January 2024

গায়ত্ত্রী

‘গৈ’ ধাতু  শতৃ  ত্রৈ  তৃচ্ প্রত্যয় করে হয় ‘গায়ত্তৃ’–গানের দ্বারা যিনি (পুং) ত্রাণের ব্যবস্থা করে দেন৷ ‘গায়ত্তৃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ ‘গায়ত্ত্রী’৷ ‘গায়ত্ত্রী’ বেদের সপ্ত ছন্দের অন্যতম৷ বৈদিক সাতটি ছন্দ হচ্ছে–গায়ত্ত্রী, উষ্ণীক্, ত্রিষ্টুপ, অনুষ্টুপ, বৃহতি, জগতি ও পঙ্কক্তি৷ অনেকে ‘গায়ত্ত্রী’ বানানে একটি ‘ত’ ব্যবহার করেন অর্থাৎ বানান লেখেন ‘গায়ত্রী’৷ এটা ভুল৷ দুটো ‘ত’ দিয়ে লিখতেই হবে৷ একটি ‘ত’ ‘গায়ৎ’ শব্দের, অপর ‘ত’টি ‘ত্রৈ’ ধাতুর৷ এই ধরণের ভুল অনেকে ‘পু–’ সম্বন্ধেও করে থাকেন৷ পুৎ  ত্রৈ  ড ঞ্চ পু–৷ একটি ‘ত’ ‘পুৎ’ শব্দের, অপর ‘ত’–টি ‘ত্রৈ’ ধাতুর৷ এক্ষেত্রে ‘ত্র’ দিয়ে লিখলে ভুল হবে৷ ‘গায়ত্ত্রী’

আরও একটি নতুন বিশ্বকাপ শুরু করছে ফিফা

গত বারের বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হওয়ার সবে এক বছর পূর্তি হয়েছে৷  এর মধ্যেই আর একটি বিশ্বকাপের ঘোষণা করে দিল ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা৷  ২০২৫ সাল থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ নতুন রূপে চালু হতে চলেছে৷ চার বছর অন্তর হবে এই প্রতিযোগিতা৷

এই মুহূর্তে ক্লাব বিশ্বকাপের খেলা চলছে৷ কিন্তু এখন এই প্রতিযোগিতা হয় প্রতি বছর৷ বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের আটটি দল এই খেলায় অংশ নেয়৷ ইয়ূরোপ ও লাতিন আমেরিকার সেরা দল খেলা শুরু করে সেমিফাইনাল থেকে৷ ক্লাব বিশ্বকাপে মঙ্গল বারই নামছে গতবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লিগ জয়ী ম্যাঞ্চেস্টার সিটি৷

২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব পেতে পারে ভারত

২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসাবে সৌদি আরব একরকম নিশ্চিত ভাবেই সুযোগ পেয়েছে৷ কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারে ভারত৷ এরকমটা হলে ভারতবাসী একত্রিত হয়ে নিজের দেশেই দেখতে পাবে ফুটবল বিশ্বকাপ৷ অস্ট্রেলিয়া আয়োজনের দাবি প্রত্যাহার করায় সৌদি আরবের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই৷ হঠাৎই আসরে ভারত৷ ফুটবল বিশ্বে ভারত বড় শক্তি নয়৷ ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানানোর সময়সীমাও শেষ হয়েছে অনেক আগে৷ তবু বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে পারে ভারত৷ অবাক করার মতো কথা হলেও এমনই হতে চলেছে৷ উদ্যোগী হয়েছেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে৷ বাংলার প্রাক্তন ফুটবলারের একমাত্র লক্ষ্য ২০৩৪ এর ফুটবল বিশ্বকাপ  ভারতে নিয়ে আসা৷

অসম মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি অসাংবিধানিক

সাধন পুরকায়স্থ

অসম চুক্তি অনুযায়ী ১০০শতাংশ চাকুরী অসমীয়াদের জন্যে সুনিশ্চিত করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তির তীব্র প্রতিবাদ করেন ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ৷ তিনি বলেন--- অসমের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি বলেছেন, তিনি নাকি অসম চুক্তি অনুযায়ী একশ শতাংশ চাকুরী অসমীয়াদের জন্য সুনিশ্চিত করেছেন৷ তার এই উক্তি থেকে বোঝা যায় অসমে বসবাসকারী বাঙালী সহ অন্যান্য ভাষিক-গোষ্ঠীর কোন অধিকার নেই৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তি বা নিয়োগ প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী৷ অসম একটি বহু ভাষিক রাজ্য৷ এই রাজ্যে বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর বাস৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সম

আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে ধর্মমহাসম্মেলনের জন্যে সেজে উঠেছে আনন্দনগর

শীতের শান্ত নির্জনতা কাটিয়ে আনন্দনগর এখন কলাহলে মুখর৷ আগামী পয়লা জানুয়ারী ২০২৪ শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে ধর্মমহাসম্মেলন৷ ৩১শে ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় শুরু হচ্ছে ৭২ ঘন্টার ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ সিদ্ধমন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন৷ ডি.এম.এস ময়দানে মূল মঞ্চের কাজ পূর্ণ উদ্যমে চলছে৷

মেদিনীপুরে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাপী প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর শহরে কেরানীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সম্মেলনে দিল্লি সেক্টরের বিভিন্ন স্তরের  প্রাউট কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন৷ ১৭ই ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, দিল্লী সেক্টরের মুখ্যসচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত, সংঘটন সচিব আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, এছাড়াও গার্লস প্রাউটিষ্টের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷ পাঁচদিনের এই সম্মেলনে প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত,আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত, আচার্য মন

সিন্ধুলিপি পাঠোদ্ধারে নয়া দিগন্ত উন্মোচন করল এক বঙ্গকন্যা

আজ থেকে প্রায় ৪৬০০ বছর আগে সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা এই অদ্ভুত লিপির প্রচলন করেন যা মূলত বিভিন্ন ক্ষুদ্র সিলমোহর ও ট্যাবলেটের উপরে উৎকীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়৷ প্রায় ১০০ বছর ধরে অসংখ্য পণ্ডিত  ও উৎসাহী মানুষ সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করে চলেছেন৷ তাঁদের বেশির ভাগই বলেন সিন্ধু লিপির সিলমোহরগুলিতে বিভিন্ন রাজা, ব্যবসায়ী, বা দেবদেবীর নাম সংস্কৃত, তামিল ইত্যাদি প্রাচীন ভাষায় বানান করে লেখা৷ কিন্তু এঁদের কারও পাঠোদ্ধারই সর্বজনস্বীকৃত নয়৷

সৎ নীতিবাদী নেতৃত্বের অভাবে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে

প্রভাত খাঁ

ভারতের দলতন্ত্র যার নাম দেওয়া হয়েছে গণতন্ত্র, বর্ত্তমানে সেটি খণ্ড ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে মহা সংকটের মধ্যে অবস্থান করছে৷ মনে পড়ে গত ১৯৭৫ সালের অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার পর কংগ্রেসী স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটে৷ জনতাদলের শাসন কায়েম হয়৷ সেই সময় ছোট দলগুলো জনতা দলকে সমর্থন জানায়৷ সেই পরিস্থিতিতে দিল্লীর জুমা মসজিদের প্রধান ইমাম আবদুল্লা বুখারি সেই কেন্দ্রীয় মিলিজুলি সরকারকে সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা করেন –‘গুলসান–ই–গুলসান’৷ অর্থাৎ পাঁচ ফুলের মিলিত সাজি৷ কিন্তু দলতন্ত্রের স্বার্থান্ধতায় সেই গুলসান শুকিয়ে মিলিয়ে যায়৷

সমাজের ত্রুটিপূর্ণ নেতৃত্ব

সমাজে সম্মানিত আর বয়স্ক লোকেদের আচার–ব্যবহার অন্যের কাছে আদর্শস্বরূপ যুগের পর যুগ ধরে মানুষ তার অনুসরণ ও অনুকরণ করে চলে৷ আজ মানুষের সমাজে এক চরম দুর্দিন আর দুর্দশা সমুপস্থিত, আর তার একটাই কারণ, সমাজের ত্রুটিপূর্ণ নেতৃত্ব৷ মানুষ অন্ধের মত অর্বাচীন নেতাকেও অনুসরণ করে৷ নেতারা বড় বড় কথা, অঙ্গ–ভঙ্গি আর নাটুকেপনা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সম্মোহিত ও আকর্ষিত করে৷ এটা জেনে রাখবে যেকোনো দেশে, যে–কোনো মানুষের দারিদ্র্য আর দুর্দশার পেছনে রয়েছে নেতাদের পাপ৷ যারা যথার্থ নেতা তাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে আর ভাবতে হবে সবচেয়ে ভালভাবে মানব সমাজের সেবা কীকরে করা যায়৷ তাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যে তাদের নির্দেশন

মানব প্রগতি

এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বে রয়েছে তিনটি স্তর–আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক বা কারণ৷ এছাড়া রয়েছে একটা মানসাতীত স্তর৷ আবার মানবীয় অস্তিত্বেও রয়েছে তিনটি স্তর–স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ৷ এ ছাড়া রয়েছে এক প্রতিফলিত চৈতন্য৷ এই চৈতন্যের স্তরে বিকাশের কোন প্রশ্ণ নেই, কারণ আত্মা হ’ল গুণাতীত অতীন্দ্রিয় সত্তা৷ যেখানে রয়েছে অপূর্ণতা ও নশ্বরতা সেখানেই রয়েছে বিকাশের সুযোগ৷ অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে গতিই হ’ল প্রগতি৷ মানসাতীত স্তরে কোন প্রগতি নেই, কারণ তা’ পূর্ণ ও শাশ্বত৷ কেবল মানসিক স্তরে এই প্রগতির পূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷ স্থূল শরীর যে পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী সেই পাঞ্চভৌতিক উপাদান ভূমধ্যসাগরের স্থূল অভিব্যক্তি ছাড়া