস ও শক্তি নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে, প্রান্তবাসী মানুষের ও নারী এবং শিশুদের অধিকার চেয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, অজস্র প্রতিকূলতাতেও হারেননি, তাঁদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য৷ ২০২৪ সালে এই সম্মান প্রদর্শনের ১৮ বছর পূর্ণ হল৷ এ বছর এই পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ-সহ ১২ জন সাহসিনী৷ অনুষ্ঠানে ছিলেন ফার্স লেডি জিল বাইডেন এবং বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন৷ পুরস্কারপ্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তান, বেলারুস, মায়ানমার, উগান্ডা, জাপান, গাম্বিয়া, বসনিয়া ও হাজর্েগোভিনা, কিউবা, ইকুয়েডর, ইরান এবং মরক্কোর নাগরিক, যাঁরা নিজেদের দেশে প্রতিনিয়ত এ রকম দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে চলেছেন৷ ত্রিশ বছর ধরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমজীবী মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন বাঙালি আইনজীবী ফৌজিয়া৷ তাঁর প্রতিষ্ঠিত আইনি সংস্থা, ‘ফাউন্ডেশন অব ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বাংলাদেশের গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষা বা তাঁদের উন্নতির জন্য তৈরি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে প্রমাণ করে যে, ২০১৫ সালে গৃহীত ওই আইন বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়৷ পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য ফৌজিয়া নিজে প্রায় তিন হাজার মামলা করেছেন৷ পোশাক শিল্প কর্মীদের সংগঠন, ‘দ্য বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশন’ শুরু করতে এবং সে দেশে ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স গাইডলাইনস’ বা গৃহকর্মীদের নির্দেশিকা তৈরি করাতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার‌্য৷

২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ উইমেন্স লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফৌজিয়া৷ ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সহ যে কোনও স্থানে মেয়েদের যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে যে দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছিল, তার পিছনে যে আইনজীবীদের অবদান ছিল, তাঁদের মধ্যে ফৌজিয়া অন্যতম৷ তিনি অ্যাসিড আক্রমণের শিকার যে সব মেয়ে, তাঁদের নিয়ে তৈরি ‘সার্ভাইভার ট্রাস্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য৷

ফৌজিয়া-সহ ১২ জনের হাতে সম্মান-ফলক তুলে দিয়ে বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘‘আপনারা সচেতন ভাবে ‘সাহসী’ হওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন৷’’ আর ফৌজিয়ার কথায়, কথায়, ‘‘শান্তি ও সাম্য বজায় রাখার লক্ষে, বৈষম্য এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই সাহসিকতা৷’’