January 2024

শাসকের নয়, মানুষের পরিবর্তন চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয় জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও দেশে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি৷ কারণ রাজনৈতিক দলগুলি তোয়াজ করে, লোভ দেখিয়ে অথবা ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করে৷ রাষ্ট্রের পরিচালক নির্বাচন করতে যে সামাজিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চেতনার দরকার তা ভারতে নগণ্য সংখ্যক ভোটারদের থাকে৷

গণতন্ত্র মানে তো জনগণ, কারও চাপে নয়, স্বাধীন ভাবে বিচার–বিবেচনা করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে৷ আর সেই জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে৷ তবে তাকে বলা হবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের জন্যে–জনগণের সরকার৷ একেই বলে গণতন্ত্র৷

প্রাউটিষ্ট সর্ব  সমাজই পারে শোষনমুক্ত সমাজ গড়তে

প্রভাত খাঁ

বহু ভাষাভাষীর দেশ ভারতবর্ষে যে একটি বৃহত্তম পরিবার তৈরী হয়েছিল সুদূর অতীত কাল থেকে তাতে বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষে এক এক করে ৪৪টি সমাজ এর সৃষ্টি হয়৷ সমগ্র উত্তর,পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে আর বিরাট মধ্য ভাগে ঐক্য ছিল একদিকে তা হলো সকলেই সনাতন ধর্মের অনুগামী ছিল৷ পরে এই সনাতন ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যে সকল ধর্ম মহাবেত্তা এসেছিলেন তাঁরা তাঁদের ঐ সনাতন মত ভিত্তিক মতদান করে অনেক ধর্মমতের প্রবর্তন করেন৷ তাই  ভারতে পরবর্ত্তীকালে বিভিন্ন ধর্মমতের সৃষ্টি হয়৷ কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে কোন কট্টর বিরোধিতা না করে আসমুদ্র হিমাচল বিভিন্ন ধর্মমতের ভারতীয়গণ সারা ভারতবর্ষে প্রায় মিলে মিশেই থাকে৷ তাঁরা বিভিন্ন ধর্মমতের

‘স্বাধ্যায়’ ও এর গুরুত্ব

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

পরমারাধ্য ‘ৰাৰা’ চরম নির্দেশে বলেছেন---‘যম-নিয়ম ব্যতিরেকে সাধনা হয় না, তাই যম-নিয়ম মানাও পরম পুরুষেরই নির্দেশ৷’ ‘যম’-এর আছে পাঁচটি অঙ্গ ঃ অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ, আর ‘নিয়ম’-এর আছে পাঁচটি অঙ্গ-এরা হ’ল---শৌচ,সন্তোষ, তপঃ, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর-প্রণিধান৷

বাঙালীর জাতিসত্ত্বা ভাষা, লিপি ও কৃষ্টি কি হারিয়ে যেতে  বসেছে

জে.ডি. মণ্ডল

বাঙালী জাতিসত্ত্বা, ভাষা, লিপি ও কৃষ্টির প্রাচীনত্ব আজ পথে-ঘাটে ধ্যান-দরবারে জোরদার প্রশ্ণ উঠছে, ফলে জাগ্‌ছে ক্ষোভ-বিক্ষোভও৷ তাই বিভিন্ন গ্রন্থপাঠে যে ঐতিহাসিক তথ্য উঠে আসে তা হলঃ---

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যামেরা হিসাবে পরিচিতি পেল এল.এস.এসটি ডিজিটাল ক্যামেরা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরার খেতাব পেল এল.এস.এসটি (লার্জ সিনোপটিক সার্ভে টেলিস্কোপ)৷ আমেরিকার এসএলএসি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলেটর ল্যাবরেটরিতে এই ক্যামেরাটি তৈরি হয়েছে৷ ৩২০০ মেগা পিক্সেলের ছবি তোলে এসএলএসি ক্যামেরা৷ প্রায় ২০ বছর আগে এই ক্যামেরা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল চিলির আন্ডেস এলাকার একটি অবজার্ভটেরির সিমোনি সার্ভে টেলিস্কোপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে এলএসএসটি ক্যামেরা৷ ১০ বছর এলএসএসটি ক্যামেরাটি ২৬০টি আইফোন ১৪প্রো ক্যামেরার সমতুল্য৷ এলএসএসটি ক্যামেরার মাধ্যমে মহাকাশের ‘ডার্ক ম্যাটার’ বা ‘ডার্ক এনার্জি’র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপটি

ট্রেনের কামরায় ঘুঁটে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক

প্রচণ্ড শীতের দাপট থেকে বাঁচতে চলন্ত ট্রেনের কামরার ভিতরে আগুন জ্বালিয়েছিলেন দুই যাত্রী৷ কামরা থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন এক গেটম্যান৷ কোনক্রমে রক্ষা পায় গোটা ট্রেন৷ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অসম থেকে দিল্লি যাচ্ছিল ওই সম্পর্ক ক্রান্তি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস৷

ইয়ূরোপে একটি তুঁ ত গাছের বাকল থেকে বেরোচ্ছে অফুরন্ত জল 

ইয়ূরোপের দক্ষিণ-পূর্বাংশে মন্টেনেগ্রো এলাকায় একটি নির্দিষ্ট গাছে ঘটছে এক বিরল ঘটনা৷ সেই তুঁত গাছের বাকল থেকে জল গড়িয়ে মাটিতে পড়তে থাকে৷ মন্টেনেগ্রো রাজধানী পডগোরিকা৷ সেখানে রয়েছে ডিনোসা নামের একটি গ্রাম৷ ডিনোসা গ্রামে বেড়ে উঠেছে একটি তুঁত গাছ৷ দীর্ঘকাল ধরে গাছটি সেখানে রয়েছে তবে সারা বছর নয়, বছরের নির্দিষ্ট সময়েই তুঁত গাছের বাকল থেকে জোর গতিতে জল বেরিয়ে আসে৷ টানা এক-দুদিন জল পড়ার পর তা আবার থেমে যায়৷ ডিনোসা গ্রামটির ভৌগোলিক অবস্থান এমন একটি জায়গায়, যেখানে ভূগর্ভ দিয়ে বহু সংখ্যক জলধারা বয়ে গিয়েছে৷ বরফ গলে যাওয়ার ফলে অথবা ওই এলাকায় ভারী বর্ষণ হলে জলের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়৷ মাটির তলায় থাকা জলধারা

পরলোকে রবীন বিশ্বাস

উঃ ২৪পরগণা জেলার বনগাঁর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও সমাজ আন্দোলনের একনিষ্ট কর্মী শ্রী রবীন বিশ্বাস গত ৫ই জানুয়ারী রাত্রি ৯টা-৩০ মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর৷ হঠাৎই অসুস্থার কারণে তাঁকে ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়৷  তিনি দীর্ঘদিন ‘আমরা বাঙালী’ সমাজ আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ গত চার বছর তিনি ঠাকুর নগরের আনন্দমার্গ স্কুলে বসবাস করছিলেন৷ প্রসঙ্গতঃ ঠাকুরনগর স্কুল রবীন বিশ্বাসের প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠেছে৷ আগামী ১৩ই জানুয়ারী ওই স্কুলেই তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে৷

এমার্টের শীতবস্ত্র বিতরণ 

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীম পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে পুরুলিয়া সহ বেশ কয়েকটি জেলায় কম্বল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে৷ আনন্দমার্গ রিলিফ টীমের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এই সংবাদ দেন৷

সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুর পাড়ায় স্থানীয় দুঃস্থ মানুষদের হাতে ১৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়৷ আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত ও আচার্য মোহনকৃষ্ণানন্দ অবধূতের পরিচালনায় কম্বল বিতরণ হয়৷ স্থানীয় আনন্দমার্গীরা এই কর্মে সহযোগিতা করেন৷

 

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷