August 2017

চীনা প্রতিযোগীকে হারিয়ে খেতাব জিতলেন বিজেন্দর

ক্রীড়া সংবাদদাতা

মুম্বাই ঃ কঠিন....কঠিন এবং ভীষণ কঠিন ম্যাচ জিতলাম---ম্যাচ শেষে এই কথাই বললেন ভারতের বক্সার বিজেন্দর সিং৷ হারালেন জুলফিকার মাইমাইতিয়ালিকে৷ দশ রাউণ্ডের এই ম্যাচে একসময় বেশ চাপে পড়ে যান বিজেন্দর৷ নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে যেন সরে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু প্রবল জেদ, হার না মানা মনোভাব আর প্রতিপক্ষের কয়েকটি ফাউলে শেষ হাসি হাসেন ভারতীয় বক্সার৷

ম্যাচ শেষে সঞ্চালকের সঙ্গে কথা বলার সময় বললেন---ভাল খেলেছে জুলফিকার৷ আমি ওকে আমার জেতা বেল্ট দিয়ে দিতে পারি৷ আমি চাই ভারতীয় বর্ডারে যেন গোলমাল না করে চীন৷ আমরা শান্তি চাই, সকলকে শান্তিতে রাখতে চাই৷

গোর্খাল্যাণ্ডের নামে বাঙলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর মশাল মিছিল ও চীনা সামগ্রী বয়কট

শিলিগুড়ি : গত ২০শে জুলাই সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে শিলিগুড়ির ভেনাস মোড় থেকে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে এক মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়৷  কয়েকশত আমরা বাঙালীর সমর্থক হাতে জ্বলন্ত মশাল নিয়ে দার্জিলিংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতিবাদে ও বিমলগুরুংদের গ্রেফতারের দাবীতে শ্লোগান দিতে দিতে হাওড়া পেট্রোলপাম্প হয়ে সেবক রোড, পাণিট্যাঙ্কি হয়ে, বিধান রোড হয়ে সম্পূর্ণ শহর পরিক্রমা করে  পুনরায় ভেনাস মোড়ে ফিরে আসে৷ রাস্তার দুপাশে শত শত মানুষ জমায়েত হয়ে  আমরা বাঙালীর আন্দোলনকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সমর্থন জানায়৷ মশাল মিছিলটি ভেনাস রোডে ফিরে এলে এখানে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন

শ্রাবণী পূর্ণিমা

.....আমাদের এই শ্রাবণী পূর্ণিমা–অনেকেই জান, এটা জানা জিনিস আমি তখন খুৰই ছোট্ট৷ তখন বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ি৷ একদিন সন্ধ্যায় একটা ঘটনা ঘটল৷ একজন লোক–সে লোকটি দুষ্ট প্রকৃতির ছিল৷ আমরা এই কথাটা ব্যবহার করছি এই জন্যে যে আজ যে মানুষটা দুষ্ট, কাল সে সাধু হতে পারে৷ আজ যে মূর্খ কাল সে জ্ঞানী হতে পারে–এ সৰকিছু আপেক্ষিক জগতের আপেক্ষিকতার দ্বারা অভিষিক্ত৷ তাই এর কোন শাশ্বত রূপ নেই৷ কোন মানুষকে স্থায়ীভাবে দুষ্ট ৰলা চলে না৷ সৰ সময় মনে রাখতে হক্ষে যে আমি এই দুষ্টের ভেতরে যে ভাল জিনিসগুলো নিহিত রয়েছে সেইগুলোকেই জাগিয়ে দিয়ে, ৰাড়িয়ে দিয়ে একে ভাল করে তুলৰো৷ ভাল মানে কী?–না, সংসৃক্ত ‘ভদ্র’ শব্দ থেকে ‘ভাল’ শব্দটা

শ্রাবণী পূর্ণিমার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আগমী ৭ই আগষ্ট শ্রাবণী পূর্ণিমা, যাকে রাখীপূর্ণিমাও বলা হয়--- এর এক বিশেষ মহত্ত্ব আছে৷ কথিত আছে, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে মানব সভ্যতার আদিগুরু সদাশিব আজ থেকে  ৭ হাজার বৎসর পূর্বেপ্রথম ধর্মপ্রচার শুরু করেছিলেন৷ তাছাড়া প্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষে এদিনটি রাখী বন্ধন রূপেও পালিত হয়ে আসছে৷ এদিন বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখী পরিয়ে দেয়৷ ভাইয়েরাও বোনেদের সুরক্ষার দায়িত্ব উপলদ্ধি করেন৷ সে কারণে এই উৎসব সারা ভারতে ‘রক্ষা-বন্ধন’ উৎসব হিসেবেও পরিচিত৷

দলবাজি  আর মিথ্যাচারিতা বন্ধ হোক, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা যেন দৃঢ় হয়

মুসাফির

সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে জন্মভূমি ভাগ করে  চুক্তিভিত্তিক নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করাতে কোটি কোটি হতভাগ্য  সাধারণ মানুষের যে কতটা লাভ ও কতটা ক্ষতি হয়েছে তার বিচার ইতিহাস করছে ন্যায় ও যুক্তিরভিত্তিতে৷

লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার হিংস্র আক্রমণে৷ এর নজির হলো লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্মভূমি ত্যাগ করে প্রাণের দায়ে ভারতে আগমন৷ তাদের অনেকেই  আজও ইহুদি  জনগোষ্ঠীর মতোই পথের ভিখারী৷ ‘বাঙালী হিন্দুরা উত্তর-পূর্বভারতে, পশ্চিমবঙ্গে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দিন কাটাচ্ছে৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বাঙালী প্রাণ দিয়েছে  সর্র্বধিক তারাই আজ রিক্ত নিঃস্ব !

ধুতি-পাঞ্জাবীর ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

কলকাতা ঃ কলকাতা মহানগরীর বিখ্যাত ‘কোয়েষ্ট মলে’ ধুতি, পাঞ্জাবী বা লুঙ্গি পরে কোনো ক্রেতা ঢুকতে গেলে তাদের গেটে আটকিয়ে দেওয়া হ’ত৷ বলা হত, ধুতি, পাঞ্জাবী বা লুঙ্গি পরে ভেতরে প্রবেশে নিষেধ আছে৷ মল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ২৪শে জুলাই আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায় ও  আমরা বাঙালীর বেশ কিছু কর্মী ধুতি, পাঞ্জাবী , লুঙ্গি ও মেয়েরা শাড়ি পরে মলে প্রবেশ করে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানান ও মল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের উপরিউক্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন৷ তাঁরা দাবী করেন, যাঁরা ধুতি, পাঞ্জাবী  লুঙ্গি  বা শাড়ি পরে মলে আসবেন, তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে৷ তাঁদের হু

‘‘প্রাণ দেবো, তবু গোর্খাল্যাণ্ডের নামে বাঙলা ভাগ হতে দেবো না’’ সারা বাঙলায় আমরা বাঙালীর প্রতিবাদ সভায় অঙ্গীকার

শিলিগুড়ি: দার্জিলিংয়ে খুনী সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী  বিমল গুরুং ও তার সহকর্মীদের  অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে ও গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনের প্রতিবাদে   শিলিগুড়িতে আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল বেরুচ্ছে ও বিভিন্ন স্থানে পথসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ জনগণও ব্যাপকভাবে আমরা বাঙলীর মিছিলগুলিতে ও পথসভাগুলিতে   স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন৷ সবাই শপথ গ্রহণ করেন, ‘‘প্রাণ দেবো তবু গোর্খাল্যাণ্ডের নামে বাঙলা ভাগ হতে দেবো না৷’’

স্বাধীনতার সত্তর বছরেও ভারত দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রভাবমুক্ত নয়

স্নেহময় দত্ত

১৯৪৭ থেকে ২০১৭---পার হল সত্তরটা বছর৷ বৈদেশিক শাসন থেকে মুক্ত সত্তর বছরের স্বাধীন ভারত৷ বহুত্যাগ, তিতিক্ষা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এসেছে স্বাধীনতা৷ এই স্বাধীনতায় রয়েছে অজস্র অত্যাচারের মর্মান্তিক বেদনা--- বহুবীরত্ব গাথা৷ বীরের রক্তস্রোতে, মাতার অশ্রুধারায় সিক্ত এই স্বাধীনতা৷ সংগ্রামের দীর্ঘ পথে রয়েছে দেশমাতৃকার চরণে, স্বাধীনতার বেদীমূলে অনেক অনেক  উৎসর্গীকৃত প্রাণের আহুতি--- ফাঁসির মঞ্চে  বলিদান৷ এই যে আহুতি, বলিদান, সংগ্রাম, তা কিন্তু এই খন্ডিত ভারতের জন্যে নয়৷ ছিল অখন্ড ভারতবর্ষের জন্যে৷ কিন্তু দু:খের বিষয় ভারতবর্ষের মানুষ পেল না অখন্ড দেশ, পেল খন্ডিত ভারত৷ স্বাধীনতা সংগ্রামের  মহান