November 2018

রাফেল-বফোর্স তর্জা না---উন্নয়ন কোনটা জরুরী?

সুকুমার সরকার

বোফোর্স কেলেঙ্কারী নিয়ে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে নানান কথা উঠেছিল৷ তার পরেও কংগ্রেস বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছে ৷ কেননা, সরকার গড়তে যারা ভোট দেয় তারা এসব বোফোর্স ঠোফোর্স বোঝে না৷ সম্প্রতি নরেন্দ্রমোদীকে নিয়ে রাফেল কেলেঙ্কারীরর যে কথা বলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী গলা ফাটাচ্ছেন, সেটাও ভারতীয় ভোটারদের একটি বিরাট অংশ কিছুই বুঝবে না৷ উল্টে এ ধরনের কথায় কিংবা ভিডিও টুইটে সাধারণ ভোটারদের মনে রাহুল গান্ধীর ইমেজে কিঞ্চিৎ হলেও নেগেটিভ প্রভাব পড়ছে৷ কেননা, এই মুহূর্তে ভারতীয় ও ভোটারদের কাছে অন্য অনেক ইস্যু বেশি জরুরি৷ বিশেষ করে কৃষি উন্নয়ন , ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ বেকার সমস্যা দূরীকরণের মতো বিষয়

অনন্য প্রাউট (পঞ্চম পর্ব)

 জিজ্ঞাসু

প্রাউট দর্শনের নানা বৈশিষ্ট্য আছে৷ আজ প্রগতিশীল শব্দের প্রাউটিস্টিক ব্যাখ্যা বুঝে নেবার চেষ্টা করব৷ তার পূর্বে জানবো এই বিষয়ে ধনতান্ত্রিক জড়বাদী ব্যাখ্যা কী বলে৷ পুরাতন সব কিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, জড়ভোগবাদকে বেলাগাম প্রশ্রয়, তারজন্য মানব অধিকার ও স্বাধীনতার দাবি চলছে দেশে দেশে৷ গান তৈরী হচ্ছে, ‘‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও’’৷ যে যেমন ইচ্ছা ব্যষ্টিগত জীবনযাপন করবে ৷ তাতে অন্যের অসুবিধা হলে হবে৷ তাদের কথা আমরা আমাদের নিয়ে মত্ত থাকি বা যা ইচ্ছা করি, আমরা তো কারো ক্ষতি করছিনা৷ এই চিন্তার বশবর্তী হয়ে কিছু দেশের সরকার তো নারী-পুরুষের দেহ ব্যবসাকেও স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে৷ সরকারের ট্যাক্স পেলেই হ’ল --- মদ

কলা বৌ / নবপত্রিকা প্রসঙ্গে

পুরাণের যুগে তো রীতিমত অনেক গল্প তৈরী করা হয়েছিল দেবী-দেবতাদের নিয়ে৷ তাতে গণেশের স্ত্রী হচ্ছেন তুলসী ৷ কিন্তু কোন কোন পুরাণের মতে গণেশের স্ত্রী হলেন ষষ্ঠী দেবী৷ পৌরাণিক সমাজে শিশু ভূমিষ্ঠ হবার একমাসের মধ্যে ষষ্ঠীর একটা পূজো হয়৷ আবার কোনও কোনও পুরাণের মতে কার্ত্তিকের স্ত্রী হলেন ষষ্ঠী৷ আবার ভারতের কোন কোন অংশে প্রচলিত স্থানীয় পুরাণের মতে গণেশের স্ত্রীর নাম সন্তোষী দেবী৷ পুরাণকারদের মধ্যে পারস্পরিক মতভেদ অত্যন্ত প্রবল ৷ যাইহোক, গণেশের পাশে যে কলা-বৌ থাকে সে কি গণেশের স্ত্রী নয়? সে কে তাহলে?

ছাত্র হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের পথসভা

সম্প্রতি ইসলামপুরের দারিভিট হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার---এই দুই ছাত্র হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে ও অপরাধীদের চিহ্ণিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাঙালী ছাত্র ও যুব সমাজের পক্ষ থেকে গত ৫ই অক্টোবর শ্যামবাজারে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ এই পথসভায় বক্তব্য রাখেন অর্ণব কুণ্ডু চউধুরী, সুপ্রিয় রায়, অর্ণব বিশ্বাস, বিপ্রদীপ সরকার, তপোময় বিশ্বাস প্রমুখ৷ তারা শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির হস্তক্ষেপেরও তীব্র প্রতিবাদ করেন৷

আনন্দমার্গ স্কুলগুলির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সম্মেলন

গত ৬ ও ৭ অক্টোবর বিভিন্ন আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল কলকাতাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে৷ ৬ তারিখ সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল সেক্রেটারী আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত, ইরজ সেক্রেটারী আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, এডুকেশন ইন চার্জ আচার্য প্রিয়কৃিষ্ণানন্দ অবধূত, সেক্টোরিয়াল সেক্রেটারী আচার্য বিশুদ্ধানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগের এডুকেশন-ইন-চার্জ অবধূতিকা আনন্দ সংশুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷

এন. আর. সি.-র নামে বাঙালী বিতাড়নের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি

শিলচর, ৯ অক্টোবর ঃ এন আর সি-র নামে বাঙালী বিতাড়নের প্রতিবাদ্ত্রে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমরা বাঙালী৷ সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ একথা জানান৷ ৯ই অক্টোবর শিলচরে রাজ্য কমিটির একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা শাখার সচিব শ্রীমতী অনিতা চন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া অসম রাজ্য কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন৷ শ্রী পুরকায়স্থ অভিযোগ করেন এন আর সি-র নামে নিত্য নতুন ফতোয়া জারী করে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ এন আর সি কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ৷ অনেক প্রকৃত ভারতীয়ের পক্ষে নথিপত্র যোগা

করণদীঘি হাইস্কুলে যোগ প্রশিক্ষণ

গত ৯ই অক্টোবর করণদীঘি (উত্তর দিনাজপুর) হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে যোগ,শারীরিক বিকাশ ও মানসিক একাগ্রতা-র ওপর আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বিস্তারিত আলোচনা করেন৷

এরপর আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত তাঁদের যোগাসন, কৌশিকী নৃত্য ও তাণ্ডব নৃত্য শেখান৷ মেয়েদের আসন ও কৌশিকী নৃত্য শেখান অবধূতিকা আনন্দ কৃষ্ণপ্রজ্ঞা আচার্যা৷ এছাড়া সবাইকে মানসিক একাগ্রতা সাধনের জন্যে প্রারম্ভিক ধ্যান-প্রক্রিয়াও শেখানো হয়৷

এই অনুষ্ঠানের ফলে স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক সবার মধ্যে যোগের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ও উৎসাহের সৃষ্টি হয়৷

পরলোকে রতীশ চৌধুরী ঃ মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

জলপাইগুড়ির প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী রতীশ চৌধুরী গত ২৩শে অক্টোবর বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে পরলোকে গমন করেন৷ তাঁর মৃত্যুর সংবাদে উত্তরবঙ্গে আনন্দমার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ যথারীতি মার্গীয় বিধিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়৷

২রা অক্টোবর আনন্দমার্গীয় সমাজ শাস্ত্রানুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য শুভমিত্রানন্দ অবধূত৷ জলপাইগুড়িসহ উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট বহু আনন্দমার্গী এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর স্মৃতিচারণ করেন নীরদ অধিকারী, কেশব সিংহ, খুশীরঞ্জন মন্ডল, রুন্টু চক্রবর্তী প্রমুখ৷ সকলেই তাঁর আদর্শনিষ্ঠা সেবা ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

কলকাতার লেক গার্ডেন্সস্থিত মার্গগুরু ভবনে কীর্ত্তন দিবস পালন

গত ৮ই অক্টোবর কলকাতার লেক গার্ডেন্সস্থিত মার্গগুরু ভবনে বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ‘বাবানাম কেবলম্’ মহানামসংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পর মার্গগুরু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আচার্য কেশবানন্দ অবধূত ও আনন্দমার্গীদের কাছে ৮ই অক্টোবর কীর্ত্তন দিবসের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন---১৯৭০ সালে ৮ই অক্টোবর তৎকালীন বিহারের আমঝরিয়াতে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ভক্তদের সামনে অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্র ‘বাব নাম কেবলম্’ উচ্চারণ করে সকলকে তা গাইতে বলেন৷ প্রায় দেড়শতাধিক ব্যষ্টি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কীর্ত্তনে অংশ নি

আন্দামানে বাঙালীদের সুরক্ষার দাবীতে কলকাতার আন্দামান ভবনে ‘আমরা বাঙালী’র স্মারকপত্র পেশ

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বাঙালী বিরোধী জনগোষ্ঠীর দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাসকারী বাঙালীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ও সম্প্রীতি ও সংহতি নষ্টকারী এরকম ঘটনাবলীর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ই অক্টোবর কলকাতার আন্দামান ভবনের সংযোগ রক্ষাকারীর মাধ্যমে এই দ্বীপপুঞ্জের মাননীয় প্রশাসকের উদ্দেশ্যে ট এক স্মারকপত্র পেশ করা হয়৷ এই স্মারকপত্রে আন্দামানে বাঙালী নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করে তাঁর কাছে আন্দামানের বাঙালীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়৷ স্মারকলিপি পেশের সময় ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে উপস