ছোট্টবেলায় অনেক ছোট তখন
ভালবাসতাম যে পাখীদের গান
গানের কথা স্পষ্ট হ’ল এখন
‘তোমরা মোদের দিচ্ছ না সম্মান’৷
মনে-পড়ে সেই ভোরের বেলার ডাক
‘ছোট্ট সোনা ঘুমিয়ে কেন থাকো,
ওঠো নয়তো করবোই হাঁকডাক
হাত-মুখ ধুয়ে অ-আ-ক-খ শেখো৷’
দুয়ারে এসে বসতো শালিক কটা
সঙ্গে চড়ুই আর দোয়েলের দল,
নেচে গেয়ে কইত কি সব কথা
ভাবলে পরেই চোখ করে ছলছল৷
উঠল যেথায় উঁচু অট্টালিকা,
সেথায়ই-তো মিলত পাখীর দেখা,
হারিয়ে গেছে তাদের সুর ও কথা
এখন শুধুই শূন্যতে মুখ দেখা৷
হঠাৎ সেদিন ভোরের বেলায় দেখি
পুরোনো সেই দিনের একটি পাখী
চেহারায় নেই একটুও ঝিকিমিকি
বলল আমায়---দিলেম তোমায় ফাঁকি৷
এই না বলে উড়তে যাবে যেই
হাত বাড়িয়ে ধরেই তাকে ফেলি
বলি তারে---রাগ করতে নেই
বন্ধু তোমায় কেমন করে ভুলি?
স্বপ্ণেতে সে কষ্ট করে হাসে
কণ্ঠস্বরে চাপা অভিমান
‘প্রতিদানটা পেলাম ভালবেসে
তাড়িয়ে দিলে করলে অসম্মান৷’
দাঁড়িয়ে দেখি অট্টালিকার ছাদে
লোহার জালের উঁচু টাওয়ারখানি,
এর জন্যেই পাখীরা সব কাঁদে
এর বিষেই পাখীর জীবনহানি৷
আমার আমি উঠছে যে আজ জেগে
আবার হবে প্রভাত পাখীর গান,
আকাশ-বাতাস মাতিয়ে আসবে তেজে
শত-সহস্র পাখীর কলতান৷
- Log in to post comments