প্রবন্ধ

বিশ্ব উষ্ণায়ন

নাতাশা ইসলাম

পৃথিবী ক্রমশ তেতে উঠছে৷ এই উত্তপ্ত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা–অসংখ্য পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা ও সর্বোপরি মানুষ৷ যে মানুষ আজকের এই সংকটজনক পরিস্থিতির জন্যে অনেকটাই দায়ী৷ বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস৷ বায়ূ মণ্ডলের প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি হল–জলীয়বাষ্প, কার্বন–ডাই–ক্সাইড (ড্রত্থ২), নাইট্রাস অক্লাইড (ত্ত্ব২ত্থ), মিথেন (ড্রণ্ড্র২) ও ওজন (ত্থ৩), আর আছে ক্লোরিন যুক্ত কয়েকটি গ্যাস–পার ফ্লুরোকার্বন্স্ (ত্নণ্ঠড্রত্র), হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন (ণ্ড্রণ্ঠড্রত্র) ও সালফার হেক্সাফ্লুরাইড (ত্রণ্ঠ৬), মন্ড্রিল প্রোটোকল৷ ১৯৮৭–এর সিদ্ধান্তে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন–এর্ ব্যবহ

কেউ কথা রাখেনি

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

দেখতে দেখতে ৪২ বছর পার হয়ে গেল৷ কেন্দ্রে ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন দুই দলের সরকার কেউই কথা রাখেনি৷ যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বা টেলিভিশনের পর্দায় পশ্চিম বঙ্গে সিপিএমের সন্ত্রাস ও গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে বাজার গরম করে তারা কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন গণহত্যার বিচার করে দোষীদের সাজা দেওয়ার এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা করল না৷ ১৯৮২ সালের ৩০ শে এপ্রিল কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৭ জন আনন্দ মার্গী সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল৷ রড দিয়ে পিটিয়ে ও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে সিপিএমের হার্মাদরা মার্গের সন্ন্যাসীদের হত্যা করেছিল৷ ভেবেছিল এভাবেই আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘকে শেষ করে দেবে৷ আনন্দ

গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটিত হোক

প্রভাত খাঁ

সেই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তারিখটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো৷ আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও গৃহী ভক্তবৃন্দ সেই বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে যে তরতাজা লাল গোলাপের মত সুন্দর ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী নৃশংসভাবে দিবালোকে কলকাতার রাজপথে নিহত হলেন তাঁদের বিদেহী আত্মাকে স্মরণ করতে ও হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করতে সমবেত হবেন আগামী ৩০ শে এপ্রিল বিজন সেতুতে তাপ দগ্ধ দ্বিপ্রহরে৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪২ বছর৷ অদ্যাবধি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করলেন না৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই

বহু ভাষা কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিতে বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষ একের নির্বুদ্ধিতায় ভেঙে পড়তে পারে

প্রবীর সরকার

ভারতবর্ষ কোন একটি ভাষাভিত্তিক কোন একটি ধর্মমতের জনগোষ্ঠীর দেশ নয়৷ নানা ভাষাভাষি কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির বৈচিত্রময় সমাবেশ ভারতবর্ষে৷ এই বৈচিত্রের বৈশিষ্ট্যকে ধবংস করে একের দোহাই দিয়ে কোন একটি ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কেউ যদি ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় তার পরিণতি ভালো হবে না৷ চোখের সামনেই দৃষ্টান্ত আছে বাঙলাদেশ৷ একই ধর্মমতের মানুষ হয়েও শুধুমাত্র ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষা করতে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরী করেছে৷ ইয়ূরোপ ও আরব দেশগুলির দিকে তাকালেও দেখা যাবে একই ভাষা বা ধর্মমতের জনগোষ্ঠীগুলো একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারে নি৷ আজ ভারতবর্ষের কর্ণধাররা যদি এর থেকে শিক্ষা

বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা চক্রের উপর মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্ক সমূহের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের উৎপত্তি সম্পর্কে বলেছেন---নিহারিকা Nebula) থেকে তারা জগৎ বা ছায়াপথ Galaxy) তৈরী হয়েছে৷ আমরা যে তারা জগৎ বা ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) এর মধ্যে বাস করি, তা মোটামুটি দশহাজার কোটি (১০,০০০ কোটি) নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র বা তারাদের কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি ঘুরে চলেছে৷ আমরা হ’লাম এই পৃথিবী গ্রহের  বাসিন্দা৷ আমাদের ব্রহ্মাণ্ড Galaxy)-টির কেন্দ্র হ’তে ৩৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে আমরা হ’লাম ওর শহর তলীর বাসিন্দা৷ মহাকাশের বুকে এরূপ অগণিত ব্রহ্মাণ্ড সমূহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব Universe)৷

ধনীর সেবাদাস সরকার কালো সোনার ভাণ্ডার তুলে দিল ধনকুবেরের হাতে

প্রভাত খাঁ

এই সম্পদে পরিপূর্ণ বসুন্ধরার মালিক প্রধানতঃ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ৫ বছরের জন্য যাঁরা জনগণের বোটে নির্বাচিত হয়ে দেশসেবা  করার জন্য আসেন তাঁরা৷ সেই সম্পদ লুঠ পাট করার জন্য আসেন না তাকে রক্ষা করার জন্যই আসেন৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা হলো এই বিরাট দেশের দলতান্ত্রিক শাসকগণ দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে যেকটি এসেছে সেই কটির সবগুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও স্বৈরাচারী শাসক৷ বিশেষ করে পর পর দুই এর অধিক বার শাসনে থেকে!

ধনমুখী কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে গণমুখী করতে হবে

প্রবীর সরকার

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করা হয়৷

আজ এই দুটিই উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷  সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত সঙ্গীত৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল ধবনাত্মক ধবনি (Positive sound)৷ ভজন, কীর্ত্তন ও ইষ্ট নাম হ’ল পজিটিভ সাউণ্ড৷ উচ্চৈস্বরে পরম পুরুষের গুণগান ক’রে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াকে কীর্ত্তন বলে৷ কীর্ত্তনে পরম পুরুষের আনন্দপ্রাপ্তি হয়৷ এই অবস্থায় ভক্ত নিজেকে ভুলে গিয়ে আত্মহারা হ’য়ে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াই হ’য়ে ওঠে ভক্তের জীবনের লক্ষ্য৷ পজিটিভ  সাউণ্ডের পরিবেশ পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত  অনুকূল৷ সেদিক থেকে ৰাৰার দেওয়া অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনে যে মনরম স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাতে কোটি কো

অতীতের পৃষ্ঠা থেকে জন্মদ্বিশতবর্ষে - প্যারীচরণ সরকারের কিছু কথা৷

মণিমেখলা মাইতি                                             

বিস্মৃত বাঙালিকে ক্ষমা করে দিন আপনি৷ আপনি তো মুক্ত মনের মানুষ৷ এ ক্লেদাক্ত সমাজে আপনাকে আজ কোন দরকার নেই৷ সত্যিই তো, আপনার অবদান কে কবেই বা মনে রাখলো! সেই ১৮৪৭ সালের কথা কেউ মনে রাখে! সাধারণ বাড়ির মেয়েরা তখন পড়াশুনা করে না৷ মেয়েরা পড়লে বিধবা হবে, স্ত্রীশিক্ষা হল ’’কালকেউটের বিষ’’৷ তাই ধামায় করে পিতা পাঁচ বছর বয়সে কন্যাদান করেন৷ মেয়ে অন্ধকার আলোয় রাঁধে, বাড়ে, সংসার বৃদ্ধি করে৷ তার কাছে বাইরের পৃথিবী অধরা৷ এমন অবস্থায় এগিয়ে এসেছিলেন পুণ্যশ্লোক প্যারীচরণ সরকার৷ বারাসাতে কালীকৃষ্ণ মিত্র, নবীনকৃষ্ণ মিত্রের সহযোগিতায় গড়ে তুললেন সাধারণ মেয়েদের জন্য প্রথম প্রকাশ্য বিদ্যালয়৷ দেশের মধ্যে প্রথম কি?

ৰাংলা নববর্ষ

আমরা  পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চলছে