April 2022

রঞ্জি জয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলা

তিন ম্যাচের নকআউট পর্বে পৌছে গেছে বাংলা৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের কোচ  অরুন লাল মহাশয়ে জানিয়েছেন---ছেলেদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়ানোর জন্য এই জয় টার খুব প্রয়োজন ছিল বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রান করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সাড়ে তিনশো রান করে জয়ী হবার কারণ সেই আত্মবিশ্বাস, বাংলার আত্মবিশ্বাসই বাকি ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে দলকে৷  আমরা জয়ের মধ্যে রয়েছি৷ ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছি৷ সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী জানিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটের জন্য এই দিনটা মনে রাখার মতো৷

দাও ফিরে সে অরণ্য

ইটের পাঁজর লোহার খাঁচায় বন্দী কক্ষে  বসে কবি লিখেছিলেন---‘‘দাও ফিরে সে অরণ্য লহ এ নগর’’৷ কিন্তু মানুষ তার সাময়িক প্রয়োজনে ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে নির্বিচারে অরণ্য ধবংস করে যাচ্ছে৷ ফল যা হওয়ার হচ্ছে৷ অবস্থা এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে আগামী প্রজন্ম অরণ্য শব্দটাই হয়তো ভুলে যাবে৷ ‘অরণ্যে রোদন’কথাটির অর্থই বুঝতে পারবে না৷

৩০শে এপ্রিল বিজন সেতু চলুন - মানবতা বাঁচাও দিবস পালনের ডাক

বিজন সেতুর সন্ন্যাসী হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দমার্গের জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, এ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে, গায়ে পেট্রোল ঢ়েলে জীবন্ত জ্বালিয়ে আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসী–সন্ন্যাসিনীক্ হত্যা করেছিল সি.পি.এমের ঘাতক বাহিনী৷

কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে মহাসমারোহে বর্ষবরণ

দুবছর চেনা ছবিতে দেখা গেল নববর্ষের চেহারা৷ করোনা বিধির বন্দীদশা কাটিয়ে বাঙালীর নববর্ষ পয়লা বৈশাখ আবার ছন্দে ফিরল৷ এই দিন বাঙালী ব্যবসায়ী হালখাতার পূজা করেন, তাই কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর তারাপীঠ সর্বত্রই ভিড়েঠাসা দুবছর আগের ছবি৷ বিভিন্ন গণসংঘটন ও রাজনৈতিক দলগুলিও নানা অনুষ্ঠানের  মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করে৷ কচি-কাঁচাদের  নিয়ে পথে পথে সুসজ্জিত শোভাযাত্রা কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত বর্ষবরণের  সবরকম উপাচারেই ভরপুর ছিল পয়লা বৈশাখ৷ এদিন কলকাতা ভি.আই.পি নগরে আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমেও বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়৷ সকালে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এর

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পানিসাগরে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

১২ই এপ্রিল উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা সচিব অরুণনাথ, রাজ্য কমিটির সদস্য গোপালকৃষ্ণ দেব, হেমেন্দ্র দেবনাথ, জ্যোতিষনাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

জেলাসচিব অরুণনাথ বলেন---কেন্দ্রীত অর্থনীতির অবশ্যম্ভাবী পরিণতির এই মূল্য বৃদ্ধি৷ এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে জনগণকে আর্থিক মুক্তি দিতে চাই প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন৷

 

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন শোষণ মুক্তির নূতন দিশা

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী অনুসারে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড়, ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দে

জয় তোমাদের হবেই হবে

এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু আছে সবই দেশ–কাল–পাত্রে আধৃত৷ কাল জিনিসটা কী? ক্রিয়ার গতিশীলতার ওপর মানসিক পরিমাপ –– Mental measurement of motivity of action৷ দেশ আছে৷ সে চক্রাকারে বিবর্ত্তিত হয়ে চলেছে৷ এই মাপাটার নাম কাল৷ ব্যাপকভাবে এই কালকে বলব মহাকাল৷ আর তার খণ্ডগত হিসেবকে বলব কাল৷ দেশগত বিবর্তন না থাকলে কাল থাকে না৷ অর্থাৎ দেশ–পাত্র রহিত কাল হয় না৷

বিজ্ঞান হোক সেবা ও কল্যাণের জন্যে

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই অর্থাৎ আনুমানিক দশ লক্ষ বছর আগে– পৃথিবীতে মানবজাতি আসার ঊষালগ্ণ থেকেই–বিজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের জীবন অচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত৷ যতদিন পর্যন্ত একজন মানুষও থাকবে ততদিন বিজ্ঞানের যুগ থাকবে৷

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বাত্মক জয়লাভের ইচ্ছা মানুষের মধ্যে আদিম ও অনন্ত প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয়–জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছোট হয়ে বাঁচাটা মানুষের পক্ষে অভাবনীয়৷ অনন্তকাল ধরে’প্রকৃতির আজ্ঞাবহ ভৃত্য হিসেবে বাঁধাধরা পথে চলার ধারণা কোনদিনই তার মনঃপুত নয়৷ যেহেতু তাকে টিকে থাকতে হয় আপাতঃ প্রতিকূল স্থূল জগতে, তাই তমোগুণী প্রকৃতিকে জয় করতে গিয়েই উদ্ভব হয়েছে Science বা ভৌতিক বিজ্ঞানের৷

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের বিকল্প নেই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজিপতি পরিচালিত শিল্পের একটা বড় রোগ হ’ল, বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই ও হঠাৎ কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া৷ যার ফলে বহু শ্রমিক হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারকে অশেষ দুর্ভেগের মুখে পড়তে হয়৷ বহু ক্ষেত্রে তারা অনাহারে, অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায় বা আত্মহত্যা করে, সাংসারিক অশান্তি থেকে রেহাই পাাবার রাস্তা খুঁজে নেয়৷

বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই গণতান্ত্রিক অর্থনীতির সার্থক রূপ

প্রবীর সরকার

দেশ পরিচালনা করা যদি সহজ হতো তাহলে কথাই ছিল না৷ সুগৃহকর্তা বা কর্ত্রী যদি না হয় তাহলে সে গৃহের কল্যাণ ও উন্নতি হয় না৷ ঠিক তেমনই রাষ্ট্রের প্রধান যদি সুশাসক না হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কখনোই উন্নতি করতে পারে না৷ আজ মনে পড়ে সেই অতীতের সুলতানী যুগের কথা৷ ভারত সম্রাট নাসিরুদ্দীনের বেগম রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেন তখন সম্রাটকে বেগম একজন দাসী রাখার প্রার্থনা জানান৷ তিনি কোরাণ নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাই তাঁর পক্ষে দাসী রাখা সম্ভব নয় বলে বেগমকে জানান৷ আর রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ প্রজাদের৷ সেই অর্থ অযথা ব্যয় কারর অধিকার তাঁর নেই৷ এই বোধ যদি শাসকদের না থাকে তাহলে তো তাঁরা ধার করেই শাসন পরিচা