আমার বাঙলা ২

লেখক
একর্ষি

পূর্বপ্রকাশিতের পর,

পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র ভূমিপুত্ররা সাধারণত সংশ্লিষ্ট ভূমির বা দেশের নামেই পরিচিতি লাভ করে৷ অবশ্য পৃথিবীর কোথাও আজ অবিমিশ্র ‘রেস নেই’, সর্বত্রই মিশ্র জনগোষ্ঠীর বাস, সংকরায়নটা কোথাও কম---কোথাও বেশী৷ তবে বাঙালীর রক্তে নিগ্রো - অষ্টিক - মঙ্গোলীয় - আর্য --- পৃথিবীর এই প্রধান চারটি রেসেরই (নরগোষ্ঠীর) মিশ্রণ ঘটেছে--- যা পৃথিবীতে বিরল৷ এই প্রসঙ্গে ভূতত্ব আধারিত একটা নৃতাত্ত্বিক তথ্য স্মরণ করা যেতে পারে৷ সে পনের লক্ষ বছর আগেকার কথা৷ প্লেইস্টোসিন যুগের পৃথিবীতে,ফিজিওগ্রাফিক বিন্যাসে, মানুষের আবির্ভাবের ও তার দীর্ঘদিনের বিচরণের কয়েকটা এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের ঊত্তর দিক ও দক্ষিণ দিক৷ নৃবিজ্ঞানের বিচারে গণ্ডোয়ানার উত্তর পাড়ের আদিম মানুষেরা ‘অষ্ট্রিক’ বৈশিষ্ট্যে বিশেষিত হয়ে ওঠে৷ অন্য দিকে দক্ষিণ পাড়ের মানুষেরা হ’ল নিগ্রো৷ আর এই দুইয়ের মিশ্রণে এলো দ্রাবিড় রেস৷ বাঙালীস্তান মহাভূমির রাঢ় এই গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডেরই পূর্বাংশ---যা পশ্চিম রাঢ় নামে পরিচিত৷ অঞ্চলটি অষ্ট্রিক প্রধান৷ এই রাঢ়েই মিলন হয়েছে তিনেরই নিগ্রো, অষ্ট্রিক ও অষ্ট্রিক-নিগ্রো মিলন জাত দ্রাবিড়ের৷ তাহলে অসংখ্য নদীনালা বিধৌত রাঢ় বাঙলায় এই পর্বের মানুষেরা, অর্থাৎ বাঙালীর পূর্বপুরুষেরা নিগ্রো-অষ্ট্রিকো-দ্রাবিড়য়েড সভ্যতার ইতিহাসে এই রাঢ়-বাঙলাই যেমন মানব সভ্যতার আদিবিন্দু পীঠস্থান, তেমনি পৃথিবীর অন্যতম অতিপ্রাচীন সভ্য-সমুন্নত জনগোষ্ঠী হ’ল বাঙালী৷ অর্থাৎ আমার বাঙলা- বাঙালীস্তানের (রাঢ়) বাঙলাই মানব সভ্যতার আদিবিন্দু৷ বিশিষ্ট নৃতত্ত্ববিদ এস. চক্রবর্তী দেখিয়েছেন যে পৃথিবীর একমাত্র এখানেই মানবসভ্যতার আদি - মধ্য - নব্য---এই তিনটি স্তরেরই নিদর্শন পাওয়া গেছে৷ কিন্তু একই এলাকায় একসঙ্গে তিনটির নমুনা আর কোথাও পাওয়া যায়নি৷ দার্শনিক শ্রেষ্ঠ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারও বলেছেন---মানব ‘সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়’৷

নৃতত্ত্বের বিচারে এই বাঙালী জাতিসত্তার (এথিসিটির) পরণতি এসেছে মোঙ্গোলীয় ও আর্য রক্তের সঙ্গে মিলনে৷ মোঙ্গোলীয়দের আদি বাসভূমি পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার মেরুবৃত্তীয় অঞ্চলে৷ মোঙ্গোলিয়ানদের কতকগুলো শাখা আছে৷ তাদের মধ্যে ইন্দো-টিবেটান ও ইন্দো-বার্মান গ্রুপ ভারত তথা বাঙলার সীমান্তবর্তী তিববত ও বার্মায় (মায়ানমার) বসবাস করে৷ এই সব অঞ্চলের মঙ্গোলীয় শাখাগুলি বিভিন্ন সময়ে বাঙলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এসে অবহিমালয় থেকে সমতল, বরেন্দ্রভূমি থেকে বিদেহ-উপবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে৷ দীর্ঘকাল ধরে বৈবাহিক ও নানা সূত্রে স্থানীয় অষ্ট্রিকো-নিগ্রো-দ্রাবিড়য়েড বাঙালীগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিশে যায়৷ এরাই পরবর্তী কালের মোঙ্গোলয়েড প্রধান বাঙালী জাতি৷ অর্থাৎ অষ্ট্রিকো-নিগ্রো---দ্রাবিড়য়েড বাঙালী হয়ে গেল অষ্ট্রিকো-দ্রাবিড়য়েড-মোঙ্গোলয়েড বাঙালী জনগোষ্ঠী৷ অনেক পরে বাঙালী রক্তে মিশেছে আর্য রক্ত৷ আর্যদের আদিনিবাস ইউরোপ ও রাশিয়ার অর্থাৎ ইউরেশিয়ার মধ্যঞ্চলে, ককেশীয় পর্বতমালার সন্নিহিত অঞ্চলে,এশিয়ার উত্তরাংশে৷ আর্যদের তিনটি শাখা---অ) নর্ডিক---এরা আর্যদের আদি বাসভূমির উত্তর দিকের বাসিন্দা৷ আ) এ্যালপাইন---আল্পস পর্বতের সানুদেশের বাসিন্দা৷ ই) ভূমধ্যসাগরীয়---ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে এদের বসবাস৷ এই তিন নিয়েই আর্য৷ আর্যরা বহু শতাব্দ সহস্রাব্দ ধরে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ভারতে আসে৷ কিন্তু আর্যরা সহজে পঞ্চগৌড়ে ঢুকতে পারেনি৷ ঐতিহাসিকদের মতে আর্যরা বাঙলায় আধিপত্য বিস্তার করে অনেক, অনেক পরে, খ্রীষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, তাও তা মোটামুটি গাঙ্গেয় উপত্যকায় সীমাবদ্ধ ছিল৷ মোটকথা, বাঙালীর রক্তের বিচারে ও মৌলিক সংস্কৃতিতে বাঙালী আর্য নয়৷ যা ঘটেছে তা আসলে বাঙালীর ওপর আর্য-সংস্কৃতির মুদ্রাবর্ণ মাত্র (রঙের ছাপ)৷ অর্থাৎ আদতে আধুনিক বাঙালী জনগোষ্ঠী হচ্ছে--- অষ্ট্রিকো---নিগ্রো-দ্রাবিড়য়েড-মোঙ্গোলয়েড-এ আর্যের মুদ্রাবর্ণীকৃত সঙ্কর জনগোষ্ঠী৷ লক্ষ্যনীয়, বাঙলার দক্ষিণ-পশ্চিমে দ্রাবিড় রক্তের প্রাধান্য,উত্তর-পূর্বাংশে মঙ্গোলীয়দের,পশ্চিমাংশে অষ্ট্রিকদের প্রাধান্য, দক্ষিণ -পূর্বাংশে দ্রাবিড়দের সংখ্যা অত্যন্ত কম ---মোঙ্গোলীয়দের সংখ্যা বেশী৷ মধ্যাংশে গাঙ্গেয় উপত্যকায় আর্য রক্তের কিছু মিশ্রণ ঘটেছে---অন্যত্র বিরল৷ তাই বাঙলার মানুষগুলো মূলতঃ ‘অষ্ট্রিকো --- নিগ্রো- দ্রাবিড়য়েড মঙ্গোলয়েড৷’

ইতিহাসের সমাজতত্ত্বের বিচারে মানুষের সভ্যতার গতিধারাটা নদীমাতৃক৷ অর্থাৎ সভ্যতার শুরু হয়েছিল পাহাড়ে-উচ্চভূমিতে পরণপ্তি লাভ করেছে ব-দ্বীপীয় স্তরে৷ উৎস থেকে মোহনা, নদীউপত্যকার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য৷ বাঙলার নদীগুলো--- বিশেষ করে রাঢ়ের স্নায়ুজালের মত নদীগুলো, এক একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের অববাহিকা ধরে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারা বেয়ে এগিয়ে চলবার সুযোগ করে দিয়ে ছিল ৷ এইভাবে এক একটি নদী ধারা বেয়ে কোথাও সিংমুণ্ডা, কোথাও কুশমেট মুণ্ডা,কোথাও হো-মুণ্ডা, খেড়িয়া ---খাংগার মুণ্ডা নিজেদের জীবন পথে নদীর ধারা বেয়ে চলেছিল৷ ‘তাই সভ্যতা শুধু মাত্র এক একটি জন-জাতির সভ্যতা নয়, এক একটি নদীরও খণ্ড সভ্যতা বা স্থানীয় সভ্যতা৷ ---রাঢ়ের ‘উত্তরে বাঁশ নদী থেকে ক্রমঃ দক্ষিণে ব্রাহ্মণী, দাঁড়কা, ময়ূরাক্ষী, বক্রেশ্বর, কোপাই, অজয়, বরাকর, দামোদর, গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর,রূপনারায়ণ, কুমারী, কংসাবতী, কেলেঘাই, হলদি, সুবর্ণরেখায় খণ্ড সভ্যতা বা স্থানীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল৷ পরে এই নদীগুলির পলিবাহিত বিবর্তনে যখন পূর্ব রাঢ় গড়ে উঠল তখন এই খণ্ড জনগোষ্ঠী, এই খণ্ড জনসভ্যতা ও সংস্কৃতি পূর্ব রাঢ়ে এসে মিলে মিশে একক ও অভিন্ন রাঢ়ীয় সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিল৷ অর্থাৎ বাঙলী জাতির ইতিহাসে বাঙালীস্তান মহাভূমির নদী মেখলাও বাঙালী জনগোষ্ঠীকে সঙ্কর গোষ্ঠীতে রোপান্তরিত করতে বিশেষ ভূমকা পালন করেছে৷

আদিম পৃথিবীতে, ভারতীয় উপমহাদেশে স্থলপথে সুরক্ষা-প্রাচীরের মত দুর্গম---গভীর-শ্বাপদ সংকুল অরণ্য বেষ্টিত বাঙালীস্তান মহাভূমিতে আসাটা প্রায় অসম্ভব ছিল৷ তাছাড়া মানুষের জীবনধারা ও সভ্যতা তো নদী মাতৃক৷ এই নিয়মেরই ক্রিয়াত্মিকা শক্তিতে আর্য রেসের মানুষেরা তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে গঙ্গা নদী বেয়ে বাঙলায় আসে, বাঙলার পশ্চিমের দামোদর ও অন্যান্য নদীপথে অষ্ট্রিক ও দ্রাবিড়রা তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি নিয়ে বাঙলার নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে বাঙলায় আসে মঙ্গোলীয়রা---সঙ্গে থাকে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি৷ অর্থাৎ বাঙালীস্থান মহাভূমি তথা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপীয় অঞ্চল-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপীয় সমভূমি অঞ্চল হয়ে ওঠে নানা রেসের ও সভ্যতা-সংস্কৃতির মহামিলন ক্ষেত্র৷ এই তিন সভ্যতা ব-দ্বীপীয় স্তরে মিলেমিশে গড়ে তুলেছে বাঙলার বিমিশ্র সভ্যতা৷ অর্থাৎ বাংলার সভ্যতা হচ্ছে ত্রয়ী সভ্যতার বিমিশ্র ব-দ্বীপীয় রূপ৷ বাঙালীর বাঙালীত্ব বা ‘জাতিসত্তা’ প্রসঙ্গে এই ভৌম-ঐতিহাসিক তথ্য-সত্য কে অবশ্যই স্মরণে রাখা দরকার৷ (চলবে) ৷

পি.এন.এ ঃ হাতে না মেরে ভারতকে ‘আমে’ মারার চেষ্টা করছে চিন৷ এক সময় যে রাষ্ট্র চিনকে আমের স্বাদ চিনিয়েছিল তাদেরই অর্থনীতির কোমর ভাঙতে উঠেপড়ে নেমেছে বেজিং৷ গত দুই বছর ধরে দশেরি, চৌসা, আলফোনসো এবং ল্যাংড়ার মতো ভারতীয় আম গোটা বিশ্বে রফতানি করে ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে চিন৷

সারা পৃথিবীতে ৪০-৪৫ শতাংশ আম রফতানি করে ভারতই৷ গুণমান ও স্বাদে সেরা আম রফতানি করে ভারত, যা কৃষিক্ষেত্রের অর্থনীতির শিরদাঁড়াকে মজবুত রাখে প্রতি বছর৷২০২৩ সালে চিন প্রায় ৫০০ কোটি টাকার তাজা ও শুকনো আম রফতানি করেছে বলে চিনা দূতাবাস সূত্রে খবর৷ বিপরীতে, একই বছরে ভারতের আম রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি, যা চিনের তুলনায় ৬.২৪ শতাংশ কম৷ ২০২২ সালে ভারত আম রফতানিতে চিনের তুলনায় আরও বেশি পিছিয়ে ছিল৷সেই বছর চিন আম রফতানি করে ৫১৯ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে৷ সেই তুলনায় আম রফতানিতে ভারতের আয় ছিল অনেকটাই কম, ৩৮৪ কোটির আশপাশে৷ তবে ভারতীয় আম রফতানিকারকেরা ২০২৪ সালের রফতানির পরিমাণ পরিবর্তন নিয়ে আশাবাদী৷ তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই ভারত জানুয়ারি থেকে মে মাসে ৪১৫ কোটি টাকার আম পাঠিয়েছে গোটা বিশ্বে৷

দক্ষিণ চিনের কিছু অংশ বাদে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত আম কী বা এর স্বাদ কেমন, জানতেন না বেশির ভাগ চিনা৷ চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পঞ্চাশের দশকে ফল ছাড়াও আটটি আমের চারা উপহার দিয়েছিলেন৷ এর মধ্যে দশেরি, চৌসা, আলফানসো এবং ল্যাংড়ার মতো জনপ্রিয় জাত ছিল৷১৯৫৫ সাল থেকে ভারত আমগাছের চারা পাঠাতে শুরু করে চিনকে৷ কলকাতা থেকে মালদহের আম নিয়ে জুন মাসে সেই দল চিনের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে লেখা রয়েছে চিনের একটি নথিতে৷

দশেরি, চৌসা, ল্যাংড়া, আলফোনসো গাছের চারা পাঠানো হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে৷ হংকং হয়ে সেই আমের চারা পৌঁছয় বেজিং৷ তবে তার পরের বছরই ভারত-চিনের যুদ্ধ সেই আমের স্বাদকে তেতো করে তোলে৷ ২০০৩ পর্যন্ত সেই আমের দৌত্য বন্ধ থাকে৷ প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিন সফরের পর ২০০৪ সাল থেকে আবার আম পাঠাতে শুরু করে ভারত৷ তবে বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে শুধু আম কেন, চিনের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে৷ ধীরে ধীরে চিন আমের বিভিন্ন জাতের চাষে উল্লেখযোগ্য দক্ষতা তৈরি করেছে, বিশেষ করে দক্ষিণের প্রদেশ, যেমন হাইনান এবং গুয়াংডংয়ে আবহাওয়া আম চাষের জন্য অনুকূল হওয়ায় চিনে আমের ফলন বাড়ছে৷ এমনকি ভারতেও আম রফতানি করছে চিন৷ তোতাপুরি ও কেশরের মতো জাতের আম রফতানি করছে তারা৷

ভারতে আমের মরসুম হল এপ্রিল, মে এবং জুন৷ ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং জুলাইকে ফসল কাটার অনুকূল মাস বলে ধরা হয় না৷ অন্য দিকে, চিনে আমের মরসুম জুন থেকে অগস্টের মধ্যে পড়ে৷ ভারতীয় আমের রফতানিতে ভাটা পড়ার আরও একটি কারণ হল অনেক ভারতীয় আমে নিষিদ্ধ রাসায়নিক এবং কীটনাশকের উপস্থিতি৷ যে কারণে বিদেশে ভারতীয় আমের কদর কমছে৷ ল্যাংড়া, চৌসা এবং ভারতের জিআই-ট্যাগ পাওয়া ফজলির মতো জনপ্রিয় ভারতীয় আমের জাত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো পড়শি দেশগুলিতে চাষ করা হচ্ছে৷ ফলে সেই আমের উৎপত্তি নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত৷ এর ফলে বিশ্ব বাজারে আমের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থান আরও জটিল হয়ে উঠছে৷