শহুরে জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য---যান্ত্রিক জীবন, দেহ-মানসিক অজ্ঞতা, মনোযোগ আকর্ষণ করার অহংমন্যতা, জেদাজেদির প্রতিযোগিতা, অন্যকে আচমকা ভয় দেখিয়ে হীরো হবার প্রবণতা৷ আর, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুভ্যাসগ্রস্ত মানুষেরা মানসিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগেন৷ এজন্য সমাজের বিরুদ্ধে একটা গোপন ঘৃণা ও প্রতিহিংসার ইচ্ছা তাদের মনের গভীরে থাকেই৷ রাত দিনের যে কোনো সময় খেলা বা পূজো বা যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের বাহানা দেখিয়ে প্রচণ্ড আওয়াজের ডি জে সাউন্ড সিস্টেম অথবা মধ্যরাতে ঢাকের বাজনা বা ভয়ংকর শব্দ বাজী ফাটিয়ে ওরা সেই প্রতিশোধ ন্যায়৷ আর ওই কাজের সাথে যুক্ত থাকা মানুষগুলি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে ওই বিশেষ সময়ে কম বা বেশি , শব্দ দূষণের পরিণাম বিষয়ে গভীর অজ্ঞতা তো থাকেই৷
অজ্ঞ ধনীর দুলালেরা ও নিছক মজা নিতে আত্মসুখে শব্দদূষণ ছড়ায়৷ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে শব্দদূষণ জনিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে (কলকারখানা, রেললাইন, শহরের বড় রাস্তার দুপাশের বাড়ীতে) যাঁরা বাস করেন, ধীরে ধীরে এঁদের শ্রবণ ক্ষমতা কমতে থাকে৷ হীনম্মন্যতা আসে৷ এর ওপর অতিরিক্ত শব্দ দূষণ (মাইকের অত্যাচার) ঘটতে থাকলে বয়স্ক রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়৷ বেশী বাড়াবাড়ি অবস্থায় বয়স্ক অসুস্থ মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ এ বিষয়ে মানুষ যত সচেতন হবে ততই একটা সুস্থ মানুষ হয়ে ওঠা সম্ভব হবে৷
- Log in to post comments