January 2024

মেদিনীপুরে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ২২শে ডিসেম্বর, শুক্রবার রেণেশাঁ আর্টিষ্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা আয়োজিত চতুর্থ বর্ষ চূড়ান্ত পর্যায়ের গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৯টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পর্যায়ে সফল ১১৭ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা৷ কুমারী ধৃতি পালের গাওয়া প্রভাত সঙ্গীত ‘সবারে করি আহ্বান’ এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়৷ অতিথি বরণের পরে আজকের প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক তথা খ্যাতনামা বাচিক শিল্পী শুভদীপ বসুর সংক্ষিপ্ত অথচ প্রাঞ্জল বক্তব্য সকলকে মুগ্ধ করে দেয়৷

মেদিনীপুরে যোগ শিক্ষা

গত ১১ই ডিসেম্বর চাঁদরা পাঠশালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে  দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রাদের যোগ বিষয়ে আলোচনা ও প্রশিক্ষণ দেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সৌমিত্র পাল৷ স্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষক দ্বীপরাজ প্রতিহার, সুদীপ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

 

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ

১) দুর্বল বা অসুস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷

২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷

৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস - কন্ + টা = উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার

লিপির ইতিকথা

লিপি বা অক্ষরের ক্ষেত্রেও এমানেশনের প্রভাব রয়েছে৷ আমরা আগেই বলেছি যে এক একটি ভাষা আনুমানিক এক হাজার বছর বাঁচে কিন্তু এক একটি লিপি বাঁচে আনুমানিক দু’ হাজার বছরের মত৷ যজুর্বেদের যুগের গোড়ার দিকে কোন লিপি ছিল না৷ শেষের দিকে অর্থাৎ আনুমানিক পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতে লিপির আবিষ্কার হয়৷ অক্ষর আবিষ্কারের সময় ঋষিরা ভেবেছিলেন যে অ–উ–ম অর্থাৎ সৃষ্টি–স্থিতি–লয় নিয়ে এই জগৎ রয়েছে৷ কিন্তু ব্যক্ত জগৎটা হচ্ছে চৈতন্যের ওপর প্রকৃতির গুণপ্রভাবের ফল–ক্গনিটিব্ ফ্যাকাল্টির ঙ্মচৈতন্যসত্তারৰ ওপর বাইণ্ডিং ফ্যাকল্টির ঙ্মপরমা প্রকৃতিৰ আধিপত্যের ফল৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে পরমপুরুষ প্রকৃতির ৰন্ধনী শক্তির আওতায় এসে গেছেন৷ এই য

কৌশিক খাটুয়ার কবিতা

কৌশিক খাটুয়া

সৌন্দর্যবোধ

সৌন্দর্যবোধ,

সে তো মানুষের অনুভূতি

সেই দৃষ্টি হতে মানুষ

গড়ে থাকে প্রীতি,

সকল প্রাণের মাঝে

সুধা ভরা যে বিরাজে,

জীব জড়, তরুলতায়

তাঁর প্রেমময় উপস্থিতি৷

পক্ষী

প্রেমের বার্তা বয়ে নিয়ে যায়

বিশ্বের দরবারে

দুঃসাহসের ডানা মেলে

দেশ হতে দেশান্তরে৷

 

পক্ষীকুলের নাইকো ছুটি

ছেড়ে যেতে হয় ঘর,

নিয়ম বেঁধে আকাশে ওড়া

ঝাঁকে ঝাঁকে পরস্পর৷

 

যুগের দাবী

কেয়া সরকার

ব্যর্থ হবে না যুগের সাধনা

এ দাবী চিরকালের

গড়বো সমাজ নতুন আদর্শে

এ আশা প্রতি পলের

ভাবজড়তার প্রাচীর ডিঙিয়ে,

শত ভেদাভেদের গণ্ডি এড়িয়ে,

বিশ্ব সমাজ করবো রচনা,

এ আশা প্রতি জনের৷

 

সব বিদ্বেষ, গ্লানি দূর হয়ে,

ভালোবাসা কে পথ করে দেবে

শুভ বুদ্ধিতে জাগ্রত জনে,

আদর্শকে হৃদে ধরে রবে

ঐক্যের সুধা পান করে সবে

মানুষ আবার এক হয়ে যাবে

প্রাউট স্থাপনে পৃথিবীতে আর,

মানুষের কোনো দ্বিধা নাহি রবে৷

 

নব্যমানবতার কোমল স্পর্শে,

মানুষের যবে চোখ খুলে যাবে

কীর্ত্তন-মাহাত্ম্য

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

শোন শোন ভক্তগণ শোন মন দিয়া,

কীর্ত্তন করো গো সবে হৃদয় মথিয়া৷

ৰাৰা নামে ব্রহ্ম নামে ভর মনপ্রাণ,

ৰাৰা নামে যে মাতে গো সে যে বুদ্ধিমান৷

দুই হাত তুলে নাচো ‘ৰাৰা নাম’ বলে,

বিশ্ব জুড়ে সেই দৃশ্য--- দেখুক সকলে৷

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মুক্তিমন্ত্র সিদ্ধ

ৰাৰা নাম ভজ’ পাবে ৰাৰার সান্নিধ্য

প্রাণ খুলে নাচো গাও মৃদঙ্গের তালে

ভক্তিস্রোতে বৈকুন্ঠের দ্বার যাবে খুলে

যেথায় কীর্ত্তনে মাতে যত ভক্তগণ

যোগীর হৃদয় ছেড়ে সেথা আগমণ৷

ভক্তির কাণ্ডারী তিনি--- চিনি বা না  চিনি,

আসবেন আসবেন আসবেন তিনি৷

খেজুর

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব শব্দ খাজুর বা খেজুর এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল থেকেই পরিচিত৷ তাই বৈদিক ও লৌকিক সংস্কৃত দুইয়েতেই ‘খর্জুর’ রয়েছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানান্‌ প্রজাতির খেজুর আছে৷ ভারতীয় বা ইণ্ডিকা প্রজাতির খেজুরেরও মোটামুটি চারটি শাখা আছে---(১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), (২) রাজস্থানী, (৩) গুজরাতী,(৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস্‌)৷ এদের মধ্যে স্বাদে-গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের আর গাঙ্গেয় খেজুরের আঁটির (সংস্কৃত ‘অস্থি’ শব্দ থেকে

খানার মর্ম সবাই বোঝে না

‘কৌশিকা’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল রেকাবি, পিরীচ (পেয়ালা–পিরীচ), ডিশ, প্লেট (চায়ের প্লেট), জলখাবারের জন্যে ব্যবহার করা ছোট আকারের কানা–উঁচু থালা, ফুলকাটা থালা, সরা প্রভৃতি৷ প্রাচীন ভারতে এই প্রত্যেকটি জিনিসই ‘কৌশিকা’ নামে পরিচিত ছিল ও জলখাবারের জন্যে এই বাসনই সাধারণতঃ ব্যবহার করা হত৷ প্রাচীন রাঢ়ে রান্না করা জলখাবারের জন্যে ‘কৌশিকা’–ই ব্যবহার করা হত৷ কিন্তু না–রাঁধা জলখাবারের জন্যে ছোট আকারের একপ্রকার পাত্র যাকে ছোট ধুচুনী বা পেত্তে বলা হয় বা বলা হত তা–ই ব্যবহার করা হত৷ রাঢ়ের পণ্ডিতেরা এই জন্যে ছোট আকারের ধুচুনী বা পেত্তের জন্যে সংস্কৃত ‘কৌশিকা’ শব্দ ব্যবহার করতেন৷