June 2022

কৃষ্ণনগর সংলগ্ন ফকিরতলায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

প্রয়াত প্রবীন আনন্দমার্গী ডাঃবিনয়কুমার বিশ্বাসের সহধর্মিনী ও বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী ডাঃ তথাগত বিশ্বাসের মাতৃদেবী  শ্রীমতী সুচিত্রা বিশ্বাস গত ০৩/০৫/২২ মঙ্গলবার প্রয়াত হন। আনন্দমার্গ বিধি অনুসারে নবদ্বীপ মহাশ্মশানে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন্  হয়।

মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকে “১৯শে মে বাংলা ভাষা শহীদ দিবস” পালিত হ’ল।

মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ১৯শে মে ২২ বৃহস্পতিবার “বাংলাভাষা শহীদ দিবস” পালিত হয়।অনুষ্ঠানে আমরা বাঙালীর সদস্য শ্রীকেশব মন্ডল ও শ্রীদুলাল মন্ডল শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর তাঁরা অসমের শিলচরে ১৯৬১ সালের ১৯শে মে বাংলা ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষা শহীদদের আত্মবলীদানের ঐতিহাসিক দিনটির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে  বাঙলার উন্নয়ন

প্রাচীন ৰাঙলা পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল– রাঢ়, সমতট, ৰঙ্গ, ৰরেন্দ্র ও মিথিলা৷ মিথিলা বর্তমানে বিহারের অঙ্গীভূত৷ বঙ্গোপসাগরের বিশাল উপকূল এলাকা যাতে কোনো পাহাড়–পর্বত নেই কিন্তু যা পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর বালুযুক্ত দোয়াঁশ মাটি দিয়ে তৈরী, ও যার মধ্যে অজস্র জলাশয়, যা খাল–বিল আর শাখানদীতে সমৃদ্ধ, সংস্কৃতে সেই অঞ্চলকে বলে ‘সমতট’, কথ্য ৰাংলায় বলে ‘বাগড়ী’৷ এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদ আর সমৃদ্ধ কৃষিসম্পদে পূর্ণ৷ এইজন্যে সমতটকে বলা হত ‘‘সোণার ৰাঙলা’’, যে কারণে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন– ‘‘সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং মাতরম্’’৷

মানুষের সমাজ এক ও অবিভাজ্যl সাম্প্রদায়িক বিভাজন প্রগতির অন্তরায়

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শাসকদলের দুই মুখপত্রের বিরূপ মন্তব্যে আরব দেশগুলি ভারতের প্রতি প্রচণ্ড রুষ্ট৷ আরব দেশগুলির ক্ষোভ প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার মাঠে নেমেছে যদিও অনেকটা সময় পার করে মন্তব্যের সাতদিন পরে৷ আরব দেশগুলির চাপে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে দল থেকে সাসপেণ্ড ও নবীন কুমার জিন্দেলকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়৷ তবে শাসকদলের এই পদক্ষেপ আরব দেশগুলিকে শান্ত করতে পারেনি৷ দেশের বিরোধী দলগুলিও একে লোক দেখানো বলে মনে করছে৷ বিরোধী নেতাদের বক্তব্য এই ধরনের ধর্র্মন্ধ বক্তব্য বিজেপি নেতাদের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রসুত মনোভাবের ফল৷

অসংযত অসহিষ্ণু মন্তব্য অমানবিক অবরোধ

কেন্দ্রীয় শাসকদলের দুই নেতানেত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য দেশের কোন স্তরের মানুষই সমর্থন করেননি৷ সর্বস্তর থেকেই প্রতিবাদ হচ্ছে৷কেন্দ্রের শাসকদলও প্রথম দিকে নীরব থেকে সমর্থন করলেও অবস্থার চাপে দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে৷

প্রাউটের সদবিপ্র নেতৃত্বই বিশ্বকে সঠিক পথ নির্দেশনা দেবে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

পরমপুরুষ সবার মধ্যে রয়েছেন

প্রতিটি কাজেই তোমাদের জানা উচিত কোন্টা কী ও কীজন্যে, কেন  কেন এটা করছ, কেন ওটা করছ না৷ অতীতে আমি অনেকবারই বলেছি যে মানবসমাজ একটা একক সত্তা৷ এটা অবিভাজ্য, এটাকে নানান টুকরোয় বা অংশে ভাগ করা যায় না, কারণ মূলতঃ মানবতা এক৷

বিদ্বান ও শিক্ষিত

তাকেই Learned বা বিদ্বান বলব যে প্রচুর পড়াশোনা করেছে, যা পড়েছে তা ৰুঝেছে, সেটা মনে রেখেছে, ও সেগুলিকে কার্যেও রূপায়িত করেছে৷ কোনো শিক্ষিত (Educated) ও বিদ্বান মানুষের পুঁথিগত বিদ্যা থাকতে পারে বা নাও পারে, তেমনি প্রথাগত ভাবে বিদ্যার্জনকারী কোনো একজন মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতেও পারে আবার নাও পারে৷ তাহলে সত্যিকারের বিদ্বান ও শিক্ষিত তাকেই বলব যার মধ্যে নিম্নোক্ত চারটি তত্ত্ব থাকতেই হবে, এদের মধ্যে একটিরও অভাব থাকলে তাকে বিদ্বান বলা যাবে না ঃ–

১৷ একটি দু’টি নয়, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক বই যত্নের সঙ্গে পড়তে হবে৷ অল্প পড়াশোনা করে বিদ্বান হওয়া যায় না৷

বিশ্ব পরিবেশ প্রসঙ্গে ভিন্ন চিন্তা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বিশ্ব পরিবেশ দিবস---কাজটা মহৎ, কিন্তু উদ্দেশ্য কতটা মহৎ, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়৷ এত দিবস পালনের হুড়োহুড়ি--- পরিবেশ দিবস, মাতৃদিবস, পিতৃদিবস....দিবসের ছড়াছড়ি৷ কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছেটা কি! সত্যি বলতে কি নানা দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও মাহাত্ম্য বোঝাতে যে সব যুক্তির অবতারণা করা হয় তাকে তো অস্বীকার করার উপায় নেই৷ পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন মনুষ্য বাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে, একথা স্বীকার না করে উপায় নেই৷ বিজ্ঞান যেমন অঞ্জলি ভরে দিচ্ছে, তেমনি হৃদয় নিঙড়ে নিয়েও নিচ্ছে৷ কিন্তু মানুষকে সচেতন করতে একটি বিশেষ দিনে কয়েকটা গাছ লাগিয়েই কর্ম যজ্ঞ শেষ!