October 2023

প্রাউট ও নব্যমানবতার পথে শোষনমুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে

প্রবীর সরকার

আজ সমস্যাসংকূল পৃথিবীর বুকে সকল সমস্যা সমাধানের যে পথটি অনুসরণ করা ও তাকে স্মরণ করে চলার বিশেষ প্রয়োজন হয়েছে, তা হ’ল মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সর্বানুসূ্যত দর্শনের পথ৷ তিনি বলেছেন, ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্র নিয়ে এক সঙ্গে চলাই হ’ল ধর্ম৷ এক সঙ্গে চলতে হলে সংঘবদ্ধভাবে চলতে হবে৷  মানুষ কুসংস্কার, অজ্ঞানতাবশতঃ, ধর্মান্ধতা জাত-পাতের ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে বিরোধ করছে৷ সেই সব বন্ধ করে এক হয়ে কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতির ঐক্যসূত্রে একত্রিত হয়ে সকল প্রকার শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই মানুষ৷ আপেক্ষিক জগতে বৈচিত্র্যের মধ্যে যে ঐক্য বিদ্যমান সেটা হ’ল মানবিক মূল্যবোধ৷

মানুষ বিশ্বৈকতাবাদী হবে

 

গত রাতে আমি এই পরিদৃশ্যমান জগতে বিভিন্ন সম্ভাবনাপূর্ণ অস্তিত্ব, যেমন---অণু মানসসত্তা ও চিতিসত্তা সম্পর্কে বলেছিলুম৷ পরম চিত্তিশক্তির যে অন্তর্মুখী গতি (বহির্মুখী গতিতে পঞ্চভৌতিক জগতের উৎপত্তি) তারই এক স্তরে মানুষের সৃষ্টি৷ এই অন্তর্মুখী গতি পরম চিতিশক্তিতে ফিরে আসার জন্যে৷

জড়তার মুক্তি

গত পরশু সন্ধ্যায় রেণেশাঁ ক্লাবের সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল ‘‘ বুদ্ধির মুক্তি’’৷ কারো কারো মনে প্রশ্ণ জাগতে পারে---মুক্তি তো মানুষের জন্যে প্রয়োজন৷ বুদ্ধির মুক্তি আবার কী রকম কথা৷ বুদ্ধি জিনিসটা হ’ল অমূর্ত বা ভাববাচক৷ যা অমূর্ত যা ভাববাচক তার আবার মুক্তি কী!

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৭ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ আর ভারতবর্ষে না পুঁজিবাদ, না মার্কসবাদ, মিশ্র অর্থনীতির নামে বক–কচ্ছপ অবস্থা ভারতীয় অর্থনীতির৷ তাই হাল ফেরাতে দেশের অর্থনীতির নিয়ামকদের প্রাউটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া উচিত৷

গণতন্ত্রে সাম্প্রদায়িকতার পূজারী দলতন্ত্র অচল হয়ে পড়েছে

প্রভাত খাঁ

সাধারণ নির্বাচনটাই হলো এদেশে বিশেষ করে শাসক দলগুলোর কাছে এক চরম পরীক্ষা অস্তিত্ব রক্ষায় নিজ নিজ গদী রক্ষার্থে৷ যদি গদী যায় তাহলে দলও শেষ হয়ে যাবে৷ তাই এই পরীক্ষায় দলগুলোর লক্ষ্যই হলো জয়ী হওয়া যেন তেন প্রকারেণ৷ ছলা, কলা আর প্রতারণাটা হলো জয় লাভের হাতিয়ার৷ আর নির্বাচনকে এমনভাবে নিয়ে যাওয়া যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হেরে যায়৷ তাই সব শাসক দল এটাকে নাম দিয়েছে খেলা৷ যেটা এক ধরণের পরিহাস! রাজধর্ম রাজনৈতিক দলগুলো পালনের কথা ভুলে যায় ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিরোধী দলগুলিকে অবহেলা করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা!

প্রভাত সঙ্গীত প্রসঙ্গে

আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত

সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সঙ্গীত৷ নিম্নমানের সঙ্গীত যেমন মানুষের অন্তর্নিহিত পশুভাবকে জাগিয়ে তোলে তেমনি উচ্চমানের সঙ্গীত মানুষের ভিতরে সুপ্ত দেবভাবকে জাগিয়ে তোলে৷ বর্তমান সমাজের সর্বাত্মক অবক্ষয় থেকে সঙ্গীত জগৎও রেহাই পায়নি৷ এই অবক্ষয়কে রোধ করে সংস্কৃতির আঙ্গিনায় নূতন প্রভাতের আবির্ভাব হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তথা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত ‘প্রভাত সঙ্গীত’৷ মোট ৫০১৮টি প্রভাত-সঙ্গীত রচনা ও সুর তাঁরই সৃষ্টি৷

পশ্চিমমেদিনীপুরে ‘গল্প বলা প্রতিযোগিতা’ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

ছোটদের বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে৷ মোবাইল ফোনে আসক্তি যত বাড়ছে বই পড়া তত কমছে৷ গল্প শোনাও কমে গেছে৷ যৌথ পরিবার ভেঙে ছোট হতে হতে এখন স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানে এসে ঠেকেছে৷ তাই বর্তমান সময়ে অনেক শিশুই দাদু দিদার কাছে গল্প বা ছড়া শুনে ঘুমোতে যায় না৷ আবার কর্মরত বাবা মায়েদের সন্তানেরা অনেকেই আয়াদের কাছে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই থাকে৷ রূপকথার বা পৌরাণিক কাহিনী শুনে অথবা নানাধরণের ছড়া শুনে আজকের শিশুরা বড়ো হয়ে উঠছে না৷ তারা মজে আছে নানা ধরনের ভিডিও গেম বা কার্টুন ফিল্মে৷ আগেরকার দিনে বাড়ির গুরুজনেরাই ছোটদের  গল্প শোনানোর  মধ্যে দিয়ে বই পড়ার  অভ্যাস গড়ে দিতেন৷ পরবর্তী সময়ে ঐ শিশু কিশোরদের মধ্যে বিভিন্

ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ, অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া সরকারের অপদার্থতা ও ব্যর্থতা বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাঙালী যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব  তপোময় বিশ্বাস৷

২১০০ সালের মধ্যে রোগমুক্ত পৃথিবী

জাকারবার্গ সংস্থা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একটি কম্পিউটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে চান তাঁরা৷ গবেষকরা সেই সিস্টেমের মাধ্যমে এ.আই. ব্যবহার করে মানবদেহের কোষ বিশ্লেষণ করতে পারবেন৷ কারও কোন অসুখ করলে কোষে কী প্রভাব পড়ে, কোষগুলি কেমন আচরণ করে, তা নির্ণয় করা যাবে৷ সেই তথ্যের মাধ্যমেই নাকি সম্ভব হবে যুগান্তকারী আবিষ্কার৷ মানবদেহে বাসা বাঁধতে পারে, এমন যাবতীয় রোগ নিরাময়, প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা, দাবি করেছেন জাকারবার্গ দম্পতির৷

ডেঙ্গির ভ্যাকসিন পরীক্ষায় সফল বাংলাদেশ

ডেঙ্গির ভ্যাকসিনের গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ৷  পরীক্ষামূলক প্রয়োগে পৃথিবীতে মেলা চার ধরণের ডেঙ্গি ভাইরাসের বিরুদ্ধেই মানুষের দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র ও আমেরিকার ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকদের তৈরী প্রতিষেধক, যার নাম দেওয়া হয়েছে টেট্রাভ্যালেন্ট-০০৫৷ কোভিড মহামারী কাটতে না কাটতে চলতি বছরে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গির সংক্রমণ মাত্রাছাড়া হয়েছে বাংলাদেশে৷ সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে,  এই মরসুমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা ২লক্ষের বেশি ছাড়িয়েছে৷ এ দিনও ৯জন মারা যাওয়ায়, এ পর্যন্ত চলতি