June 2022

সংঘবদ্ধ সমাজ সেবার কাজে মেদিনীপুর আনন্দমার্গ

যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ নিধনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পশ্চিম মেদিনীপুর ভূক্তি কমিটির পক্ষ থেকে৷ ২২শে মে,২০২২ রবিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে অবস্থিত প্রান্তিক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গজিয়ে ওঠা বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ তুলে ফেলার কাজ৷ উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অপর একজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ১৫জন স্বেচ্ছাসেবক ‘‘সংঘবদ্ধ সমাজ সেবা’’র কাজে অংশগ্রহণ করেন৷ ভুক্তিপ্রধান শুভাশিষ সাহু , অসিত দত্ত, অসীম পাল, কল্পনা গিরি, সুকেশ পলমল, গৌরী সিং, বিল্বমঙ্গল নন্দী,সৌমিত্র ভৌমিক, গঙ্গাধর পাত্র,অভিজিৎ দে, চয়নিকা সাহু, প

১৯শে মের ভাসা শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য

১৯৬১ সালের ১৯শে মে অসমের বরাকবঙ্গে শিলচর শহরে বাঙলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে অসম রাইফেলসের গুলিতে এগারোজন জীবন দিয়েছিলেন৷ ১১জনের মধ্যে ছিলেন কিশোরী কমলা ভট্টাচার্য, সেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা বাঙালী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে ১৯শে মে দিনটি ভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷ কেরানীটোলা থেকে একটি শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কালেকটরেট মোড়ে উপস্থিত হয়৷ সেখানে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দ৷ এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সোমা পাত্র, কল্পনা গিরি, অপর্ণা দত্ত,শোভা দাস, রীণাক্ষী সাউ, শিখা তুং, কাজল পলমল প্রমুখ৷ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে

দুগ্ধ (দুধ)

দুহ্  ক্ত ঞ্চ দুগ্ধ অর্থাৎ যা দোহন করে’ পাওয়া যায় তাই–ই দুগ্ধ৷ গোরুই হোক আর উট–ছাগল–মোষ–ভেড়া হোক, এদের দুধ দোহন করে পাওয়া যায়৷ প্রাচীনকালে গোরু যখন মানুষের পোষ মানেনি বা মানুষ তাদের বনজ অবস্থা থেকে গৃহপালিত পশু স্তরে টেনে আনতে পারেনি, তখন মানুষ প্রথম পুষেছিল ঘোড়াকে৷ ঘোড়া দ্রুতগামী পশু৷ দ্রুতগামী পশু দুধ দেয় অত্যন্ত কম৷ মানুষ সেকালে ঘোড়া পুষত তার পিঠে চড়ে লড়াই করবার জন্যে৷

লিচুরও ইতিকথা আছে

লিচু ভারতে এসেছিল সম্ভবতঃ বৌদ্ধযুগে৷ ভারত ও চীন উভয়েরই দেশজ ফল হচ্ছে অংশুফলম৷ ফলটির অনেক নামের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে অংশুফল্৷ এই আঁশফল গাছের পাতা দেখতে লিচু পাতার মত নয়–কিছুটা গোলাকার.......লিচুর চেয়ে একট ছোটও৷ গাছ কিন্তু লিচু গাছের চেয়ে অনেক বড় হয়.....বট, পাকুড়, অশ্বত্থের মত হয়ে যায় বীজ লিচুর চেয়ে কিছুটা ছোট কিছুটা চ্যাপ্ঢা হয়৷ ফল মিষ্টি হলেও তাতে উৎকট ঝাঁঝ ও গন্ধ থাকে৷ ছোটরা ভালবেসে খেলেও বড়রা পছন্দ করেন না৷ এই আঁশফল বাংলার একটি সাবেকি ফল–ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়৷ চীন এই আঁশফল নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করে তৈরী করেছিল লিচু৷ বর্তমান পৃথিবীতে চীনের লিচুই সবচেয়ে বড় আকারের, অধিক রসযুক্ত ও সুস্বাদু৷ চী

হে রাজা

কৌশিক খাটুয়া

প্রাতঃস্বরণীয় চির বরণীয় হে রাজা,

তুমি এস আরবার, জগদ্দল পাথরের মতো---

পণ প্রথা, বৈধব্যের নানা অনাচার,

উচ্ছেদ হোক শোষণ পীড়ণের যাঁতাকল,

যত ব্যাভিচার৷

আজ অন্যরূপে সতীদাহ পনের বলি অহরহ

অথচ সমাজ নিরুত্তর নির্বিকার!

অজ্ঞতার বিভাবরী পরে---

দেখা দিক প্রগতির সূর্যোদয়

পূবাকাশে আগামী ভোরে৷

 

তোমার আবির্ভাব দিনে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

আঁধারের বুক চিরে তুমি এলে

জাগল রং পূবাকাশে,

তরুশাখে  বিহগ গাহে গীতি

হাসল নদীর জল রঙে রঙে

ফুটল কুসুম পাহাড়ী বনে৷

হাসি-খুশী নজরুল

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাংলা কবিতার ইতিহাসে নজরুল এক নবযুগের স্রষ্ঠা৷ বাঙালীর মর্মমূলে তাঁর কাব্য গভীরভাবে রেখাপাত করেছে৷ হাস্যরসিক হিসাবেও তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ নয়৷ তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের অজানা নয় যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণমাতানো হাস্যরসের প্লাবন কি বিপুল বেগে বওয়াতে পারতেন কাজী নজরুল৷ বিপ্লবী কবির জন্মদিনে তাঁর কালজয়ী সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই৷

হরিহরচন্দ্রের বাড়ীতে সভা বসেছে৷ সভায় এসেছেন অনেক জ্ঞানী গুণী৷ অনেক গায়কও আছেন, একের পর এক গেয়ে চলেছেন৷

কু–ৰুদ্ধির খপ্পরে সুৰুদ্ধি রায়

ব্যঞ্জনের বর্গীয় বর্ণমালার আদিতে ‘ক’ বর্গের প্রথম বর্ণ ‘ক’, অন্তে ‘প’ বর্গের শেষ অক্ষর ‘ম’৷ এখন প্রশ্ণ হ’ল, কেন আগে ‘ক’, আর শেষে ‘ম’? এই জগৎ সৃষ্টি–স্থিতি–লয়াত্মক্৷ সৃষ্টির ৰীজ ‘অ’৷ তাই স্বরবর্ণে যত অক্ষর আছে তাদের সৰার আগে ‘অ’৷ আগে সৃষ্টি, তবে তো অন্য কিছু৷ তারপরে পালনের ৰীজ ‘উ’ আর প্রণাশের ৰীজ ‘ম’৷ তাই সৃষ্ট জগৎ এই অ–উ–ম তিন ধ্বনিতে বিধৃত৷ এই তিন ধ্বনির মিলিত নাম ‘ওম্’ (ূউূমঞ্চওম্)৷

                ‘ক’ হ’ল কার্যব্রহ্মের ৰীজ অর্থাৎ পরম ব্রহ্মের একটি অংশ কারণ রূপে রয়ে গেছেন, অন্য অংশটি কার্যরূপ পরিগ্রহ করেছে৷ একটি অংশ ড্র্ত্রব্ভব্দ্ত্রপ্ত, অপর অংশ

আনন্দনগরে প্রদর্শনী ফুটবল

স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস স্পোর্টস এণ্ড এডভেঞ্চারস ক্লাব (এস.এস. এ.সি) আনন্দনগর পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় গত ২৬,২৭,২৮ মে ২২ মধ্য আনন্দনগর প্রাইমারী স্কুল মাঠে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দনগরে ফুটবল প্রশিক্ষণ

১৯৯৫ ওয়ার্ল্ড কেনো চ্যাম্পিয়ানশিপ, নটিংহেম, ইংল্যাণ্ড, ১৯৯৬ আটলান্টা ওলিম্পিকে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব ও ২০০০ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ান স্লেলম্‌ কায়াকিং (স্যালম ক্যাওকিং---ওয়াটার স্পোর্টস) গুয়ানচাও চায়না ও স্পোর্টস ফিজিওলজিষ্ট (নটিংহেম ইউনিভার্সিটি) শ্রী পার্থপ্রতিম সাহা আনন্দনগর ফুটবল খেলোয়াড়দের শারীরিক সুস্থতা রক্ষার ব্যাপারে বিশেষ তালিম দিচ্ছেন৷

নদীয়ার তেহট্ট ব্লকে অনুর্ধ বার বছরের ফুটবল প্লেয়ার সিলেকশন ক্যাম্প

  আইফা পরিচালিত কলকাতা নার্সারি ফুটবল লীগ খেলায় অংশগ্রহণ করা ও ভবিষ্যৎ বৃহৎ পরিকল্পনার স্বার্থে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের  ক্রীড়া প্রকোষ্ঠ স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস স্পোর্টস এণ্ড এডভঞ্চারস ক্লাবের পক্ষ থেকে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ ফুটবলে প্রখ্যাত ফুটবল ক্রীড়াবিদদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টীম দ্বারা আয়োজিত গত ২৮শে মে ২২ নদীয়া জেলার তেহট্ট -২নং ব্লকের হাঁসপুকুরিয়ামাঠে অনুর্ধ বার বছর ছেলেদের ফুটবলে মেধা বাছাই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত ক্যাম্পে প্রায় একশত খুদে ফুটবলার অংশগ্রহণ করে৷ এদের মধ্যে ২৬জন মেধা খুদে ফুটবলার প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়৷ এইভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাছাই (সিলেকশন) ক্যাম্প করা হবে