January 2024

অর্থনৈতিক গণতন্ত্র সার্বিক উন্নয়নের একমাত্র পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আই.এম.এফ.) সতর্ক বার্র্ত জিডিপির ঘাড়ে চেপে বসবে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের বোঝা৷ এদিকে করোনা আবার দরজায় কড়া নাড়ছে৷ দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বাস্তব চিত্রের সঙ্গে সরকারের দেওয়া তথ্য ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে বিস্তর ফারাক৷ সরকার যদিও ঐসব প্রতিবেদন স্বীকার করে না৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মাস দুয়েক আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন--- সরকার ঋণের বোঝা কমানোর চেষ্টা করছে৷ তার মধ্যে আই.এম.এফের সতর্কবার্র্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য --- আভ্যন্তরীণ দেশীয় মুদ্রায় দেওয়া নেওয়া হয়৷ তাই বিদেশী মুদ্রার বিনিময় মূল্যের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ তবে পাঁচলক্ষ কোটির অর্থনীতির রেকর্ড ছোঁয়ার আগেই

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রাউট

মনোজ দেব

 আজ তত্ত্ব কথার কচকচানির অর্থনীতি ত্যাগ করে বাস্তবমুখী অর্থনীতির পথ ধরতে হবে৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর এক বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্ব জীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷ ভারতের সংবিধানে প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তি, সমানাধিকার, স্বাধীনতার অধিকার মৌলিক অধিকার রূপে স্বীকৃত৷

রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকৃতি প্রতিবাদে সমস্ত বাঙালী এক হোন

তপোময় বিশ্বাস

‘সংস্কৃতি একটি জনগোষ্ঠীর সসম্মানে বেঁচে থাকার অন্যতম হাতিয়ার৷ আজ বাঙলার সাংস্কৃতিক জগতে চরম হিন্দী আগ্রাসন চালানোর ফলে বাঙলা তার উৎকর্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়ে ফেলে মানসিক শোষণের চাপে দিশেহারা৷ এই সুযোগে বাঙলার প্রাকৃতিক, খনিজ, বনজ সম্পদকে বাঙলার বাইরে পাচার করা হচ্ছে৷ সবই ঘটছে আমাদের চোখের সামনে কিন্তু আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না৷ এই না দেখার কারণটা হল আমাদের চোখের সামনে হিন্দীর ললিপপ রাখা রয়েছে, তা ললিপপের লোভেই আমাদের সর্বশান্ত করে দিচ্ছে দেশীয় পুঁজিবাদী৷ যে উন্নত রুচিশীল ভাষা সভ্যতার জোরে বাঙলা নিজস্ব চিন্তাধারা বজায় রেখে শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সেই বাঙালীই আজ শোষণে পর্যুদস্ত, বহিরাগতদ

ভক্তি ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

পরমারাধ্য ‘ৰাৰা’ (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী) তাঁর মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বে বলেছেন---‘‘গুরু যখন শিষ্যের আন্তরিক প্রয়াসে সন্তুষ্ট হন, তিনি তখন শিষ্যের উপর কৃপাপরবশ হয়ে পজিটিভ মাইক্রোবাইটার সাহায্যে শুভবৃত্তিগুলোকে উজ্জীবিত করেন ও তাদের প্রভাবকে বাড়িয়ে দেন আর অশুভ বৃত্তিসমূহের প্রভাবকে কমিয়ে দেন৷ এইভাবে মাইক্রোবাইটার মাধ্যমে গুরু প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রন্থিরসক্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিয়ে এটি করেন৷ পরমপুরুষ কোন একজনের ওপর সন্তুষ্ট হলে তিনি সেই ব্যষ্টির সমস্তচক্রে পজিটিভ মাইক্রোবাইটার সাহায্যে বিশেষ শক্তি সম্পাত করেন যার ফলে তাঁর পরমানন্দের অনুভূতি হয়৷ একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হ’ল যে, কোন সাধক যখন স

‘‘মদে লক্ষ্মীলাভ, মাতালে ভরে যাচ্ছে বাঙলা’’

অরুণ দেব

 দুর্গাপুজো থেকে দীপাবলি শারদোৎসবের এই সময়ে আমাদের রাজ্যের বিস্তর লক্ষ্মীলাভ হয়েছে৷ তারমধ্যে আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা একাই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে৷ বিগত চার বছর ধরে এই জেলা দৈনিক গড়ে চার কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছে৷ এটাও নাকি রেকর্ড!

নিউব্যারাকপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৪শে ডিসেম্বর নিউব্যারাকপুর ইয়ূনিটে সকাল ন’টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনের মাধ্যমে ইয়ূনিটের মাসিক অখণ্ড কীর্ত্তনের একবিংশ (২১) বৎসর পূর্ণ হ’ল৷

গালভরা প্রচারই সার কুয়াশায় অস্বাভাবিক লেট ট্রেন

শীতের সেই চেনাপরিচিত চিত্র ভারতীয় রেলের৷ কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাস দিয়ে আসছে ট্রেন চালকদের হাতে এ্যান্টি-ফগ ডিভাইস দেওয়া হয়েছে৷ এতে ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কোন অসুবিধা হবে না৷ যাত্রীরা ঠিক সময়ে নিজের নিজের স্থানে পৌঁছে যাবে৷ কিন্তু কুয়াশা পড়া শুরু হতেই ট্রেনের গতিও মন্থর হচ্ছে৷ দূরপাল্লার  ট্রেনগুলি আড়াই ঘন্টা থেকে পাঁচ সাত ঘন্টা পর্যন্ত লেট করছে৷ তাহলে রেলের আশ্বাস কি নিছকই প্রচার ছিল?

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

শীতের রোগ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন

বিশেষ প্রতিনিধি

শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷