December 2024

ড্রাগন ফলের বাণিজ্যিক চাষ

আনন্দনগরে ড্রাগন ফলের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য অর্জন হওয়ার পর এখন আনন্দনগর বাঁশগড় আনন্দমার্গ কৃষি ফার্মে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের কাজ চলছে৷ প্রথম পর্যায়ে ১৫০০ উন্নত ড্রাগন ফলের চারা রোপণের কাজ চলছে৷

অখণ্ড নাম সংকীর্তন

১৭ই নভেম্বর’২৪ বাবা স্মৃতি শৌধে মাসিক তিন ঘণ্টা অখণ্ড নামসংকীর্তন ’বাবা নাম কেবলম মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরু পূজা, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

আনন্দমার্গ জাগৃতি স্কুল

শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ডস্বরূপ, যা সমাজকে স্থিতিশীলতার ভিত্তি প্রদান করে ও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সহায়তা করে৷ তবে অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আজকের ভারতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থা চরম অবহেলা ও সংকীর্ণতার শিকার৷ বর্তমানে শিক্ষার উদ্দেশ্য যেন শুধুমাত্র একটি ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট লাভে সীমাবদ্ধ৷ নৈতিকতা ও আত্মিক মূল্যবোধ, যা প্রকৃত শিক্ষার মৌলিক উপাদান, তা আজ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে৷

আনন্দনগরে ডালের চাষ এক আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ

বাঙলার বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিত অরহর ডাল, যা পুরুলিয়া জেলায় ‘রাহের’ নামে খ্যাত, এক গুরুত্বপূর্ণ ডালজাত ফসল৷ বর্তমানে ডালের মূল্য এতটাই আকাশছোঁয়া যে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিয়মিত এই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যে অরহর ডালের দাম অন্যান্য সব ডালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি৷

এই প্রেক্ষাপটে আনন্দনগরের বাঁশগড় কৃষি খামারে শুরু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ৷ কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেই, সরাসরি মাটিতে অরহরের বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আশ্চর্যের বিষয়, এই সহজ পদ্ধতিতেই গাছের বৃদ্ধি হয়েছে অত্যন্ত আশাপ্রদ৷

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড

সিকিমের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৩৪৯ রান তুলল বরোদা৷ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটাই সর্র্বেচ্চ রান৷ আগের রেকর্ড ছিল জিম্বাবোয়ের৷ ৪৩ দিনের মধ্যে ভেঙে গেল সেই বিশ্বরেকর্ড৷ বরোদার বিশ্বরেকর্ডে বড় ভূমিকা নিয়েছেন ভানু পানিয়া৷ ৫১ বলে ১৩৪ রান করেছেন তিনি৷ পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছয়ের নজিরও হয়েছে এ দিন৷

দুর্বল সিকিমের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করে বরোদা৷ কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিল না তারা৷ পানিয়ার ১৩৪ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৫টি ছয়৷ পাশাপাশি পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি৷ বরোদার প্রত্যেক ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করেছেন৷

বাড়তি নম্বর ছিল পকেটে

প্রাচীনকালের মানুষ জামার পকেট রাখত সাধারণতঃ দুটি কারণে৷ একটি কারণ ছিল শীতের সময় হাত দু’টোকে পকেটে ভরে এই ব্যথার জগতেও খানিকটা স্বর্গসুখ ভোগ করা আর দ্বিতীয় কারণ ছিল–টাকা–পয়সা বা যেসব নেশার জিনিস আর পাঁচ জনকে দেখানো যায় না সেগুলোকে লুকিয়ে রাখা৷ ইংরেজীতে যাকে ‘পকেট’ বলি ফার্সীতে তাকেই বলি ‘জেব’, ভাল ৰাংলায় ‘কোষ্ঠক’৷ উত্তর ভারতে এই ফার্সী ‘জেব’ শব্দটি আজও ভাল ভাবেই চলে–উর্দুতে তো চলেই৷ স্থানীয় লোকভাষাগুলিতে যেমন অঙ্গিকা, মৈথিলী, ভোজপুরী, মগহী, অবধী প্রভৃতি ভাষাতেও ‘জেব’ শব্দটি ভালভাবেই চলে৷

কংশ/কংস

 ‘কন্‌শ্‌’ ধাতু/ ‘কন্‌স্‌’ ধাতুর অর্থ প্রচণ্ডভাবে কামনা করা৷ এই অর্থে কন্‌স্‌+ অচ= কংশ (কনস+অচ্‌= কংস)শব্দ আমরা পাচ্ছি৷ একই অর্থে দু’টি ৰানানই চলৰে৷ ‘কংশ’ শব্দের ভাবারূঢ়ার্থ হচ্ছে ‘যে প্রচণ্ডভাবে কামনা-বাসনা করে, যোগারূঢ়ার্থে ‘কংশ’ ছিলেন কৃষ্ণের মাতুল তথা তৎকালীন শূরসেন রাজ্যের রাজা৷ তখন মথুরা ছিল শুরসেনের রাজধানী (এই শূরসেনের নাম আর একটা কারণে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে, তা হচ্ছে শৌরসেনী প্রাকৃত ভাষার জন্যে৷ বৈদিক ভাষার তিরোভাবের পর যে সাতটি প্রাকৃত ভাষার উদ্ভব হয় তার অন্যতম শৌরসেনী প্রাকৃত৷ বর্তমান উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে (এলাহাৰাদের পশ্চিমে), হরিয়াণা ও মধ্য প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই শৌরসেনী

পত্নী/জায়া/ভার্যা/কলত্র

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷         –সম্পাদক)

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি