মানুষ মাত্রেই সূর্যালোকের সাহায্যে দেখে থাকে৷ বলতে পারি, সূর্য হ’ল মানুষের চক্ষুস্বরূপ৷ কিন্তু চোখের কোন ত্রুটি থাকলে মানুষ দেখতে পায় না৷ তার জন্যে সূর্যকে তো আর দায়ী করা যায় না৷
পরামাত্মা হলেন বিশ্বের সকল আত্মার আত্মা৷ পরমাত্মা থেকেই মানুষ তার শক্তি পেয়ে থাকে৷ এই বিশ্বের কোন কিছুরই মালিক মানুষ নয়, মালিক হলেন পরমাত্মা কারণ সব কিছুই তাঁর থেকে উদ্ভূত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁতেই মিশে যায়৷ তুমি চেষ্টা করেও মৌলিক কোন কিছু সৃষ্টি করতে পার না, কারণ সব কিছু তাঁর থেকেই উদ্ভূত৷ যদি তুমি কোন বস্তুর অপব্যবহার করো তার জন্যে পরমাত্মাকে দায়ী করা যায় না৷ এর জন্যে দায়ী তুমি, এর জন্যে তোমারই শাস্তি প্রাপ্য৷ এর জন্যে তোমাকেই ফলভোগ করতে হবে৷
সেই পরমপুরুষ তোমার পরম মিত্র৷ কোন অবস্থাতেই তুমি একাকী নও৷ তোমার দুর্ভোগ দেখে তিনি কখনও নিরপেক্ষ বা উদাসীন থাকতে পারেন না৷ কাজেই তাঁরই ইচ্ছানুযায়ী এগিয়ে চলো, তাতেই তোমার সমস্ত দুঃখ–কষ্টের অবসান হবে৷ (পটনা, ৮ই অগাষ্ট, ১৯৭৮)