সংবাদ দর্পণ

আমেরিকার এক ব্যক্তির মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে ফিতাকৃমি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কয়েক দিন ধরেই মাথা যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন৷ ভেবেছিলেন, মাইগ্রেনের ব্যথা৷ তাই বিশেষ গুরুত্ব দেননি৷ কিন্তু, যন্ত্রণা সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়৷ প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, মাইগ্রেন নয়, ওই ব্যক্তির মাথায় বাসা বেঁধেছে ফিতাকৃমি৷ সেই কারণেই মাথা যন্ত্রণা করছে৷ এটা দেখার পর চিকিৎসকেরাও অবাক হয়ে গিয়েছেন৷ মাথার মধ্যে কী ভাবে ফিতাকৃমি বাসা বাঁধতে পারে, সেই কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা শুরু করেন চিকিৎসকেরা৷ জানা যায়, আধসেদ্ধ বেকন খেয়েই এমন হয়েছে৷ এই ধরনের ফিতাকৃমি জন্ম নেয় শূকরের শরীরে৷ ফলে শূকরের মাংসের মাধ্যমেই কৃমি মানুষের শরীরে পৌঁছয়৷ তাই বেকন বা শূকরের মাংস খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়৷ শুধু ধুলেই হবে না ভাল করে সেদ্ধ করেও নিতে হবে৷ আধসেদ্ধ বেকন খেলেই নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়৷ তার মধ্যে অন্যতম ‘নিউরোসিস্টিসারকোসিস’৷ শূকরের চলাচলের স্থানে খালি পায়ে হাঁটলেও এই অণুজীব শরীরে প্রবেশ করতে পারে৷

ওই ব্যক্তি যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম ‘নিউরোসিস্টিসারকোসিস’৷ এই ধরনের রোগে পরজীবী প্রাণী মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ডিম পাড়ে৷ শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এর ফলে৷ ফিতাকৃমি মস্তিষ্কে ডিম পাড়ার পর থেকেই নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে৷ ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে৷ মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে৷

চিকিৎসকেদের মতে, শৌচালয় ব্যবহার করার পরে হাত না ধুলেও অনেক সময় এই ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ পরিসংখ্যান বলছে, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি হন৷ এই সংক্রমণ রুখতে খাবার খাওয়ার আগে ভাল করে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা৷

আনন্দমার্গে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ব্যারাকপুর ঃ গত ৯ই ও ১০ই মার্চ ব্যারাকপুর ডায়োসিসের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন গুরুকূল সচিব আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ ডায়োসিসের শতাধিক মার্গী ভাইবোন সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ও সাংঘটনিক কাজ কর্মের পর্যালোচনা করা হয়৷ সমস্ত অনুষ্ঠানের পরিচালনায় ছিলেন ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস৷

কলকাতা ঃ গত ৯ই ও ১০ই মার্চ কলকাতা ডায়োসিসের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ভিআইপি নগর আনন্দমার্গ আশ্রমে৷ ডায়োসিসের মার্গী ভাইবোনেরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷ আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সেমিনার আয়োজন করেন কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান সুনন্দ সাহা ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷

নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে উদ্‌যাপন হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১১ই মার্চ সোমবার নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস৷ কলকাতা ও সংলগ্ণ জেলাগুলি থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ভক্তবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এই উপলক্ষ্যে নোতুন পৃথিবী ভবন ও অনুষ্ঠানস্থলকে পুষ্পাদির দ্বারা সুন্দরভাবে সাজানো হয়৷ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান৷ সকাল ৯টাকা থেকে শুরু হয় সিদ্ধ অষ্টাক্ষর মহামন্ত্র ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ অখণ্ড কীর্ত্তন৷ বেলা বারোটায় কীর্ত্তন শেষে শুরু হয় সমবেত ধ্যান, বর্ণাঘ্যদান ও ধর্মশাস্ত্র পাঠ৷ এরপর শুরু হয় আলোচনা৷ মার্গের আদর্শের প্রচারে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা ও মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিশেষ গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের সেক্রেটারী জেনারেল আচার্য কল্যানেশ্বরানন্দ অবধূত ও মার্গের প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ নোতুন পৃথিবী পত্রিকার ইতিহাস সম্বন্ধে আলোচনা করেন নোতুন পৃথিবীর প্রাক্তন সম্পাদক আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন--- মার্গগুরুদেবকে প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র পড়ে শোণানো হত, তিনি দশমিনিট শুণতেন নোতুন পৃথিবীর খবর বাকী দশ মিনিট অন্য দশটি পত্রিকা৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দীর্ঘদিন মার্গগুরুদেবের ঘনিষ্ট সহচর্যে থেকে মার্গের কাজ করে গেছেন৷ এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নোতুন পৃথিবীর শুরুর দিন থেকে যুক্ত বর্ষীয়ান প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ৷ এরপর বর্তমান সম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷ অপরাহ্ণে পাঁচ শতাধিক স্থানীয় মানুষদের নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷

সিএএ বিধি বলবৎ করতে জারি হলো বিজ্ঞপ্তি নাগরিকত্ব হারাবার আশঙ্কায় ছিন্নমূল বাঙালী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ১১ই মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিএএ (সিটিজেনশিপ এমেণ্ডমেন্ট এ্যাকট বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) কার্যকর করার কথা জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সিএএ কার্যকর হয় ২০১৯-২০ সালের ১০ই জানুয়ারী৷ তবে প্রয়োজনীয় বিধি তৈরী না হওয়ায় এতদিন সবপক্ষই নীরব ছিল৷ কিন্তু চারবছর পর দেশবাসী যখন লোকসভা নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষনা শোণার জন্যে অপেক্ষা করছেন সেই সময় অকস্মাৎ সিএএ বিধি বলবৎ করার বিজ্ঞপ্তি জারি হলো৷ এখন যে কেউ চাইলেই নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করতে পারে৷

কিন্তু প্রশ্ণ আবেদন করলেই কি নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে? কেউ কেউ অবশ্য ক্যা বলবৎ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন কেউ যেন নাগরিকত্ব প্রাপ্তির আবেদন না করেন৷ আবেদনের প্রথম শর্তই হলো নিজেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে স্বীকার করে নেওয়া৷ এরপর জটিল প্রক্রিয়া পেরিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়া বড়ই কঠিন৷

সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঙ্ঘাধিপতি সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন---যারা অত্যাচারের কারণে অন্যদেশ থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা কোন নথি সঙ্গে এনেছে যে জমা দেবে৷ তাদের অনেকের কাছেই ভোটার কার্ড আধার কার্ড রয়েছে, যারা ভোট দিয়ে সাংসদ বিধায়ক নির্বাচন করেন তারা তো এমনিতে নাগরিক৷ তাহলে আবার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্যে আবেদন করার কি দরকার৷ তিনি আরও বলেন---আমরা প্রথম থেকেই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব পাওয়ার দাবী করে আসছি ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যারা ভারতে এসেছে তাদের জন্যে৷ কিন্তু আইনে এমন সব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে যেন সব ঘর গুছিয়ে ভারতে থাকার জন্যে দেশ ছেড়ে এসেছে৷ সরকারের নাগরিকত্ব দেওয়ার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ণ এখানেই৷

যে সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসেছেন এবং ইতিমধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পাননি, তাঁদের আবেদন করতে হলে আজকের প্রকাশিত রুলের তফশিল ১-এ-তে উল্লেখিত যে কোনও একটি কাগজ দাখিল করতে হবে৷ সেইগুলো হল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের পাসপোর্ট, বার্থ সার্টিফিকেট, স্কুল সার্টিফিকেট, জায়গার দলিল বা ভাড়াটে থাকার দলিল বা যে কোনও ধরনের পরিচয়ের প্রমাণপত্র বা মা- বাবা, ঠাকুরদা-ঠাকুমার ওই সব দেশের বাসিন্দা থাকার প্রমাণপত্র বা ভারতের বিদেশি হিসেবে নথিভুক্ত থাকার প্রমাণপত্র৷ এ ছাড়াও মা-বাবার জন্মের তারিখের প্রমাণ, যেমন মা-বাবার বার্থ সার্টিফিকেট বা পাসপোর্ট৷ আর এগুলো না থাকলে আবেদনকারীর বার্থ সার্টিফিকেটে মা-বাবার ওইসব দেশের নাগরিকত্বের স্পষ্ট উল্লেখ থাকতেই হবে৷ এ সব কাগজপত্র ক’জনের আছে? সম্ভবত কারোরই নেই, তাহলে আবেদন করতেই পারবেন না৷ আশায় গুড়েবালি!

এছাড়াও, অনলাইনে আবেদন করলে সেই আবেদন প্রথমেই যাবে জেলা প্রশাসনের কাছে ভেরিফিকেশনের জন্য৷ আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে শপথনামায় স্বাক্ষর করতে হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে৷ তারপর জেলা পর্যায়ের কমিটি সেই শপথনামা অনলাইনে আপলোড করে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট সহ পাঠাবে এম্পাওয়ার্ড কমিটিতে৷ এম্পাওয়ার্ড কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷ প্রক্রিয়াটি মোটেই সহজ নয়৷ নিজেকে বিদেশি বলে ঘোষণা করতে হবে৷ ভারতে থাকার প্রমাণ দিতে হবে৷ ভোটার তালিকায় নাম থাকা ভারতে থাকার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া যাবে না, যদিও রেশন কার্ড, সেন্সাস স্লিপ ইত্যাদি দেওয়া যাবে৷ এটা স্পষ্ট, এই নিয়মে আবেদন করে নাগরিকত্ব পাওয়া দূরাশা মাত্র৷ তাই নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদে ফেলে বাঙালীকে বিদেশী বানাবার চক্রান্ত চলছে৷

নিশর্ত নাগরিকত্বের দাবী ঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ এর ধারাগুলো গতকাল কেন্দ্র সরকার কর্তৃক বলবৎ করাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এবং বিশেষ করে আসামে যে বিভাজনের রাজনীতি আবারও শুরু হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সি আর পি সি সি, আসাম৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় বলা হয় যে দেশভাগের বলি অবিভক্ত ভারতের নাগরিকদের নিঃশর্তে নাগরিকত্ব প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি জাতীয় নেতারা ১৯৫০ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের রুলস তৈরি করা হয়েছে৷ শরণার্থীদের নিশর্থে নাগরিকত্ব প্রদানে আইনি সমাধান সুত্র বের করা না হলে আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না৷ কেন্দ্র সরকার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটানোর লক্ষ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে ধারাগুলো বলবৎ করেছে৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক পূর্বে একই উদ্দেশ্যে দেশের নাগরিকদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে সংসদে সংখ্যাধিক্যের জোরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন গৃহীত হয়েছিল৷ বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সুপ্রিম কোর্টে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে যা আজও চলছে৷ ফলে এই আইনের ভবিষ্যত নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ সি আর পি সি সি, আসাম এর পক্ষ থেকে দেশভাগের বলি নাগরিকদের নিশর্থে নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি জানায়৷

মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও দাবী করেন কোন আবেদন নয়, আমাদের দাবী নিশর্ত নাগরিকত্ব প্রদান৷

হিংস্র দুঃসময়ের সম্মুখীন বাঙালী

লেখক
আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এন আর সি-র কালো ধোঁয়া, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অন্ধগলি, রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা, রাজনৈতিক তঞ্চকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক সাম্প্রদয়িক বিভেদ, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়, শিক্ষার পবিত্র অঙ্গণে উচ্ছৃঙ্খলতা, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতা, ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ধর্মান্ধদের উন্মত্ততা, ব্রিটিশ পরবর্তী হিন্দী সাম্রাজ্যবাদীর অনুপ্রবেশ, আদর্শহীন ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পররাজ্যবাসীদের তোষণ---বাঙালীর জীবনে সূর্যোদয়ের সকালটাও কালো অন্ধকারে ঢেকে দেয়৷

দেশবন্ধু সুভাষচন্দ্রের আদর্শ, ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকী সূর্যসেন, বাঘাযতীন.....সহস্র বাঙালীর আত্মত্যাগ বৃথা! সব ব্যর্থ৷ বাঙালীর আত্মত্যাগে রক্তদানে যে স্বাধীনতা (!) অর্জিত হ’ল সেই স্বাধীনতাই আজ বাঙালীকে বিদেশী বানাবার হুমকী দিচ্ছে৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন---এতো শুধু বাঙালীর জন্যই হয়েছে৷ দেশভাগের বলি বাঙালীকে আজ দেশ থেকে তাড়াবার চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ বাঙালী ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতির ঝাণ্ডা নিয়ে অন্ধ গলিতে ঘুরে মরছে৷ কবে বাঙালীর জীবন থেকে এই কাল রাত্রির অবসান হবে?

স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁর আত্মত্যাগ, অবদান অনস্বীকার্য স্বাধীন দেশ থেকে তাকেই রাষ্ট্রহীন করর এই প্রয়াস কেন? পরাধীন ভারতে যে বাঙলা শিল্পে, সাহিত্যে, বিজ্ঞানে, শিক্ষায়, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, কৃষিতে সবার আগে ছিল সে কেন স্বাধীন দেশে এত পিছে, এত নীচে, এত অবজ্ঞার!

গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত নাগরিক সংশোধন আইন৷ ধর্মীয় মতবাদের সুড়সুড়ি দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি বাঙলায় অনেকটাই জলো হয়ে গেছে৷ তাই এবার নতুন পথে শরণার্থী অনুপ্রবেশকারী-নাগরিকত্ব প্রদানের টোপে বিভাজনের বিষ৷

কী অপরাধ বাঙালীর! বাঙালীর সবচেয়ে বড় অপরাধ সে শুধু ক্ষমতার মধু পান করার জন্য স্বাধীনতা চায়নি, বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ণ ছিল পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের অবসান, অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা৷ ১৯৩৮ সালে প্রথমবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সুভাষচন্দ্র দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিলেন --- ‘‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সাহায্যে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷ এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও দিতে হবে৷’’

কংগ্রেসে শুরু হ’ল সুভাষ উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র৷ সাম্রজ্যবাদী ব্রিটিশ ও তার দেশীয় পুঁজিপতি বন্ধুরা কংগ্রেসকে এই কাজে মদত দিয়েছিল৷ আর এই কাজে কমিউনিষ্ট ও আর এস. এসও সুভাষ বিরোধী শক্তিকেই সমর্থন করেছে৷ সেদিন সুভাষ বিরোধিতায় ডান, বাম, রাম ঐক্যবদ্ধ ছিল কারণ দেশীয় পুঁজিপতিদের সাহায্য শুধু ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নয়, স্বদেশপ্রেমী রাজনৈতিক দলগুলোও পেত৷ বাঙালীর দুর্ভাগ্য ডান-বাম-রামের এই কাজে সহযোগিতা করার নেতার অভাব বাঙলায় হয়নি৷ আজও যেমন বাঙালী উচ্ছেদের কালাকানুন নাগরিত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে শক্তি ও সময় বেশী ব্যয় করছে৷ হায়! বাঙালী নিজের ভালোটা কবে বুঝবে?

বিশ্বকবি লিখেছেন---‘‘সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্দ জননী রেখেছো বাঙালী করে, মানুষতো করনি’’৷ কিশোর সুভাষ এক পত্রে তাঁর মাকে লিখেছিলেন---‘‘মা, বাঙালী কি কখনো মানুষ হইতে পারিবে?’’

কোটি টাকার প্রশ্ণ ৷ বাঙালী যদি সেদিন সত্যিই মানুষ হ’ত, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মদতপুষ্ট ডান, বাম, রাম ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হ’ত তাহলে সুভাষচন্দ্র নিরুদ্দেশ হতেন না, দেশে সাম্প্রদয়িক দাঙ্গা হতো না, দেশভাগ হত না, বাঙালীকে আজ এই দুর্ভোগ সহ্য করতে হ’ত না৷ এত আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত তবু কপট রাজনীতির মোহ ত্যাগ করে বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে কই? বরং পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদীর হাতের পুতুল হয়ে দিশাহীন আদর্শহীন ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতিতে মত্ত৷ ব্যর্থ তাঁর আত্মত্যাগ, ব্যর্থ তাঁর দেশপ্রেম, নিস্ফল তাঁর আদর্শ বোধ৷ যদি বাঙালী মানুষ হ’ত তাহলে বাঙালীর আজ এই দুর্দশা হোত না৷ স্বভূমিতেই তাকে পররাজ্যবাসীর হাতে মার খেতে হ’ত না, বিতাড়নের হুমকী শুণতে হ’ত না৷

সত্যই কী তাই? না, তা নয়৷ বাঙালীর এই পরিচয় সব নয়, পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের শিকার হয়ে কিছু বাঙালী ভ্রান্ত পথে চলছে৷ স্বার্থলোভ ক্ষমতার মোহ তাদের গ্রাস করেছে৷ তবু বাঙলায় মানুষ আছে৷ এই তঞ্চকতার রাজনীতি, ভাতৃঘাতী রাজনীতি ছেড়ে আবার জেগে উঠবে৷

যার নিজের পায়ের নীচের মাটি নড়বড় করছে, প্রতিনিয়ত যাকে রাষ্ট্রহীন হওয়ার আতঙ্ক তাড়া করছে, স্বভূমিতে যার গায়ে বিদেশীর তকমা তার তো অস্তিই বিপন্ন৷ তার ভারত প্রেম বিশ্বপ্রেম সবই ভড়ং৷ বাঙালী এই ভণ্ডামী ছেড়ে রুখে দাঁড়াবেই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে, শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে৷ আবার জেগে উঠবে ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশ, সূর্যসেন, বাঘাযতীন.....বাঙলার দামাল ছেলেরা৷ বিশ্বকবির ভবিষ্যৎবাণী সত্য হবে--- ‘‘বাঙালী অদৃষ্ট কর্ত্তৃক অপমানিত হয়ে মরবে না৷... প্রচণ্ড মার খেয়েও বাঙালী মারের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াবে৷’’

ঠাকুরনগরে ইউবিপি সম্মেলন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ৩রা মার্চ ঠাকুরনগর আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হ’ল ইউবিপি ও ইউনিট সেক্রেটারীর সম্মেলন৷ জেলার বিভিন্ন ব্লকের উপভুক্তি প্রমুখ ও ইউনিট সেক্রেটারীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ তিনি প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করানোর পাশাপাশি কী করে কার্য সম্পাদনে সাফল্য পাওয়া যায় সেটা বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি সকলকে মিলিতভাবে বাবার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানালেন৷ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তির কো-অর্ডিনেটর আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, আর এস-আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত, সি এস সেবাদল - আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত, দুই ডি এস আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত ও আচার্য উদ্ভাসানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ রেখা আচার্যা, ডি এস এল- অবধূতিকা আনন্দ প্রীতিসুধা আচার্যা প্রমুখ৷

বেহালা ক্ষুদিরামপল্লীতে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা, ২রা ও ৩রা মার্চ বেহালা ক্ষুদিরামপল্লীর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী লক্ষণ মণ্ডলের বাসগৃহে ১৬প্রহর ব্যাপী অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পাশাপাশি সমাজসেবা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করে৷ দুঃস্থ মানুষের হাতে শিক্ষা সামগ্রী ও ছাতা বিতরণ করা হয়৷

গোড্ডায় গার্লস প্রাউটিষ্টের শোভাযাত্রা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৬ই আগষ্ট ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় গার্লস প্রাউটিষ্টের ঝাড়খণ্ড শাখার উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা গোড্ডা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়৷ নারী জাতির মর্যাদা রক্ষা ও দৈহিক মানসিক আত্মিক বিকাশের বিভিন্ন দাবী সহ একটি স্মারকলিরি কমিশনারের হাতে তুলে দেন গার্লস প্রাউটিষ্টের নেতৃবৃন্দ৷ শোভাযাত্রায় শতাধিক সদস্যা উপস্থিত ছিলেন৷

 

কর্পোরেট সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মোদি সরকারের শ্লোগান---সবকা সাথ সব্‌কা বিকাশ, কিন্তু সরকার যখন কর্পোরেটএর কর্তাদের হাতে যায়--- তখন সেই সরকার সব্‌কা বিকাশ নয় ধনির মুনাফা নিয়ে পরিকল্পনা গড়বে৷

খবরে প্রকাশ মোদি সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে কর্পোরেট কর্তাদের নিয়োগ করবে৷ অবিলম্বে সরকারী সংস্থার ডিরেক্টর, জয়েন্ট ডিরেক্টর, চেয়ারম্যান, সচিব প্রভৃতি পদে কর্পোরেট কর্তাদের নিয়োগ করা হবে৷ বিরোধীদের মতে শাসক বণিকের এই সমন্বয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে৷ মোদি সরকার জনগণের নয়, কর্পোরেট সরকার৷

২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ইসরো

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর নজির গড়তে চলেছে ভারত৷ মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চলেছে ভারত৷ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই৷ ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন কার্যকর হতে পারে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ইসরোর প্রধান৷ এই স্পেস স্টেশনটিকে নিম্ন কক্ষপথে অবস্থান করানো হবে৷ নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’৷ স্পেস স্টেশনের ভিতরে দুই থেকে চার জন নভশ্চরের থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷ এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার জানান, ভারতের অন্যতম ভারী রকেট ‘বাহুবলী’ এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (এলভিএম-৩)-এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের অংশগুলি মহাকাশে পাঠানো হবে৷ পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে স্থান পাবে ভারতের স্পেস স্টেশন৷ মহাকাশে ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ এবং ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ সংক্রান্ত নানা রকম গবেষণা করা হবে এই স্পেস স্টেশনে৷ এই স্পেস স্টেশনের ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে চার লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছে৷ স্পেস স্টেশনের জন্য উন্নত মানের ডকিং পোর্টও নির্মাণ করবে ইসরো৷ ভারতীয় মহাকাশচারীদের পৃথিবীর সীমানার বাইরে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ইসরো৷ সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান’৷ চলতি বছরেই ‘গগনযান’ মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারে৷ সেই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরলের তিরুনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভশ্চরের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ চার জনই ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) আধিকারিক৷ তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন শুভাংশু শুক্ল৷ উইং কমান্ডার কিংবা গ্রুপ ক্যাপ্ঢেন হিসাবে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন৷ বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের৷ মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো৷ গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো৷ সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-’২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করবে ইসরো৷