August 2017

আনন্দমার্গোক্ত অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনা

...বৈবহারিক ক্ষেত্রে কোন জিনিস কতটা সার্থক সেটা বিচার করে মন৷ পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে কোন ব্যবস্থাপত্র কতখানি মানিয়ে চলতে পারে সে বিচারও করে মন৷ খেয়ে পরে শান্তিতে থাকা–এগুলোও করা হয় মানসিক তৃপ্তির জন্যে৷ আর সব চাইতে বড় কথা, যে কোন মতবাদ সম্বন্ধেই বলা হোক না কেন, সমর্থনশাস্ত্র মননশীলতার ওপরই নির্ভরশীল৷ মানসিক ব্যাধি বা আধ্যাত্মিক ব্যাধিমাত্রই মায়াবাদ নয়৷ মাটির পৃথিবীর সঙ্গে, মানুষের মনের সঙ্গে যোগসূত্র রেখেও আধ্যাত্ম দর্শন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে৷ আনন্দমার্গ তেমনি একটা দর্শন৷

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে

শোষণ যখন চরম বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছায়, সমাজের গতিশীলতা ও গতিবেগও তখন প্রায় শূন্যাঙ্কে পৌঁছে যায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, শোষণের সেই চরমাবস্থায় সমাজের বুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ ভৌতিক জগতের ক্ষেত্রে এই বিস্ফোরণটা হয় জড়াত্মক, আর মানসিক অধিক্ষেত্রে বিস্ফোরণটা হয় মানসিক বা ভাবাত্মক৷ এ ভাবেই অবস্থাভেদে বিস্ফোরণগুলি ঘটে চলে৷ এই যে মন্দা এটা আসলে সমাজের বুকে শোষণ বা দমন–প্রদমন–ব ফলশ্রুতি৷ সমাজতান্ত্রিক দেশ বা পুঁজিবাদী দেশ উভয় রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক পরিভূতে মন্দা আসতে বাধ্য–কারণ উভয় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এক গভীর জড়তা৷

মউমাছি ও মধু

ভারতে সাধারণতঃ তিন ধরনের মউমাছি দেখা যায়– রক্–ক্ষী, ৰুশ–ক্ষী ও এপিস ইণ্ডিকা৷ রক–ক্ষী ৰড় জাতের মউমাছি, মধু প্রস্তুত করে প্রচুর পরিমাণে৷ চাক ৰড় ৰড়, সাধারণতঃ বটগাছে বা ৰড় ৰড় গাছের ডালে চাক ৰাধে৷ অনেক সময় চাক এত ৰড় হয় যে চাক ফেটে টস্ টস্ করে মধু মাটির ওপরে পড়তে থাকে৷ রক–ক্ষীর দ্বারা তৈরী মধু একটু ঝাঁঝাল হয়৷ এই মধু উগ্রবীর্য নামে খ্যাত৷ মানুষের প্রাণশক্তি যেখানে কমে এসেছে –মৃত্যুর হিমশীতলতা যেখানে তার অবসন্ন দেহে নেবে এসেছে, অনেক সময় সেই অবস্থায় এই উগ্রবীর্য মধু নোতুন করে প্রাণসঞ্চার করে দেয়৷ প্রাণশক্তি কমে যাওয়া মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যদি কোন রক্তক্ষয়ী রোগ না থাকে, তবে তিনটে কৃষ্ণতুলসীর পাতার

চার ভাই–ই কবি

হ্যাঁ, সেই চার ভাই ছিল পণ্ডিত পিতার মূর্খ সন্তান* (*‘সন্তান’ শব্দটি পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ উভয় ক্ষেত্রেই  ব্যবহূত হয়৷ সম্–তন্ ঘঞ্ প্রত্যয় করে ‘সন্তান’ শব্দ ক্ষ্যুৎপত্তিগত ভাবে অবশ্যই পুংলিঙ্গ৷ কিন্তু ব্যবহারে উভয়লিঙ্গ৷ ‘সন্তান’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ দিতে গিয়ে অনেকে ‘সন্ততি’ শব্দটিকেও টেনে আনেন যার কোন প্রয়োজন নেই৷)

শহীদ ক্ষুদিরামের  আত্মবলিদান দিবসে আমরা বাঙালীর মিছিল ও রক্ত দিয়ে শপথ গ্রহণ

গত ১১ই আগষ্ট শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবসে স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর শহীদদের  স্মরণে আমরা বাঙালীর  পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার চেতলা পার্ক থেকে একটি বিরাট মিছিল বেরোয়৷ ওই মিছিলটি শহীদদের উদ্দেশ্যে জয়ধবনি দিতে দিতে রাসবিহারী এভিনিউ হয়ে শরৎ বোস রোড, মনোহর পুকুর রোড, হাজরা পার্ক ও ভবানীপুর হয়ে এলগিন রোডে অমর স্বাধীনতা বিপ্লবী পৌরুষের বজ্রকৌস্তুভ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের বাসভবনের সামনে এসে পৌঁছোয়৷  এখানে আমরা বাঙালীর সচিব বকুল চন্দ্র রায়, সহ সচিব তারাপদ বিশ্বাস, জেলা সচিব সুনীল চক্রবর্তী, যুব নেতা উজ্বল ঘোষ প্রমুখ  শহীদ ক্ষুদিরাম সহ অন্যান্য শহীদ ও স্বাধীনতা বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বাঙ

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা

গত ১৬ই আগষ্ট হিমালয়ের লাদাখে চীনা সৈন্য ভারতীয় সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতের এলাকায় ঢুকে পড়ায় ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করলেও চীনা সেনারা তা গ্রাহ্য করেনি৷ তখন দু-পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়৷ তবে এখন খবর লেখা পর্যন্ত গোলাগুলির কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে৷ এই এলাকাতে কাঁটাতারের কোনো বেড়া নেই৷ প্রায় এই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়৷

 

বাঙালী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মিজোরাম ভবনে আমরা বাঙালীর প্রতিবাদ

কলকাতা ঃ মিজোরামে দীর্ঘদিন থেকে বাঙালীদের  ওপর নানানভাবে নির্র্যতন চলছে৷ সম্প্রতি মিজোরামের  ‘ইয়ং মিজো এ্যাসোসিয়েশন’ নামে মিজোদের  একটি সংস্থা লুংলে শহরে ২০ জন বাঙালী ব্যবসায়ীর দোকানে  নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে যে, ‘৩১ শে আগষ্ট, ২০১৭-এর মধ্যে মিজোরাম ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ নইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে৷’

পুলিশের কাছে সবকিছু জানানো সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফ থেকে বাঙালীদের নিরাপত্তার কোনো আশ্বাস দেয় নি৷

বাংলাদেশেও আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সলের রিলিফ টিমের ত্রাণকার্য

পশ্চিমবঙ্গের  পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলায় ও উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও যেমন আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফটিমের স্বেচ্ছাসেবীরা বন্যাদুর্গতদের মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, মোমবাতি, দেশলাই, ত্রিপল পানীয় জলের প্যাকেট প্রভৃতি বিতরণ করছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তেমনি সম্প্রতি বাংলাদেশ  থেকেও আনন্দমার্গের ত্রাণকার্যের খবর এসেছে৷ বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের  বন্যা কবলিত এলাকাতে আনন্দমার্গের কর্মীরা ও স্থানীয় আনন্দমার্গীরা বন্যার্তদের মধ্যে খিচুড়ি, চিড়ে, গুড়, দুধ, বিসুকট প্রভৃতি বিতরণ করছেন৷ আনন্দমার্গের রিলিফ টিমের  সঙ্গে চিকিৎসকরাও

চীনের আগ্রাসী মনোভাব

প্রভাত খাঁ

ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বতে অবস্থিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সীমান্ত  অঞ্চলে এক নাগাড়ে চীন, পাকিস্তান ও নেপালের কিছু উগ্রপন্থী জঙ্গী গোষ্ঠী দীর্ঘ বছর ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতের সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে৷  এটি প্রায় স্বাধীনতার  কিছু বছর পর থেকেই চলে আসছে৷ অবশ্য ভারতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীগণ প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিরোধ করতে৷ মনে পড়ে চীন ভারতের পঞ্চশীল নীতিকে  পরিহাস করতেই গত ১৯৬২ তে ভারত আক্রমণ করে তেজপুর পর্যন্ত নেমে আসে৷ হিমালয়ের ম্যাকমোহন লাইনের সীমানার দক্ষিণ দিকে যেটি  ভারতের অংশ হিসাবে চিহ্ণিত তার প্রায় ৪৫ হাজার বর্গ মাইল জোর পূর্বক চীন আট

স্বাধীনতার বলি বাঙলা ও বাঙালী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

১৫ আগষ্ট৷ প্রতিটি ভারতবাসীর  জন্যে আনন্দের  দিন কারণ এদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে দেশ  মুক্ত হয়েছিল৷ ভারতের স্বাধীনতার জন্যে সংঘটিত ভাবে প্রথম প্রবল আন্দোলন শুরু হয়েছিল  এই বাঙলায়৷ শ্রী অরবিন্দের নেতৃত্বে ইংরেজ শাসকের বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবকে উপলক্ষ্য করে ব্রিটিশ বিরোধী সেই আন্দোলন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিৎ৷ ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডের  উদ্দেশ্যে বোমা মারতে গিয়ে  শহীদ হন ক্ষুদিরাম  ও প্রফুল্লচাকী ৷ সেদিন  ওই গাড়ীতে  কিংসফোর্ড ছিলেন না৷ তাই