April 2017

আনন্দমার্গের বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৬ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এই আশ্রমের কর্মী শ্রী শ্যামল মালাকারের প্রয়াতা মাতৃদেবী শ্রীমতী মাতঙ্গিনী মালাকারের (ধর্মনগর, ,ত্রিপুরা) শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমের অন্যান্য সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরমপুরুষের নিকট প্রয়াতার আত্মার সদ্গতি ও শান্তির জন্যে প্রার্থনা করেন৷

শিল্পীর সন্ধানে ‘শিল্পীবিতান’

গত ৪ঠা এপ্রিল মধ্যমগ্রাম ষ্টেশন ও হাইসুকল সংলগ্ণ রবীন্দ্রমঞ্চে ‘শিল্পীবিতান’ সংস্থার পক্ষ থেকে এলাকার শিশুদের নিয়ে আঁকা প্রতিযোগিতা ও সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ 
ওই দিন সকাল থেকেই ছবি আঁকা, নাচ, গান, কবিতা পাঠ ও ক্যুইজ ইত্যাদিতে শতাধিক প্রতিযোগী যোগ দেয়৷ সন্ধ্যায় সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের সাথে কৃতী প্রতিযোগীদের পুরসৃকত করা হয়৷
অনুষ্ঠানে ‘ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড’-এর সমিত সাহা সহ অন্যান্যদের সম্মানিত করা হয়৷ বিশিষ্ট শিল্পী বিতান হালদার বলেন, শিল্পীর সন্ধানে আগামী দিনে এই ধরণের অনুষ্ঠান আরও বেশী করে করা হবে৷ 

ৰাহ্মী শাক

ৰাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ক্ষর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ৰাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ৰাহ্মীঘৃত (অথবা ৰাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ৰাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

কলম্বী বা কলমী শাক

মানে জল৷ ’–এতে বা জলে লম্বা হয়ে যে শুয়ে থাকে সে কলম্বী বা কলমী৷ ডাঙ্গার কলমী মানসিক উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকারক কারণ সে তামসিক৷ জলের কলমীকেই কলম্বী বলা হবেডাঙ্গার কলমীকে নয়৷ ডাঙ্গার কলমীকে বলা হয় নালিতা শাক (নালিকা শাক নয়নালিতা শাক বা নালতে শাক)৷ জলের কলমী সাত্ত্বিক৷ এটি একাধারে পেটকে ঠাণ্ডা র

শুশুনি শাক

শুশুনি বা শিখিও এক জলজ শাক৷ পুষ্ক্রিণীর পার্শ্বদেশে অল্প জলে এর চাষ করতে হয়৷ প্রাচীন ক্ষাংলায় শুশুনি শব্দের অর্থ ছিল যে শুয়ে আছে৷ এই শাক খেলে ভাল রকমের নিদ্রা হয় বলেই একে এই নাম দেওয়া হয়েছিল৷ বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানায় শুশুনিয়া পাহাড় রয়েছে৷ দূরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন কিছু শুয়ে রয়েছে৷ শুশুনি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, তাই খেতে মিষ্টি মিষ্টি লাগে৷

Insomnia  বা নিদ্রাহীনতা ব্যাধিতে এ মহৌষধ৷ মৃৎপাত্রে শুশুনি শাক রান্না করলে তার গুণ আরো বেশী হয়৷

গীমা শাক

গীমা শাক লিবারের ঔষধ, রক্ত পরিষ্কারক, স্নায়ুর পক্ষে ও স্মৃতিশক্তির পক্ষে ভাল৷ এই শাক পেটের রোগ (উদরাময়), যকৃৎ ও শোথ রোগের পক্ষেও উপকারী৷ গীমা শাকের ফুল ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে মস্তিষ্কের পক্ষে খুবই উপকারী৷ এতে চর্মের বিবর্ণতা দোষও নষ্ট হয়৷

গীমা শাক রান্না করা তরকারী হিসেবে খেলেই ভাল ফল পাওয়া যায়৷ গীমা শাকের এই ব্যবহার কুষ্ঠ রোগেও ভাল ফল দেয়৷ শ্বেত কুষ্ঠ বা ধবল রোগীর পক্ষে গীমা, ৰাহ্মী প্রভৃতি শাকের ব্যঞ্জন অত্যন্ত হিতকর৷  

পুর/নগর, গঞ্জ, আবাদ

ভারত ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহুজনপদের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুর’, ‘নগর’ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে৷  ছোট শহরকে সংসৃক্তে বলা হ’ত ‘পুর’ (প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি, ‘শহর’ শব্দটা কিন্তু ফার্সী), আর বড় বড় শহরকে বলা হত ‘নগর’৷ উভয়ের মধ্যে তফাৎ ছিল এই যে নগরের চারিদিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকত, সংসৃক্তে যাকে বলা হ’ত ‘নগরবেষ্টনীঁ’৷ এই নগরবেষ্টনীর মধ্যে যাঁরা বাস করতেন তাঁদের বলা হ’ত ‘নাগরিক’৷

দাদাঠাকুরের চিঠি

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না? বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি? না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷ 

অরুণোদয়

যতই ঘন হোক না কেন,

                রাতের অন্ধকার

আসবে ফিরে রাতের শেষে

                প্রভাত আবার৷

অন্ধকারে পিশাচের দল,

                করুক অট্টহাস্য

সূর্যোদয়েরর সঙ্গেই সব

                হবেই অদৃশ্য৷

নতুন সূর্য প্রাউট যেদিন

                হইবে উদিত,

গণতন্ত্রের মুখোশধারী

                রাত্রির পিশাচদের

                অবসান নেতৃত্ব৷৷

মানুষ জাতির দুঃখের রাত

                দূরে সরবেই,

সবার জীবনে অরুণোদয়

                হতে হবেই৷