শব্দ অমৃত

লেখক
জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহে  লিখেছিলুম শব্দ  দূষণ নিয়ে,  এখন লিখছি  উল্টো কথা৷  বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের  সুর  তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে  অনেক  দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে  মানুষ মুক্তি  পাচ্ছে৷  শব্দ বিজ্ঞানীদের  মতে  সুর-তরঙ্গের  নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের  শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত  করে৷ সঙ্গীতের  তাল মিনিটে ষাট  বা তার কম হলে  টেনশন  কমায়, সত্তরের বেশি  হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো  পুরাতন  বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি  থেকে মুক্তি  পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের  সংখ্যা বাড়াতে  পরিপূরক  হিসেবে  ভারতীয় রাগ রাগিনীর  সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আশাবরীর  সুরতরঙ্গ  অসুখ  নিরাময়  সাহায্য করছে৷  কৃষিক্ষেত্রের ফসলের  পরিমাণ, গুণমান ও দ্রুতিতে  যন্ত্র সঙ্গীত  সাহায্য  করছে৷  প্রকৃতিগত ভাবে  পাওয়া টিনের  ছাদে  বৃষ্টির  নিরন্তর  এক ঘেয়ে  শব্দ বা ঝর্র্ণ ধারার  শব্দ বা বিকেলের  বর্ষণ  শেষে  গ্রামের  সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক মনের একাগ্রতায় এসবই  সাত্ত্বিক  শব্দ সাহায্য  করে৷ ভবিষ্যতে  শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীতে  রোগ নিরাময়ের  অনেক উপাদান  বিজ্ঞানীরা  পেয়ে যাবেন৷  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত অষ্টাক্ষরীয় সিদ্ধ মন্ত্রের  শক্তি-তরঙ্গ  দিয়েও নানাভাবে  মানবদেহ, মন ও পরিবেশেরই রূপান্তরে  সাহায্য পায় মানুষ৷