February 2020

জাতি, ভাষা, ধর্মমত ও সংস্কৃতিতে বিশ্বজনীনতা

আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হ’ল ‘‘জাতি race), ভাষা প্রভৃতিতে বিশ্বজনীনতা’’৷ যদিও মানুষের ভাষা, বর্ণ ইত্যাদিতে কিছু কিছু আপাত বৈষম্য রয়েছে, তথাপি মানুষের এই সকল অপরিহার্য বিষয়গুলি কিন্তু এসেছে একই উৎস থেকে, এইসব এসেছে সেই একক সত্তা পরমপুরুষ থেকে৷ ভাষাগত বৈষম্য, বর্ণগত বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য আছে ঠিকই, কিন্তু এই সবই বাহ্য ও আপাতদৃষ্ট৷ মুখের ভাষা নয়, আসলে হৃদয়ের ভাষা, সেণ্টিমেণ্টের ভাষাই শুণতে হবে৷

মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ ও সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী কাজে মাতৃভাষার দাবী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ মাতৃভাষার গৌরব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বিশেষভাবে স্মরণীয় একটা দিন৷ ওই দিন ওপার বাঙলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবিস্মরণীয় এক ভাষা আন্দোলনের দিন৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য

তপোময় বিশ্বাস

১২ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩৷ ইতিহাসের পাতায় এক উল্লেখযোগ্য দিন যা বিশ্ববাসীর কাছে নীলকণ্ঠ দিবস নামে পরিচিত৷ পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিলেন আনন্দমার্গ দর্শন ও প্রাউট তত্ত্বের প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের মাধ্যমে ডাক্তারকে দিয়ে ঔষধের নামে তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার কে? তাঁকে কেন বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল? প্রথমেই বলি প্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শন ও আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা৷

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷

কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷

নব আদর্শে---নব উদ্দীপনায় সবাই হোক উজ্জীবিত

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মনুষ্য জাতির ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই কোন মহাপুরুষ, মনীষী, সমাজ সংস্কারক, নূতনের বার্তাবহ মানুষের কল্যাণে, নিপীড়িত মানবতার সংকট মোচনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, জ্ঞানের আলোকবর্ত্তিকা ঊধের্ব তুলে ধরেছেন তখনই অন্ধকারের পিশাচেরা, ভাবজড়তার ধবজাধারীরা নিজেদের সর্বনাশের আতঙ্কে যূথবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করেছে, চক্রান্ত করেছে---এমনকি ছলে-বলে-কৌশলে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছে৷ প্রাচীন যুগের সেই সদাশিবের সময় থেকেই একই ধারাপ্রবাহ বয়ে চলেছে৷ পাহাড়ে-পর্বতে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা মানুষজনকে এক সূত্রে গেঁথে, বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন করে’ মানব সমাজকে একটা বিধিবদ্ধ রূপ দিয়েছিলেন সদাশিব৷ এছাড়াও বৈদ্যক শাস্ত্রের সৃষ্

বৈধ নথি হাতে ডিটেনশন ক্যাম্পে কানু পাল

শিলচর : অসমে বরাক উপত্যকার কারিছড়া গ্রামের বাসিন্দা কানু পাল৷ তার বাসস্থানটি ১৯৬৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী তার বাবা কিনেছিল৷ সে দলিল কানুবাবুর হাতে আছে৷ কানুবাবুর বাবার নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটও আছে৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের এক রাতের অন্ধকারে কানু পালকে বাড়ি থেকে পুলিশে তুলে নিয়ে গিয়ে শীলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেয়৷ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কোনও নথিই দেখতে চায়নি৷ একতরফা রায়ে কানু পাল বিদেশী হয়ে যায়৷

ব্যারাকপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভপদার্পণ দিবস পালন

ব্যারাকপুর ঃ ১৯৮২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বারাকপুরের বাচস্পতি পাড়ায় অবস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে পদার্পণ করেছিলন  সেই উপলক্ষ্যে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী ব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে এই দিন সকল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে গুরুপূজা, স্বাধ্যায়ের পর বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, সন্তোষ বিশ্বাস প্রমুখ৷ অনেকে বাবার পদার্পণের দিনটির স্মৃতিচারণ করেন৷ আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত সকলকে

আনন্দমার্গের অখণ্ড কীর্ত্তন

গড়িয়া ঃ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী কলকাতার অন্তর্গত গড়িয়ার ছোট বটতলাতে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রামকৃষ্ণ চউধুরীর বাসভবনে ছয় ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবানাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন হয়৷ হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠীর আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন৷ এই উপলক্ষ্যে ভোর থেকেই প্রভাতফেরী ও পাঞ্চজন্যের পর অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয়৷ সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন চলে৷ এর মাঝে কীর্ত্তন মিছিলও এলাকা পরিক্রম করে৷ এছাড়া আনন্দমার্গের বিভিন্ন কার্যকলাপের প্রদর্শনী ও পাবলিকেশনের স্টল খোলা হয়েছিল৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর সাধনা ও স্বাধ্যায় হয়৷ তারপর সাধনা ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য

কলকাতায় ফিরছে দোতলা বাস

একসময় কলকাতা শহরে দাপিয়ে চলত দোতলা বাস৷ বাম আমলেই বন্ধ হয়ে যায় সেই বাস৷ এবার রাজ্য সরকার শহরে আবার সেই বাস ফিরিয়ে আনতে চাইছে৷ তবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়৷ পর্যটকদের জন্য আপাতত দু’টি দোতলা বাস কলকাতা শহরে চালানো হবে৷ জামশেদপুরের এক কোম্পানীকে দিয়ে ইতোমধ্যেই দু’টি দোতলা বাস তৈরী করানো হয়েছে৷ আগামী মার্চ মাস থেকে পর্যটক ভর্তি সেই বাস কলকাতার পথে দেখা যেতে পারে৷