নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ৰিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্কতা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷
তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷
তেঁতুল মানুষের ৰুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক৷ ঙ্মপুরণো তেঁতুলের চাটনি পাকা কলা সহ অল্প পরিমাণে মাঝে মধ্যে খেলে এব্যাপারে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ এই ওষুধ আমাশয় রোগেও ভাল ফল দেয়৷ স্মরণশক্তি বাড়াতেও পুরনো তেঁতুলের এই ব্যবহার সাহায্য করে৷ এটি সুপ্তিস্খলন রোগেও সুপথ্যৰ৷ তেঁতুল ৰীজের শাঁস ও বাড়ির পুরণো তেঁতুল ঔষধ তৈরীতে ব্যবহূত হয়৷ তেঁতুলের সাহায্যে অচার, চাটনি ইত্যাদি তৈরী করা হয়৷
অম্লরোগে তেঁতুল ছাল
‘‘তেঁতুল ছাল পোড়ালে সেই ছাইয়ের যে শাদা অংশটা পাওয়া যায় তার এক আনা পরিমাণ নিয়ে শীতল জলের সঙ্গে পান করলে অম্লরোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷’’
তেঁতুল বেশী খাওয়া ভাল নয়
নীতি অনুযায়ী তেঁতুল বেশী খাওয়া ভাল নয়৷ অতিরিক্ত তেঁতুল ভক্ষণে রক্তদুষ্টি হতে পারে৷ অতি মাত্রায় তেঁতুল খেলে গেঁটে বাত হতে পারে৷ যাঁরা অতি মাত্রায় তেঁতুল খেতে চান তাঁরা গেঁটে বাতের প্রতিষেধক হিসেবে কাঁচা লঙ্কা মোটামুটি রকমের খেতে পারেন৷
তেঁতুলের হাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়
শাস্ত্রে ৰলা হয় তেঁতুলের মূল থেকে পাতা পর্যন্ত, ফল থেকে আঁটি পর্যন্ত সবই মানুষের বন্ধু–বন্ধু নয় কেবল তেঁতুলের ঙ্মগাছেরৰ হাওয়া৷ তেঁতুলের হাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়, তাতে চর্মরোগ হতে পারে৷ বাড়ীর উঠোনে বা বাড়ীর জানালার গা ঘেঁসে তেঁতুল গাছ রাখতে নেই৷ অবশ্য পুকুর পাড়ে তেঁতুল গাছ লাগালে সেই পুকুরের জল বিশুদ্ধ থাকে৷
অন্যান্য রোগে তেঁতুল ঃ হাঁপানী রোগে পুরণো তেঁতুল ঔষধের কাজ করে৷ পুরণো তেঁতুল–ভেজানো জল অল্প পরিমাণেও অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ মত খেতে হয়৷
অনিদ্রা রোগ, রোগ প্রতিষেধক হিসেবে ও আলস ার রোগে খামালু
খামালুর পুষ্টিগত মূল্য যথেষ্ট ও সুস্বাদু৷ দুপুরে (রান্না করা তরকারী হিসেবে) খেলে অনিদ্রা রোগের ঔষধ৷ রোগভোগান্তে দুর্বল রোগীকে প্রত্যহ অল্পমাত্রায় খামালু খেতে দিলে তাড়াতাড়ি শক্তি ফিরে আসে৷ পুঁই পাতার সঙ্গে একত্রে খামালু সেদ্ধ করে খেলে তা রোগ প্রতিষেধকের কাজ করে৷ তবে যাদের অম্লশূল আছে তাদের পুঁই পাতা না খাওয়াই ভালো৷ পাকস্থলীর ক্ষতে ও বিভিন্ন ধরনের আলসার রোগে মানকচু ও খামালু দুইই উপকারী হলেও ঙ্মএ ব্যাপারেৰ খামালুর গুণ আরও একটু বেশী৷