April 2017

সমাজচক্র

সমাজচক্র ঘুরে চলেছে৷ শূদ্র যুগের পরে এসেছে সর্দারদের যুগ অর্থাৎ ক্ষাত্র যুগ, তারপরে বিপ্রযুগ, তারপর বৈশ্য যুগ আর তারপর শূদ্র বিপ্লবের পরে চক্রের দ্বিতীয় পরিক্রান্তিতে আসে নূতন ক্ষাত্র যুগ---যে ক্ষত্রিয়রা শূদ্র বিপ্লবে নেতৃত্ব করেছিল তাদের যুগ৷ চক্র এইভাবেই ঘুরে চলবে৷ নিছক আদর্শবাদ প্রচার করে এর ঘোরা থামানো যাবে না৷ একটি যুগের পর অপর যুগটি ক্রমবিন্যস্ত হয়ে রয়েছে৷ একটি যুগের গমনের পরে অন্যের আগমনের নাম দিতে পারি ক্রান্তি৷ একটির শেষ অন্যটির শুরু এই যুগসন্ধির অবস্থাকে লতে পারি যুগসংক্রান্তি৷ শূদ্র-অভ্যুত্থানের পর থেকে পরবর্তী শূদ্র-অভ্যুত্থান পর্যন্ত চক্রের সম্পূর্ণ পরিক্রমণের নাম দিতে পারি পরি

বাঙালী ঐক্য বিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান

সম্প্রতি রামনবমী উপলক্ষ্যে ও পরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ রাজ্যে বিজেপি ও তার শাখা সংঘটনগুলির তরফ থেকে সারা রাজ্যে ত্রিশূল, তলোয়ার, কুড়ুল, কুঠার নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল হ’ল৷ এই বাঙলায় রামনবমী উপলক্ষ্যে এই ধরণের মিছিল আগে হয়নি৷ হনুমান জয়ন্তীতেও এই ধরণের অস্ত্র নিয়ে লাফালাফি আগে হয়নি৷ এ রাজ্যে হনুমান পূজো তো আগে হতই না৷ এবছর বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো কলকাতারও রাস্তার মাঝে বিজেপি সমর্থকরা বিশাল বিশাল হনুমান মূর্ত্তিও বসিয়েছে৷ কলকাতার বিধাননগর ষ্টেশনের পাশেও দেখলাম এই ধরণের বিশাল ২৪ ফুট হনুমান মূর্ত্তিও বসানো হয়েছে৷ 

নূতন বঙ্গাব্দের প্রত্যাশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বিগত বছর নিয়েছে বিদায় চৈত্রের সাথে---
নবারুণ রাগে নব সাজে নববর্ষের আগমন, 
নব উদ্দীপনায় নব আনন্দে নূতন প্রভাতে 
নব অঙ্গীকারে সবে নূতন বছর করিছে বরণ৷

তালাক প্রথা  দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের মত

আগামী ১লা মে সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাক মামলার শুনানি হবে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, তিন তালাক প্রথা দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের মত৷ দ্রৌপদীর বস্ত্ত্রহরণের ঘটনার পর বিদূর বলেছিলেন, ‘যারা বস্ত্রহরণের চেষ্টা করছে, যারা সমর্থন করছে ও যারা চুপ করে বসে আছেন সবাই সমান দোষী৷ এক্ষেত্রে তালাক প্রথাকে যারা সমর্থন করেন ও যারা এর বিরোধিতা করছেন না, চুপ করে আছেন সবাই সমান দোষে দোষী৷ 
 

দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়ে চীনের এত গোঁসা কিসের!

মুশাফির

তিববত চিরকালই একটি স্বাধীন দেশ৷ তিববতীরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী৷ চীন আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে তিববতকে জোর করে নিজেদের কব্জায় এনেছে৷ কমিউনিষ্টদের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একসময় এশিয়ার বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও তিববতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গ্রাস করে৷ ইউ এন ও-এর প্রতিবাদ ও পৃথিবীর অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিবাদের কোনও ধারই ধারেনি৷ এই আগ্রাসী মানসিকতার আরম্ভ হয় সেই মাও সে তুংয়ের আমলে৷ বর্তমান জিং পিয়াংও সেই নীতি নিয়ে চলেছে৷ দলাই লামা প্রাণের দায়ে কিছু অনুগামী নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন৷ তিনি তিববতের প্রধান ধর্মগুরু৷ সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই দলাই লামাকে চীন মোটেই সহ্য করতে পার

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৭তম জন্মতিথি উৎসব

আগামী ১০ই মে আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রবর্ত্তক মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৭তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হচ্ছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আনন্দমার্গের সমস্ত ইয়ূনিট ও শাখা প্রতিষ্ঠান সহ কেন্দ্রীয় আশ্রমে মার্গগুরুদেবের শুভ জন্মতিথি উৎসব মহাসমারোহে পালিত হবে৷ 
কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এই উপলক্ষ্যে ৯ই মে সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিট থেকে ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন শুরু হবে, চলবে ১০ই মে সকাল ৬টা ৭ মিনিট পর্যন্ত৷ সকাল ৬টা ৭ মিনিটে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ আবির্ভাবক্ষণ৷ এরপর সাধনা, গুরুপূজা ও বাণীপাঠের পর সারাদিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান রয়েছে৷ 

আনন্দনগরে আনন্দপূর্ণিমা ধর্ম মহাসম্মেলন--- ২৬, ২৭ ও ২৮ মে 

আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ মে আনন্দনগরে আনন্দপূর্ণিমা ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ 
১০ই মে আনন্দপূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে বিশ্বের ১৮২টি দেশে যেখানেই আনন্দমার্গের আশ্রম বা ইয়ূনিট আছে সেখানেই শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব পালিত হবে৷ এরপর আনন্দমার্গের বিভিন্ন বিভাগের আপন আপন বিশেষ কর্মসূচী রয়েছে৷ তারপর সমস্ত দেশের ও সমস্ত বিভাগের আনন্দমার্গীরা আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ মে আনন্দনগরে সমবেত হয়ে আনন্দপূর্ণিমা ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দেবেন৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে মার্গগুরু-প্রতিনিধি রূপে প্রবচন দেবেন মার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার৷ 
 

শান্তিনিকেতনে  আনন্দমার্গের নতুন জাগৃতি ভবন

গত ১লা বৈশাখ, বাঙলার নববর্ষের পূর্ণ তিথিতে বোলপুরের শান্তিনিকেতনে আনন্দমার্গের নতুন জাগৃতি (ধ্যানমন্দির) গৃহের উদ্বোধন হয়৷ বিশেষ করে শ্রী রামদাস বিশ্বাস ও শ্রীমতী মেনকা বিশ্বাসের অক্লান্ত চেষ্টায় এই জাগৃতি ভবনটি নির্মিত হয়৷ এইদিন জাগৃতি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক আনন্দমার্গী যোগদান করেন৷ সকাল থেকে প্রভাতসঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, মিলিত গুরুপূজা ও আলোচনায় সকলে অংশগ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠানে এই জেলার ভুক্তিপ্রধান কেশব সিংহ, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট শোলা শিল্পী শিল্পগুরু অনন্ত মালাকার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সনৎ দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ 

দিব্যানন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন  ও সদাব্রত

গত ৮ ও ৯ই এপ্রিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে অবস্থিত মাষ্টার ইয়ূনিট দিব্যানন্দনগরে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ সিদ্ধমন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন ও সদাব্রত অনুষ্ঠানে আচার্য দিব্যরূপানন্দ অবধূত, আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত, আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত, আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত, ব্রহ্মচারিণী আনন্দ উন্মেষা আচার্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷  ৯ই এপ্রিল আনন্দমার্গের ইতিহাসে ‘দিব্যানন্দ দিবস’ হিসেবে চিহ্ণিত৷ কারণ, এই দিন পটনা বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তাঁর ওপর নানানভাবে নির্যাতন চলেছিল৷ তাঁকে হত্যা করার জন্যে জেলের ভেতরে