প্রবন্ধ

বিপন্ন সমাজে রবীন্দ্র ভাবনা

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আমরা প্রতি বছরের মত এবারেও খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি–সিরিয়্যালে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শক

বানভাসি মানুষের কান্না কতকাল?

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

এখন প্রকৃতির রাজ্যে চলছে নীরস গ্রীষ্মের দাপট ও রাজ্যপাট৷ সারা দেশে চলছে মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহ৷ তাপপ্রবাহের মাত্রা কোথাও ৪০ আবার কোথাও বা ৪২৷ এই অসহনীয় তাপ প্রবাহের কবলে পড়ে মানুষ, পশুপাখি ও বৃক্ষলতা সকলেই ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলছে৷ তবে এটা প্রকৃতির আবর্ত্তনের পথ ধরে গ্রীষ্মের পর বর্ষা প্রকৃতির দরবারে আত্মপ্রকাশ করবে৷ এই বর্ষা ও তার প্রেক্ষাপটে সর্বানাশা প্লাবন-এটাই আমার নিবন্ধের বিষয়৷

ব্যক্তিত্ব : ব্যক্তি মানবের আসল পরিচিতিv

লীনা দাস

ব্যক্তিত্ব হল প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে গড়ে ওঠা নৈতিক, চারিত্রিক ও সামাজিক মূল্যবোধ যা তার জন্মকালীন পরিবেশ, বংশগতির ধারা ও পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া! এই হল ব্যক্তিত্বের লৌকিক সংজ্ঞা৷ এই সংজ্ঞা অনুযায়ী লৌকিক দৃষ্টিতে যার সম্ভ্রম আছে বলে মনে হয় তাকে লোকে বিশেষ মর্যাদা বা শ্রদ্ধার চোখে দেখে থাকে, সে-ই ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে প্রতিভাত হয়৷

স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে আরও কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

লোকসভা, বিধানসভা বা রাজ্যসভা নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন৷ সেই দায়িত্ব তারা যে পালন করে থাকে এ বিষয়ে দেশবাসী অবগত আছেন৷ কমিশনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনে বোটারদের voter)সচিত্র পরিচয়পত্রের ব্যবহার৷ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এই সংস্থাকে আরও কিছু নতুন বিষয় সংযোজন করে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দেশবাসী যেন কখনই ভাববার সুযোগ না পায় যে এই কমিশন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গুলি হেলনে চলে !

রাজনীতি সেবা না চাকরি

শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল

দিন কয়েক আগে ফেসবুকের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে একটা বিষয় নজরে এল৷ বয়স্ক লোকেদের আড্ডার আসরে এক ব্যক্তি আমজনতার উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ণ ছুঁড়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন--- রাজনীতি সেবা না চাকরি? যদি সেবা হয় তাহলে বেতন, পেনশন কেন? আর যদি চাকরি হয় তাহলে পরীক্ষা বা শিক্ষা-দীক্ষা নেই কেন? তবে সত্যি কথা বলতে---এটা অনেকেরই মনের কথা, অনেকে মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারেন নি৷ আর উনি সাহস করে সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ণটি উত্থাপিত করেছেন, রবিঠাকুরের কথায় বলতে হয়---‘মন্ত্রী কহে---আমারো ছিল মনে কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে,

বৃহত্তম সংখ্যার অনুসন্ধান

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

মানুষ তার প্রয়োজনের তাড়নাতেই এক সময় ১ হ’তে ৯ পর্যন্ত এই অঙ্কগুলি (Digits) আবিষ্কার করেছিল৷ এরপর বেশ কিছুদিন এই অঙ্কগুলিকে নিয়ে যে অসংখ্য সংখ্যা (Number) তৈরী করা যায়, এমন কথা কল্পনা করতে শেখেনি৷ তারপর কালক্রমে, শূন্য (Zero)–এর অস্তিত্বের কথা যখন কল্পনায় এসেছিল, তখনই অসংখ্য সংখ্যা তৈরী হ’তে শুরু করল দুরন্ত গতিতে৷ শুরু হ’ল দুই অঙ্ক–বিশিষ্ট, তিন–চার অঙ্ক, প্রভৃতি অসংখ্য সংখ্যা বিশিষ্ট সংখ্যা গঠনের চিন্তা–ভাবনা৷ প্রথমেই আবিষ্কার হ’ল স্বাভাবিক সংখ্যার অর্থাৎ ১ হ’তে ১০০ পর্যন্ত এই স্বাভাবিক সংখ্যাগুলি৷ এরপর হাজার, অযুত, লক্ষ, কোটি স্থানীয় সংখ্যাগুলিকে আবিষ্কার করল৷ এখানেই সংখ্যা তৈরী সমাপ্ত হ’ল ন

ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালী আর কতদিন বলির বকরা হয়ে থাকবে

মনোজ দেব

মানুষ আজ অমানুষে পরিণত হচ্ছে৷ হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ লোভ মানুষকে বিবর্তনের বিপরীত পথে নিয়ে চলেছে৷ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি নানা নামে পরিচিত৷ মানুষের পরিচয় সে ভুলে যায়, মানব ধর্মের অনুশীলন সে করে না৷ দলীয় স্বার্থরক্ষা করা আর অর্থ উপার্জন তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ ক্ষমতার দখল নিতে সে উন্মত্ত, উন্মাদ৷ তাই তো এত হিংসা, এত রেসারেসি! কেউ একবারও ভাবে না কে কাকে মারছে? কে কার রক্তে হাত রাঙাচ্ছে?

মহান প্রাউটিষ্টদের জগৎকল্যাণে কিছু করনীয় কাজ

প্রভাত খাঁ

নব্য মানবতাবাদী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এক কল্যাণধর্মী বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ আদর্শভিত্তিক এক মানব সমাজ গড়ে তুলতে যার আশ্রয়ে গড়ে উঠবে আনন্দ পরিবার৷ যেখানে কেউ শোষিত ও নিপীড়িত হবে না৷ কারণ এই বসুন্ধরার মালিক হলেন সেই বিশ্বশ্রষ্ঠা পরমপুরুষ৷ তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকার আছে প্রতিটি মানুষের৷ আর এই সমৃদ্ধশালী পৃথিবীর সব কিছু ভোগ করার অধিকার আছে সব মানুষের জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে৷ এই পৃথিবীটা কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়৷ এই মহান ধারণাটা অদ্যাবধি কোন শাসকেরই মাথায় নেই নিছকরকম অজ্ঞানতা বশতঃই৷ বর্তমান নানা রং-এর শাসকদের দৃষ্টিতে না কি বাতুলতা৷ আর এটা তখনই গড়ে উঠবে

আর্থিক বিকাশ হোক সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বর্তমান অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন--- ‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷’’ তাই প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷ বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ সর্বজীব ও সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে অর্থনীতিকে বিকশিত করতে হবে৷

গণিত-গণিত খেলা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

খেলা আর খেলা৷ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই রয়েছে একটা না একটা খেলাতে৷ কেউবা ক্রিকেট খেলায় মেতেছে, কেউবা ফুটবল খেলায় মেতেছে৷ আবার, বিপুল অর্থব্যয়ে চার-পাঁচ বছর অস্তর বিশ্বকাপ অথবা অলিম্পিক খেলায় মেতে চিত্তবিনোদনের স্রোতে সকলে ভেসে চলি৷ আর চলছে, পৃথিবীব্যাপী রাজনীতিবিদদের চরম... ধবংসাত্মক, খেলা৷ এদিকে স্কুল-কলেজগুলিতে চলছে নানান ধরনেব Indoor-outdoor প্রভৃতি games.