অনেকে ভাবে, বিতর্ক মানে তর্কসংক্রান্ত বা তর্কযুক্ত জিনিস৷ কথাটি আংশিকভাবে সত্য৷ বিশেষ ধরনের তর্ককে ‘বিতর্ক’ বলা হয়৷ কিন্তু এটাই ‘বিতর্ক’ শব্দের শেষ কথা নয়৷ ‘বিতর্ক’ মানে অতি জল্পন (অহেতুক বকবক করা)৷ এই বকবক করার সঙ্গে যদি বদ্মেজাজ বা প্রগল্ভতা সংযুক্ত থাকে তবে তা ‘বিতর্ক’ পর্যায়ভুক্ত–‘কষায়’ পর্যায়ভুক্ত হবে না৷ নীচে কয়েকটা বিভিন্ন স্বাদের বিতর্কের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি একজন হাওড়া ইষ্টিশনে গেছে৷ একটু দেরী হয়ে গেছে৷ একজন ভদ্রবেশধারী মানুষকে জিজ্ঞেস করলে–দাদা, উলুবেড়ে লোক্যাল ছেড়ে গেছে ভদ্রলোক মুখ ঝামটা দিয়ে খেঁকিয়ে বলে উঠলেন–উলুবেড়ে লোক্যালের খবর রাখা কি আমার ডিউটি আমাকে কি টাইম–টেবল পেয়েছেন আশ্চর্য সব বে–আক্কিলে লোক.........যত্ত সব........যত্ত সব.......এই জন্যেই দেশটার উন্নতি হচ্ছে না.......আমি এন্কোয়ারী অফিস নাকি
কাছেই আর একজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ তিনি বললেন, উলুবেড়ে লোক্যালের খোঁজ নিচ্ছেন৷ হ্যাঁ, গাড়িটা আজ পাঁচ মিনিট দেরীতে ছাড়ছে৷ ছাড়ছে এগার নম্বরপ্লাটফরম থেকে৷ একটু তাড়াতাড়ি পা চালালে গাড়িটা ধরতে পারবেন৷
প্রথমোক্ত ঘটনাটি বিতর্কের দৃষ্টান্ত, দ্বিতীয়োক্তটিকে বলা হয় ‘প্রমিত বাক্’৷ প্রমিত বাকে দরকার মত কথাটাই কেবল বলা হয়, আজেবাজে কথা বলা হয় না৷