June 2017

দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলনের প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

বারাসত : অবিলম্বে দার্জিলিংয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিমল গুরুং-এর  গ্রেফ্তারের দাবীতে ১৪ই জুন বুধবার বিকেল ৪টায় বারাসাত ষ্টেশন থেকে আমরা বাঙালীর একটি মিছিল চাঁপাডালির মোড়ে এসে পৌঁছায়৷ দার্জিলিং পাহাড়ে সম্প্রতি সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিমল গুরুংকে অবিলম্বে গ্রেফ্তারের দাবী ও দার্জিলিংয়ের স্কুল কলেজে বাংলা ভাষা আবশ্যিক করার দাবীতে ও বিমল গুরুংএর অসংবিধানিক দাবী দাওয়ার প্রতিবাদে আমরা  বাঙালীর পক্ষ থেকে চাঁপাডালি মোড়ে পথ অবরোধ করা হয়৷ প্রতিবাদ সভায় বিমল গুরুং-এর কুশপুত্তলিকা দাহ করে উল্লিখিত দাবীর ভিত্তিতে বক্তব্য রাখেন জয়ন্ত দাস, বিকাশ বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, উজ্জ্বল ঘোষ, দীপঙ্কর মন্ডল প্রমুখ৷ এই পথ

নেশামুক্তির শপথ গ্রহণ

গত ৩১শে মে বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে ৩০শে মে সিরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে ধূমপান ও মাদক গ্রহণের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ করলেন অনুষ্ঠানে আগত ব্যষ্টিবৃন্দ৷

আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে অখন্ডকীর্ত্তন, অন্নপ্রাশন ও বস্ত্রবিতরণ অনুষ্ঠান

গত ১১ই জুন বণগাঁর রামচন্দ্রপুরে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী নিত্যানন্দ দাসের গৃহপ্রাঙ্গনে অখন্ডকীর্ত্তন ও মার্গীয় বিধিতে  একটি অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান হয়৷ সকালে ৩ঘন্টা ব্যাপী 'বাবানাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ মনোময়া আচার্যা, হরলাল হাজারী, কুমুদ দাস, শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷ অখন্ড কীর্ত্তনের পর মার্গীয় বিধিতে শ্রী নিত্যানন্দ বিশ্বাসের পৌত্র ও শ্রী সঞ্জয় বিশ্বাসের শিশুপুত্রের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানে শিশুর নাম রাখা হয় ‘তথাগত’৷  এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন  আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত৷

হিঙের কচুরির খাতিরে

গঙ্গা+ জল= গঙ্গাজল৷ ‘জল’ শব্দের অর্থ যা টলটল করে৷ নীরং, তোয়ং, জলং, উদকং, পানীয়ম্ ইত্যাদি শব্দের মধ্যে ‘জল’ও একটি ‘জনপ্রিয়’ শব্দ৷ ‘জল’ মানে যা প্রবহমান...টলটলায়মান৷ পানীয়, অ–পানীয়, সুস্বাদু, কর্দমাক্ত যেমনই হোক না কেন তা জল৷ যে জল পান করার মত তা পানীয়...পীনেকা পানী, আর ‘পানী’ শব্দটি আসছে ‘পানীয়ম্’ থেকে যার মানে যা পান করার যোগ্য৷ ড্রেনের জল, বর্ষার ঘোলা নদীর জল, মাঠের কাদা–মেশানো জল–এরা পানীয় নয় কিন্তু জল৷ জলের স্বভাব ধর্ম হল টলমল করা–সে পদ্মপাতায় থাকুক আর নাই থাকুক ঃ

‘‘নলিনীদলগতজলম তদ্বজ্জীবনমতিশয়৷

ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেকো ভবতি ভবাব্ধিতরণে নৌকা৷’’

গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলনের  অযৌক্তিকতা

অাচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আবার দার্জিলিং ‘গোর্খাল্যান্ড’ আন্দোলেনে তেতে উঠেছে পুলিশের গাড়ীতে আগুন ধরানো, সরকারী সম্পত্তি  ও  অফিস জ্বালানো, নানান স্থানে পুলিশ-গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ---এভাবে দার্জিলিং অশান্ত হয়ে উঠেছে৷

বিমল গুরুংরা সরাসরি পৃথক ‘গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবীতে এই আন্দোলন করছে৷ সুবাস ঘিসিং-এর জি-এন-এল-এফও তাদের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে সামিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷

বৈষয়িক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে পরাগতির দিকে এগিয়ে চল৷

আমি অবশ্যই বর্তমান কালকে অস্বীকার বা অবহেলা করতে পারি না৷ এর অর্থ আমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমি কোথায় আছি আর ঠিক বর্তমানে আমাকে কী করতে হবে৷ কিন্তু বর্তমান কাকে বলব? আমরা জানি বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যতকে নিয়ে কাল তিনটি৷ এই তিন ধরনের কাল আসলে কী? বস্তুতঃ বর্তমান কাল বলে ঠিক কোন কিছু নেই৷ আমি যখন কিছু বলি, তুমি ততক্ষণাৎ তা শুণতে পাও না৷ কিছুটা বিরতির পরে তুমি সেটা শুণতে পাও৷ তাহলে সেই বিরতিটা কী? শব্দ বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে কাণে পঁৌছতে যে সময় লাগে সেটাই বিরতি৷ আর যখন তা তুমি শোণ সেটা আমার কাছে কিন্তু অতীত, আর তোমার কাছে তা ভবিষ্যৎ কেননা অল্পক্ষণ পরে তুমি তা শুণতে পাচ্ছ৷ তাহলে কী করা উচিত?

আমরা যোগ সাধনা করব কেন?

আনন্দমার্গী

একটি ফুলের কুঁড়ি থেকে সুন্দর একটি ফুল ফুটে ওঠে৷ ফুলের সৌন্দর্য নির্ভর করে তার সমস্ত পাপড়ি–গুলির সম্যক বিকাশের ওপর৷ মনে করা যাক, একটি ফুলের তিনটি পাপড়ি৷ এই তিনটি পাপড়ি যদি ঠিকমত ফুটে ওঠে, তবে ফুলটিকে সুন্দর দেখায়৷ তেমনি আমাদের জীবনপুষ্পের তিনটি পাপড়ি–দেহ, মন ও আত্মা৷ এই তিনেব যদি সুষ্ঠু বিকাশ না হয়, তাকে জীবনের সুষ্ঠু বিকাশ বলা চলে না বা তাকে জীবনের প্রকৃত উন্নতি বলা যায় না৷ আর তাই জীবনের যথার্থ উন্নতির জন্যে তথা জীবনকে যথার্থ আনন্দময় করে গড়ে তুলতে হলে দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক–তিনেরই উন্নতি একান্ত প্রয়োজন৷ জীবনের এই ত্রিস্তরীয় উন্নতি সম্পর্কে–আমাদের যথার্থভাবে সচেতন হতে হবে৷ সেজন্যেই আনন্দমার্

দুগ্ধ (দুধ)

দুহ্+ ক্ত= দুগ্ধ অর্থাৎ যা দোহন করে’ পাওয়া যায় তাই–ই দুগ্ধ৷ গোরুই হোক আর উট–ছাগল–মোষ–ভেড়া হোক, এদের দুধ দোহন করে পাওয়া যায়৷ প্রাচীনকালে গোরু যখন মানুষের পোষ মানেনি বা মানুষ তাদের বনজ অবস্থা থেকে গৃহপালিত পশু স্তরে টেনে আনতে পারেনি, তখন মানুষ প্রথম পুষেছিল ঘোড়াকে৷ ঘোড়া দ্রুতগামী পশু৷ দ্রুতগামী পশু দুধ দেয় অত্যন্ত কম৷ মানুষ সেকালে ঘোড়া পুষত তার পিঠে চড়ে লড়াই করবার জন্যে৷

সাইকো সার্জারি অপরাধীকেও ভালমানুষে রূপান্তরিত করতে পারে

এন এন এস

ইদানীং প্লাষ্টিক সার্জারি করে বদলে দেওয়া যায় মানুষের চেহারা৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্যে কিডনি, হূৎপিণ্ড সব কিছু পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে৷ হাড়, মজ্জা বদলে বা নতুন করে জোড়া লাগানোও মানুষের নাগালের মধ্যে৷ কিন্তু এভাবে যদি মানুষের মনের গতি বদলে দেওয়া যেত তাহলে এ পৃথিবীতে অনেক কাণ্ডই ঘটতে পারত৷ সম্প্রতি চিকিৎসকরা ‘সাইকো সার্জারি’র মাধ্যমে একজন অপরাধীকেও ভাল মানুষে রূপান্তরিত করতে পারবে৷ অপরাধীকে একজন শান্ত মানুষের মত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীতে পরিণত করা যাবে৷ গবেষকদের এই সাফল্যের সূত্র ধরে একটি ঘটনার কথায় আসা যাক৷ প্রাচীন রোমে একটি প্রবাদ বাক্যের খুব প্রচলন ছিল যে, কপালে তলোয়ারের ঘা দিলেই পাগলামি

প্রার্থনা

জিতেন্দ্রনাথ মণ্ডল

আমার সকল জ্বালা জুড়ায়ে দাও

কাছে আমার এসে,

মধুর ভাবে এসো

তুমি আমায় ভলোবেসে৷

সবাই বলে তুমি দুঃখ হরা৷

তোমার ছোঁয়ায় সবার হূদয় ভরা,

(তবে) আমি কেন কাঁদি একা বসে৷

সারা জীবন মিছে মায়ায় রয়ে,

মিছে খেলা খেলছি জীবন বেয়ে,

তোমার চরণ ছাড়া হয়ে,

আছি কত ক্লেশে৷৷

আমার খেলার শেষে জানি নাকো

যাবো সে কোন দেশে,

তখন তুমি আমায় কোলে নিয়ে,

তোমার কৃপা পরশ দিয়ে

রেখো আমায় জড়ায়ে বক্ষ দেশে৷৷