প্রবন্ধ

আমার বাঙলা

একর্ষি

‘আমার বাঙ্গলা’র অর্থনৈতিক অবস্থার অতীত ও বর্তমান -এর কথা উঠলেই একটা ‘দিকদর্পণ’ সামনে আসে--- তা হ’ল,---একটা জাতির, একটা জনগোষ্ঠীর বা একটা দেশের অস্তিত্ব, স্থায়িত্ব, উদ্বর্তন ও ক্রমোনতি নির্ভর করে পঞ্চশক্তি ওপর, যথা অর্থশক্তি, ভাষা-সংস্কৃতির শক্তি, ক্ষাত্র শক্তি, প্রশাসনিক দক্ষতা বা ম্যানেজেণ্ট,---অন্য কথায় নেতৃত্ব, এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য অদম্য জিদ বা সুদুঢ আত্মবিশ্বাস৷ অর্থ শক্তি এদের মধ্যমণি৷ তাই হয়তো জীবনবাদী মহাভারতকার বললেন---‘অর্থই অনর্থের মূল’৷ ভাবুক দরবেশ গাইলেন -টাকা টাকা টাকা ভাই, টাকার মত জিনিস নাই,/ টাকা নাই যার মরণ ভাল এ সংসারেতে৷’’---কথার মধ্যে ভাবের আতিশয্য থাকলেও বাস্তবকে অস্ব

জনচেতনার অভাবে দানবতন্ত্রের প্রবেশ

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক চলেছেই৷ তবে এই শাসনতন্ত্রের বিশেষত্ব হ’ল এই যে, যে দেশের ভোট দাতাদের মধ্যে বিচারশীল মানুষদের সংখ্যাধিক্য বেশী সেখানেই এটি কৃতকার্য হতে পেরেছে৷ অন্যথায় প্রাগৈতিহাসিক মনোভাবাপন্ন বা মেকী সভ্য সমাজে এই শাসনতন্ত্র সুশাসনের প্রতীক হতে পারছে না৷ কারণ এই তন্ত্রকে ফলপ্রসূ করতে গেলে জনশিক্ষার দরকার হয়৷ এর অর্থ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অভিজ্ঞান প্রাপ্ত শিক্ষিত হলেই চলবে না, এই শিক্ষিতদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা থাকতে হবে৷ সঙ্গে একটা বিচারশীল মানসিকতাও চাই৷

আমার বাঙলা

একর্ষি

‘আমার বাঙ্গলা’র অর্থনৈতিক অবস্থার অতীত ও বর্তমান -এর কথা উঠলেই একটা ‘দিকদর্পণ’ সামনে আসে--- তা হ’ল,---একটা জাতির, একটা জনগোষ্ঠীর বা একটা দেশের অস্তিত্ব, স্থায়িত্ব, উদ্বর্তন ও ক্রমোনতি নির্ভর করে পঞ্চশক্তি ওপর, যথা অর্থশক্তি, ভাষা-সংস্কৃতির শক্তি, ক্ষাত্র শক্তি, প্রশাসনিক দক্ষতা বা ম্যানেজেণ্ট,---অন্য কথায় নেতৃত্ব, এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য অদম্য জিদ বা সুদুঢ আত্মবিশ্বাস৷ অর্থ শক্তি এদের মধ্যমণি৷ তাই হয়তো জীবনবাদী মহাভারতকার বললেন---‘অর্থই অনর্থের মূল’৷ ভাবুক দরবেশ গাইলেন -টাকা টাকা টাকা ভাই, টাকার মত জিনিস নাই,/ টাকা নাই যার মরণ ভাল এ সংসারেতে৷’’---কথার মধ্যে ভাবের আতিশয্য থাকলেও বাস্তবকে অস্ব

নীলকন্ঠ দিবসের প্রার্থনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী অমৃতের সন্ধানে দেবতারা সুমুদ্র মন্থন করতে গিয়ে অমৃতের সাথে তীব্র হলাহল বিষতুলে আনে৷ যে বিষ সমগ্র পৃথিবীকে ধবংস করে দেবে৷ দেবতারা নিরুপায় হয়ে শিবের দারস্থ হয়৷ সদা মঙ্গলময় শিব সেই বিষ পান করে পৃথিবীকে রক্ষা করেন৷ পুরাণ অনুযায়ী শিব সেই বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না দিয়ে কন্ঠে ধারণ করে রাখেন৷ বিষের প্রভাবে শিবের কন্ঠ নীল হয়ে যায়৷ সেই থেকে শিবের এক নাম হয় নীলকন্ঠ৷

পৌরাণিক এই গল্পটি শিক্ষামূলক৷ পুরাণের গল্পগুলির মধ্যে সত্যতা না থাকলেও লোক শিক্ষার বিষয়৷ পৃথিবীতে মন্দ ভালো দুই আছে৷ কবি বলেছেন---

‘বহু ভাগ্য সেই জন্মিয়াছি এমন বিশ্বে

নির্র্দেষ সে নয়,

জনবিরোধী সংস্কার বিরোধী ভোটমুখী ঘাটতি বাজেট

প্রভাত খাঁ

২৫-২৬ সালের বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদের উভয় সভায় ভাষণে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে বলেন---এই সরকার ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিকশিত ভারত ঘটনই আমাদের লক্ষ্য৷ ২৫কোটি মানুষের দরিদ্র দূরীকরণ হয়েছে ইত্যাদি৷

সমাজে মানবরূপী দানবের সংখ্যা ও অত্যাচার বেড়েই চলেছে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

সংবাদপত্রের পাতায় কিংবা টিভিতে প্রচারিত সংবাদ যেখানেই চোখ রাখুন এমন ধরনের সংবাদ নজরে আসছে যা দেখে বা শুনে আপনি শিউরে উঠবেন৷ আপনার মনে হতে বাধ্য পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ এসব ঘটনায় জড়িত? যারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে বলে দাবী করে তারা এভাবে খুন- ধর্ষণ -রাহাজানি- নারী নির্যাতন - প্রতারণা -জোচ্চুরি- সাম্প্রদায়িক হানাহানি ইত্যাদি যা ঘটে চলেছে তার সাথে যুক্ত !! একথা ভাবতে না পারলেও এটাই সত্যি৷ জলের মতো পরিষ্কার আজ এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে আছে নররূপী দানবের দল৷ যাদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে.........

ভাবোন্মাদমত্ত ভক্তিমদধারা

প্রাউটিষ্ট

মহাকুম্ভের মর্মান্তিক পরিণতি৷ অমৃতের সন্ধানে গিয়ে অকালে অনন্তের পথে যাত্রা৷ তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনার পরিণতিতে কতকগুলো জীবন অসময়ে ঝরে গেল৷ অন্ধবিশ্বাস ও ভাবজড়তায় আচ্ছন্ন জীবনের শেষ পরিণতি কি এভাবেই হয়?

আমরা উচ্চকন্ঠে ডিজিটাল ভারতের কথা বলি৷ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষকে একাত্ম করে তুলতে কত আবেদন নিবেদন, কত বিজ্ঞাপনের বহর৷ পাশাপাশি অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বোঝা মানুষকে আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তথাকথিত কিছু ধর্মীয় নেতাদের চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ মেনে৷ কিন্তু ধর্মের আড়ালে মনুষ্যত্বকে তুচ্ছ করে এই জ্ঞানহারা ভাবাবেশ ও বিহ্বলতার শেষ কোথায়?

মানবধর্মের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হোক মানুষ

প্রাউটিষ্ট

ধর্মীয় গোঁড়ামি, ভাবজড়তা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের পরিণতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার মর্মন্তুুদ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো এবারের মহাকুম্ভমেলা৷ ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলেই কি পুন্য সঞ্চয় হয় অমৃত লাভ হয় পুরানের সার কথা ‘‘অষ্টাদশ পুরাণেষু ব্যাসস্য বচনদ্বয়ম্৷

           পরোপকারঃ পুণ্যায় পাপায় পরপীড়নম্৷৷’’

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন–‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ৷’ এর থেকে যে কোন শিক্ষাই ধর্মের ধ্বজাধারীরা নেয়নি কুম্ভমেলায় কতকগুলো মানুষ জীবন দিয়ে তা দেখিয়ে গেল৷ এই প্রসঙ্গে আনন্দমার্গের চিন্তাধারা এখানে তুলে ধরা হল৷

অভয়ার মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুর রায় আজীবন অপরাধীর কারাদণ্ড অনেকের কাছে আশানুরূপ নয় তাই উচ্চ আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্য ধরতেই হবে

প্রভাত খাঁ

আমরা প্রবীন নাগরিকগণভাবে ভারতযুক্তরাষ্ট্রের দলতান্ত্রিক সরকারগুলির দলীয় শাসন চলছে তাতে বৃহত্তম সংখ্যক নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র নাগরিকদের জীবন পরিবার এর পুত্র কন্যাদের নিয়ে বাস করতে হচ্ছে সেটা চরম জীবনমরণ সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতার ও চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে তা কহতব্য নয়৷ দেখা যাচ্ছে সেই যে দলের সরকার তারা ও মুষ্টিমেয় উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনীরাই শুখে আছেন৷ সাধারণের পাশে কেউই নেই৷ চরম দুর্নীতি চারিদিকে কেবল শাসকগণ নানাধরণের আশার কথাই শুনিয়ে যাচ্ছেন! বাস্তবে কোন সুরাহা নেই! চরম দুঃখের কথা এদেশে মাতৃজাতির তো নিরাপত্তা নেই!

সংবিধানে ভারত যুক্তরাষ্ট্র সেখানে এক দেশ এক নির্বাচন করতে হলে গণপরিষদের মতামত জরুরী

প্রভাত খাঁ

এখনো অনেক প্রবীন নাগরিকগণ জীবিত আছেন যারা প্রথম থেকেই সেই ইংরেজের দেওয়া দলতন্ত্রী দল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ঘটিত শাসন ব্যবস্থায় যেটি স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃত সেই ভারতযুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে অংশ নিয়ে চলেছেন৷ এবারেই দেখা যাক লোকসভা নির্বাচনে গত ২০২৪ কেন্দ্রের যে বোট হয়েছে তার কতজন নাগরিক বোট দিয়েছেন তাঁরই হিসাব৷ জানা গেল নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সংবাদ৷ ৬৪কোটি ৬৪ লক্ষ বোট গ্রহণ করা হয়েছে৷ এই নির্বাচনে বেশ কিছুটা একেবারে তরুণ তরুণী বোটার হন যাঁদের বয় ১৭ বছর৷ বোটার বাড়ে তার কারণটা খুবই স্পষ্ট!