October 2023
নীরোগ দেহ সবল মন লাভের একটি উপায়
হিন্দুশাস্ত্রে একাদশীর ব্রত পালনের উপর জোর দেওয়া হয়৷ মুসলীম, খ্রীষ্টান, জৈন ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থের মধ্যেও বিভিন্ন ব্রত পালনের মাহাত্ম্য প্রচার করা হয়েছে, একাদশীর ব্রত বলতে একাদশী তিথিতে উপবাস করার কথাই বলা হয়৷ অনেক সম্পন্ন গৃহস্থ ঘর দেখা যায়, যেখানে এই তিথিতে ভাত খাওয়ার পরিবর্তে লুচি, মিষ্টি ইত্যাদি ভুরিভোজের ব্যবস্থা থাকে৷ যদি প্রশ্ণ করা হয়--- কেন এই শুকনো খাওয়ার ব্যবস্থা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর আসে---আজ তো একাদশী, তাই ভাতের পরিবর্তে হাল্কা খাবার খাচ্ছি, আমরা যদি একটু বিচার করে দেখি, তবে দেখতে পাব এভাবে ভুরিভোজ্য করে পেটভরে খেয়ে ঠিকভাবে উপবাস ব্রত পালন করা হয় না বা এই ব্রতপালনের সুফলও লাভ করা যায়
- Read more about নীরোগ দেহ সবল মন লাভের একটি উপায়
- Log in to post comments
‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’
কোন মানুষ যদি তার মনকে সূচাগ্র করতে চায় তবে ওই মানুষটিকে গুরুচক্রে মনকে রেখে ইষ্টের ধ্যান করতে হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ হ’ল গুরুচক্র কোথায় অবস্থিত ও গুরুচক্রে মন রাখতে হবে কেন? আসলে গুরুচক্র সহস্রার চক্রের ঠিক নীচে অবস্থিত৷ এখন, গুরুচক্র হ’ল মানব মহিমার সর্বোচ্চ চক্র বা বিন্দু৷ মানব দেহে পরমপুরুষের এটাই হ’ল অবস্থান কেন্দ্র৷ তাই এই সর্র্বেচ্চ বিন্দুতে মানুষ মন রেখে ধ্যান করবে৷ মানুষ তার মনের সমস্ত শক্তিকে এই বিন্দুতে যদি সংহত করতে পারে তবেই মানুষ একাগ্রতা লাভ করে ও সর্বজ্ঞ হ’য়ে উঠবে৷
- Read more about ‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’
- Log in to post comments
মার্গীয়বিধিতে নামকরণ
গত ১লা অক্টোবর আনন্দনগর সংলগ্ণ চিৎমু নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী রাজেশ গড়াঞ ও শ্রীমতী সুনিতা গড়াঞ-এর প্রথম কন্যা সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধান অনুসারে ‘আনন্দনগরে বাবার স্মৃতিসৌধে৷’
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন উপস্থিত মার্গী ভাইবোনেরা৷ এরপর মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় শেষে নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখা হয়৷ এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ তপঃশীলা আচার্যা৷ সকলে মিলিতভাবে কন্যার নাম রাখেন জয়প্রিয়া৷
পরলোকে জিতেন মণ্ডল
বীরভূম জেলার আমড়া নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রীজিতেন কুমার মণ্ডল গত ২৮শে সেপ্ঢেম্বর সকাল ৬-৩০ মিনিটে তাঁর পার্থিব শরীর ত্যাগ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর৷ তিনি তিনপুত্র দুইকন্যা ও আত্মীয় পরিজনদের রেখে গেছেন৷
শ্রী জিতেন মণ্ডল একজন আদর্শনিষ্ঠ আনন্দমার্গী ছিলেন৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবর্তক ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সঙ্গে বিহারের জামালপুরে ভারতীয় রেলে কর্মরত ছিলেন৷ তাঁর প্রয়াণে আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷
কৃষ্ণনগরে প্রভাতসঙ্গীত দিবস উপলক্ষ্যে সাংসৃকতিক প্রতিযোগিতা
গত ১০ই সেপ্ঢেম্বর,২৩ শতাধিক প্রতিযোগীর উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার ভুক্তি কমিটির উদ্যোগে ও রেনেশাঁ আর্টিষ্ট অ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের নদীয়া জেলা শাখা আয়োজিত শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে চিরপ্রণম্য, তারই রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীত আধারিত সঙ্গীত,নৃত্য ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল কৃষ্ণনগরে৷
প্রয়াত ডাঃ নিখিল কুমার দাস
নদীয়া জেলার মদনপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ডাঃ নিখিল কুমার দাস গত ২৪/৯/২৩ রবিবার ভোর ৫টায় আমাদের ছেড়ে পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ ওই দিনই আনন্দমার্গীয় বিধি অনুসারে স্থানীয় শ্মশানে তাঁর দাহ কার্য সম্পন্ন হয়৷
গত ১লা অক্টোবর রবিবার সকাল ১০টায় তাঁর নিজ বাসভবনে আনন্দমার্গের বিধি অনুযায়ী তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ শুরুতেই প্রভাত সঙ্গীত,১ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন এর পরে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা হয়৷
আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন
গত ২রা ও ৩রা সেপ্ঢেম্বর আনন্দনগর সংলগ্ণ টাটুয়াড়া গ্রামে বাৎসরিক ২৪ঘন্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে আনন্দনগরের দাদা-দিদি মার্গীভাইবোন ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণাঘ্য দান, স্বাধ্যায় শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ সবশেষে নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল৷
আনন্দমার্গ বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ
গত ২৪শে সেপ্ঢেম্বর,২৩ পুন্দাগ নিবাসী লক্ষ্মীকান্ত ও কুসুম গরাঞের প্রথম পুত্র সন্তান ও চিৎমু নিবাসী বিবেক ও ঊষা গরাঞের প্রথম পুত্রের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন পুন্দাগস্থিত বকুল বিতান আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুসারে পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, বর্ণাঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও নামকরণের সার্থকতা ব্যাখ্যা শেষে মূল নামকরণ অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন হয়৷ উপস্থিত সকলে মিলিতভাবে লক্ষ্মীকান্ত ও কুসুম গরাঞের শিশু পুত্রের নাম ‘পীযূষ’ আর বিবেক ও ঊষা গরাঞের শিশু পুত্রের নাম ‘কৌস্তভ’ রাখা হয়৷ সবশেষে প্রীতি ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷
টাটুয়াড়ায় নামকরণ ও অন্নপ্রাশন
গত ৫ই সেপ্ঢেম্বর,২৩ টাটুয়াড়া নিবাসী নরসিং ও অর্চনা কুমারের প্রথম কন্যা সন্তানের নামকরণ ও অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধানুসারে অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যের পৌরহিত্যে সম্পন্ন হয়৷ নবাগতা শিশুর নাম রাখা হয় তনুজা৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও নারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়৷