September 2017

স্থানীয় জনসাধারণের সার্বিক কর্মসংস্থান 

প্রথমেই কোন এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ সমস্ত মানুষের নূ্যনতম চাহিদা, অর্থাৎ অন্ততপক্ষে উপযুক্ত খাদ্য, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হওয়া উচিত৷ জনগণের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের এই মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে–দান–খয়রাতির মাধ্যমে নয়৷ আজকের দুনিয়ায় বেকারত্ব এক জটিল সমস্যা আর স্থানীয় মানুষের ১০০ শতাংশের কর্মসংস্থানের নীতিই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ৷ স্থানীয় জনসাধারণের শতকরা একশ’ ভাগের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রাউট স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী৷ স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা

হৃদরোগ (Heart disease))

লক্ষণ ঃ বুকের মধ্যে জোর শব্দ হওয়া, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট বোধ হওয়া, হাত পা থর থর করে কাঁপা প্রভৃতি৷

কারণ ঃ হূদরোগের পেছনে অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) পাকস্থলীকে যাঁরা সব সময় খুব বেশী ভারাক্রান্ত করে রাখেন, তাঁদের পাকস্থলীতে অধিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালনের আবশ্যকতা দেখা দেয় ও ওই রক্ত যুগিয়ে চলবার জন্যে হূদ্যন্ত্রকে অত্যধিক পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে তা’ দুর্বল হয়ে’ পড়ে৷

বেদব্যাস

‘কৃষ্ণ’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল মহর্ষি বেদব্যাস৷ মহর্ষি বেদব্যাস প্রয়াগে গঙ্গা–যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে যমুনা থেকে উত্থিত একটি কৃষ্ণ দ্বীপে জালিক–কৈবর্ত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ যমুনা নদীর নিকটস্থ মৃত্তিকা হ’ল কৃষ্ণ কর্পাস মৃত্তিকা (ব্ল্যাক কটন সয়েল)৷ এই জন্যে যমুনার জলকেও কালো রঙের বলে মনে হয়৷ যমুনার যে চরটিতে মহর্ষি ব্যাস জন্ম গ্রহণ করেন সেটিরও ছিল কৃষ্ণমৃত্তিকা৷ ভারতের ইতিহাসে ব্যাস নামে কয়েক জনই খ্যাতনামা পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন (উত্তর মীমাংসার বাদরায়ণ ব্যাস)৷ তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্যে এঁকে বলা হত কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস অর্থাৎ কালো রঙের দ্বীপের অধিবাসী ব্যাস৷ এই কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস মহাভার

হোগ্লা / বেরা / দিন্দা

দক্ষিণ বাংলায় প্রাচীনকালে হোগ্লা দিয়েই ম্যাড়াপ তৈরী করা হত৷ দক্ষিণ বাংলার নোনা জলে এককালে আপনা থেকেই প্রচুর হোগ্লা গাছ জন্মাত৷ ইংরেজরা যখন এদেশের দখল নিয়েছিলেন তখন দক্ষিণ বাংলায় বিশেষ করে খুলনা (তখন যশোরের অন্তর্গত ছিল), ২৪ পরগণা (তখন নদীয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ও মেদিনীপুর (তখন নাম ছিল হিজলী) হোগলা ও গোল গাছে ভর্ত্তি ছিল৷ ওই হোগ্লা ও গোলপাতা দিয়ে কেবল যে ম্যাড়াপ বা মণ্ডপ তৈরী হত তাই–ই নয়, দরিদ্র মানুষের ঘরও তৈরী হত৷ দক্ষিণ বাংলার নাবিকেরা যখন সমুদ্র যাত্রা করতেন তখন যেমন তাঁরা সঙ্গে করে জালা–ভর্ত্তি মিষ্টি জল নিয়ে যেতেন তেমনি নিয়ে যেতেন হোগলার স্তুপ যা শুধু নৌকোতেই নয় ভিন্ন দেশের, ভিন্ন মাটিতে

মুঙ্গের ও রেঙ্গুন পাশাপাশি

‘খটক’ শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে যিনি দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে কার্যসিদ্ধি করে দেন অর্থাৎ ‘ঘটক’৷ এঁরাও অনেক সময় কথা বেচে অনেক অনিচ্ছুক পাত্রপক্ষ ও অনিচ্ছুক পাত্রীপক্ষের ওপর অবাঞ্ছিত পাত্রী বা পাত্র গছিয়ে দেন৷ এই প্রসঙ্গে একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ল৷

মনের  উদারতা

আমরা সবাই পরমপুরুষের সন্তান, সবাই ভাইবোন৷ এই বিশ্বভ্রাতৃত্বের ভাবনা নিয়ে সবার সঙ্গে উচিত ব্যবহার করাই মনের উদারতা৷ তাঁর দৃষ্টিতে সবাই সমান৷ যাঁর মন উদার সবাই তাঁকে ভালবাসেন, তিনিও সবাইকে ভালবাসেন৷ তাঁর কাছে কেউ হিন্দু বা মুসলমান নয়, বৌদ্ধ বা খ্রীষ্টান নয়, ব্রাহ্মণ বা শূদ্র নয়৷ ধনী বা গরীব নয়, সবাই মানুষ, সবাই আপন৷ আর সবাই যখন আপন হয়ে যায়, তখন আর কেউ  পর থাকে না৷ মনের এই উদারতা না থাকলে মানুষ ঈশ্বরকে ভালবাসতে পারে না৷ আর ঈশ্বরের ভালবাসাও সে পায় না৷ কোন জীবকে বা কোন মানুষকে ঘৃণা করলে তো ঈশ্বরকেই  ঘৃণা করা হলো৷ কেননা প্রতিটি জীবের মধ্যেই তো ঈশ্বর রয়েছেন৷ সব জীবই তো তার সন্তান৷ তাই যে ঈশ্বরকে ত