November 2018

অন্যায়ভাবে অসম থেকে বিতাড়িত হওয়ার আতঙ্কেএকের পর এক বাঙালীদের আত্মহত্যা

অসমে ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানকার বসবাসকারী বাঙালীদের নাম এন.আর.সি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ও ডি-ভোটার (অর্থাৎ ডাউটফুল ভোটার) তকমা দিয়ে তাদের বিদেশী বলে চিহ্ণিত করে হয়রানি, অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে৷ এই চরম হয়রানি, অপমান ও লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে অনেক বাঙালী একে একে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন৷

গত ১৯শে নভেম্বর অসমের কোকরাঝাড় জেলার শ্রীরামপুরের প্রয়াত উপেন্দ্রবর্মনের ছেলে সুরেন্দ্র বর্মন (২২) প্রায় এক বছর ধরে ডি-ভোটার হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে বিদেশী ট্রাইব্যুনালে হয়রানি হতে হতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন৷

পরলোকে আচার্য গুণময়ানন্দজী

আনন্দমার্গের এক বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য গুণময়ানন্দ অবধূত গত ২২শে নবেম্বর পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর৷ তিনি কিছুদিন ধরে বার্দ্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন৷

আচার্য গুণময়ানন্দ অবধূত বহুদিন যাবৎ আনন্দনগরের সেন্ট্রাল চিল্ড্রেনস্ হোমের এ্যাসিষ্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন৷ বহু পিতৃমাতৃহীন বা অত্যন্ত দরিদ্র অসহায় শিশুকে তিনি স্নেহ যত্ন দিয়ে মানুষ করে গড়ে তুলেছেন৷ সাধনা ও সেবা উভয় দিক থেকেই তাঁর নিষ্ঠার সবাই প্রশংসা করেন৷ তাঁর মৃত্যুর সংবাদে আনন্দমার্গীমহলে ও সঙ্গে সঙ্গে অ-মার্গী স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে৷

১৭, ১৮ই নভেম্বর গোড্ডায় প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৭ই ১৮ই নবেম্বর গোড্ডাতে (ঝাড়খণ্ড) প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে এক প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ বর্তমান দেশে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় দারিদ্র্য ও বেকারসমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই ভয়ঙ্কর সামাজিক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান পুঁজিবাদী দর্শন বা মাকর্সবাদী দর্শনের দ্বারা সম্ভব নয়৷ একমাত্র প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সমাজের সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ তাই এই যুগান্তকারী প্রাউট দর্শন সম্পর্কে বিশেষ করে আজকের শিক্ষিত যুব সমাজকে প্রশিক্ষিত করার জন্যেই এই ধরনের প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন বলে জানান প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থাপক আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্

বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে নবান্নে মমতা-চন্দ্রবাবু বৈঠক

কলকাতা ঃ কেন্দ্রের আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার লক্ষ্যে গত ১৯শে নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়৷ বিরোধী জোটের ‘মুখ’ বিশেষ কাউকে তুলে না ধরে ‘সবাই এই মহাজোটের মুখ’ বললেন দুই বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতৃত্ব৷ বলা বাহুল্য  এইভাবেই তাঁরা জোট সম্পর্কীয় বিতর্কিত বিষয়গুলিকে পেছনে রেখে সকলে একসঙ্গে এগিয়ে চলার নীতির ইঙ্গিত দিলেন৷ তাঁরা বলেন, বিজেপি-বিরোধী জোট জয়ী হলে তারপর নির্ণিত হবে কাকে নেতা বা নেত্রী মেনে নেওয়া হবে৷ প্রথমে সবার সাধারণ লক্ষ্য হবে বিজেপিকে হঠানো৷ কারণ দেশে মূল্

দণ্ডকারণ্যেও ‘বাঙালী খেদাও’?

মানস দেব

অসমের পর আন্দামান, আবার দণ্ডকারণ্যেও বাঙালীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ ছড়ানোর চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছে বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে৷ সরকারী উদ্যোগেই বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল দণ্ডকারণ্য সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ৷ উদ্বাস্তু বাঙালীরাও সমস্ত বঞ্চনা দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করে নিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের বাঁচার ব্যবস্থা করেছিলেন৷

প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি

প্রাণায়ামের মত প্রত্যাহার যোগও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়৷ কোন জীবিত সত্তার প্রাণবায়ুর গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করার যে পদ্ধতি তারই নাম প্রাণায়াম৷ ‘প্রাণান্ যময়ত্যেষ প্রাণায়ামঃ*৷ আধ্যাত্মিক সাধক এই প্রাণায়াম–পদ্ধতির দ্বারা দেহের প্রাণশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে৷

প্রাণায়াম সম্পর্কে একটা বিশেষ কথা মনে রাখতে হবে, প্রাণায়ামের সঙ্গে বিন্দুধ্যানের সম্পর্ক রয়েছে৷ প্রাণায়াম অভ্যাসকালে মনকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে নিক্ষদ্ধ রাখতে হবে৷ প্রাণায়ামকে যদি বিন্দু ধ্যান থেকে বিচ্যুত করে নেওয়া হয় তাতে নিজের মানস শক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হবে, মন চঞ্চল হয়ে পড়বে৷

দুর্নীতিগড়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দেশের বড় বড় অপরাধ, বড় বড় দুর্নীতি-যা অত্যন্ত জটিল ও বিভিন্ন রাজ্যপুলিশ যার সুরাহা করতে অপারগ--- এমন সব অপরাধ ও দুর্নীতির তদন্ত করার জন্যে রয়েছে আমাদের দেশের সিবিআই৷ বর্তমানে সেই সিবিআই-এর শীর্ষ আধিকারিকরা একে অপরকে দুষছেন দুর্নীতিপরায়ণ ---ঘুষখোর বলে৷ সিবিআই-এর স্পেশাল ডাইরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে এফআইআরও করেছেন সিবি আই-এর ডাইরেক্টর আলোক ভার্মা৷ ‘রাকেশ আস্থানাও উল্টে অনুরূপ অভিযোগ এনেছেন আলোক ভার্মার বিরুদ্ধে৷

স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা •potentiality—

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ণ ভেঙ্গে চুরমার!

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে যাঁরা ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লক্ষ্য ও আদর্শ সম্বন্ধে কিছু জানেন কিনা সন্দেহ রয়েছে৷ দেশ সত্যিই স্বাধীন হয়েছে কিনা--- এটাই বর্ত্তমান প্রজন্মের কাছে আজ সবচেয়ে বড়ো ধরণের প্রশ্ণ৷

৭১ বছরের ভারতের গণতন্ত্রের যা ছবি সেটা দেখে মনে হয় যেন এটা একটা তামাসা ! কোটি কোটি মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নীচে৷ এদেশের গরীব নাগরিকদের তো কোন নিরাপত্তা নেই৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশ চলছে৷ শোষণের ওপর সমৃদ্ধির সবটুকুই স্বার্র্থন্বেষী লোভীর দল ভোগ করছে৷ শোষণ তা অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি ধর্মনৈতিক---যাই হোক না কেন সেটা বেড়েছে বই কমেনি৷