পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস কন্ টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার বৃহদায়তন করলে যা হয় তাকে উত্তর ভারতে বলা হয় ‘করেলা’৷ ৰাংলায় বলা হয় ‘করলা’৷ চাষের উচ্ছের চেয়ে অনেক বেশী লম্বা, তিক্ততা কম, গুণও কম৷ সংস্কৃতে তিনটিকেই উৎসিকা বলা চলে৷ ইংরেজীতে বলে Bitter gaurd৷
ৰহুমূত্র / মধুমেহ রোগে ঃ ছোট উচ্ছে (বা বুনো উচ্ছে) ছেঁচে সেই রস (সকালে খালি পেটে) রোগীকে পান করানো হলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
(‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’)
কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা
যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷
‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি
গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’