ভিনগ্রহে কি কোন বুদ্ধিমান জীব আছে?

লেখক
সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আমরা সৌরজগতের অন্তর্গত পৃথিবী নামক গ্রহের বাসিন্দা৷ সীমাহীন রাত্রির আকাশের নীচে পৃথিবীপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে যখন অনন্ত মহাশূন্যে অগণিত তারকা মণ্ডল চোখে পড়ে, তখন স্বভাবতই মনে হয়--- এই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে এই পৃথিবীর বাইরে কি কোন বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব আছে? এই প্রশ্ণ মানব মনে অনাদিকাল হ’তে কল্পনা ক’রে এসেছে৷ এই প্রশ্ণের যথাযথ উত্তর আজও খুঁজে পায়নি৷ ভগবান সদাশিব আজ থেকে প্রায় ৭০০০ বছর পূর্বে যখন এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থাকে উন্নত করেছিলেন৷ তারপর আরও ৩০০০ বছর পরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মহাভারত সৃষ্টি করেছিলেন৷ তারপর ভগবান শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই পৃথিবীতে তারক ব্রহ্মরূপে অবতীর্ণ হয়েছেন--- শুধুমাত্র পৃথিবীর সমস্যার সমাধান করতে নয়, তিনি এসেছেন বিশ্ব তথা মহা বিশ্ব গঠনের এক মহান পরিকল্পনা নিয়ে৷

পৃথিবীর মানুষ যেভাবে পৃথিবীর উপর বেপরয়া দ্রুত প্রবল দূষণে দুষিত করে চলেছে তাতে ক’রে এই পৃথিবীটা একদিন বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য হ’য়ে যাবে৷ তাই পৃথিবীর মানুষকে বসবাসের জন্য পৃথিবীর মানুষের জন্য বসবাস করার জন্য অন্যগ্রহে পাড়ি দিতে হবেই৷ আমাদের পরমারাধ্য ‘ৰাৰা’ সেই ইঙ্গিতই আমাদের কাছে পরিষ্কার করে বলে গেছেন৷ এই উদ্দেশ্যেই এই পৃথিবী ছেড়ে অন্যগ্রহে পাড়ি দিয়েছেন৷ তাই ‘ৰাৰা’ নিজে বলেছেন---‘‘ইতিমধ্যে পরমারাধ্য গুরুদেব ‘বিশাখা’ নক্ষত্রে আমাদের পৃথিবীর চাইতে অনেক উন্নত মানবের অস্তিত্ব-এর সন্ধান দিয়েছেন৷ ‘ৰাৰা’ ইতিমধ্যে ৪৯টি নক্ষত্র বাGalaxy-তে উন্নত মানুষের সন্ধান দিয়েছেন৷ ‘ৰাৰা’ এই শেষ বারের মত পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, আর ‘ৰাৰা’ এই পৃথিবীতে তারকব্রহ্মরূপে আর আসবেন না৷ ‘ৰাৰা’-কে তাই এক ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) হতে অন্য ব্রহ্মাণ্ডে পাড়ি দেওয়ার জন্য বহির্বিশ্বে পাড়ি দিতে এসেছেন৷ পৃথিবীতে ইতিমধ্যে ভিনগ্রহীদের আগমন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ খোদ্‌ অ্যামেরিকার বুকেই নাকি ভিনগ্রহীরা বন্দি হয়েছে৷ এমনই দাবি বেশ কিছু মানুষদের৷ উত্তর মেস্কিকোর চিহুয়াহুয়ান মরুভূমির মাপিসির বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এই অঞ্চলের আর এক নাম ‘সাইলেন্টযোন’৷ শুধু মেস্কিকো নয়, সমগ্র বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থান এটি৷

আমরা জানি যে চৌম্বক দণ্ডের সাহায্যে বা কম্পাসের সাহায্যে দিক নির্ণয় করে৷ অথচ পৃথিবীর এই স্থানটি এমনই রহস্যময় যে, এই অঞ্চলটিতে কম্পাস কাজ করে না৷ এই অঞ্চলটির মাটির তলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেটাইট৷

ফলে এমন এক অনন্য চৌম্বকিয় বৈশিষ্ট্য-এর অধিকারী এই স্থানটি৷ দীর্ঘ ৫০.কিমি ব্যাস-এর বিস্তির্ণ এই অঞ্চলে অভিযাত্রীরাই পথ ভ্রষ্ট হন৷ এই অঞ্চলে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে কম্পাসের কাঁটা এলামেলো ভাবে ঘুরতে থাকে৷ এই মরুভূমি অঞ্চলটি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে ১৯৩৮ সালে৷ যে জায়গাটি ভিনগ্রহদের অস্তিত্ব আছে, সেই জাগার নাম আমেরিকার নেভেদা অঞ্চল, এই জায়গাটিকে বলে ‘এরিয়া -৫১’৷ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গ রাজ্য হ’ল নভেদা৷ রুক্ষ মরু পর্বতময় প্রান্তর হিসাবেই বিখ্যাত এই নভেদা অঞ্চলটি৷ তারই দক্ষিণ অঞ্চলে রয়েছে বিরাট সামরিক ঘাঁটি৷ এই সামরিক ঘাঁটির নামই হ’ল---‘এরিয়া-৫১’৷ জানা যায়,এই এলাকার উপর দিয়ে, আকাশ পথে কোন বিমান উড়তে পারে না৷ ‘এরিয়া-৫১’ এর আয়তন প্রায় ২৬০০ বর্গমাইল৷ অথচ এই এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না৷ এমনকি এই এলাকার আশপাশ দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেখলে তখনই বের করে দেওয়া হয়৷ কোন ছবি তোলাও নিষিদ্ধ৷ ‘এরিয়া-৫১’ এ ঢোকার জন্য কোন পাকা রাস্তা নেই৷

জানা যায়, ওই এলাকার উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেছেন৷ আকাশ পথে কোনো বিমান উড়তে পারে না৷ এতটাই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়৷ এই ‘এরিয়া-৫১’ নিয়ে৷ অথচ নভেদা অঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন--- তাঁরা মাঝে মধ্যে এরিয়া-৫১ থেকে ইউ.এফ.ও Unidentified flaying object) অর্র্থৎ সংক্ষেপে এর নাম হলU.F.O৷ এই ইউ.এফ.ও কে আকাশে উড়তে যে দেখেছেন৷ এটা বিজ্ঞানীদের স্বচোখে ঘটেছে, এই ঘটনাটি কেউ রূপকথার ডিটেক্‌টিভ গল্প বলে মনে ভাববেন না৷ পরমারাধ্য গুরুদেব যা বলতে চেয়েছেন তা বোঝাবার জন্য একটি বিজ্ঞানের উদাহরণ নিলাম৷

কলকাতা ‘বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম’ এর সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন ১৯৬৬তে৷ রমাতোষ সরকার৷ রমাতোষ সরকারের অভিমত অনুসারে, সূর্য্য থেকে প্রতি সেকেণ্ডে যে পরিমাণ শক্তি নিঃসৃত হচ্ছে, তার হিসাবে বলা হয়েছে যে, সৌরপৃষ্ঠের ‘ক্ষমতা’ Power) প্রতিবর্গ মিটারে প্রায় ৯০,০০০ এইচ.পি Horse power)৷ তার মানে, সূয্য পৃষ্ঠের একটি আলপিনের মাথার সমান এলাকা থেকে যে পরিমান শক্তি চতুর্দিকে বিকীর্ণ হচ্ছে তাকে সংহত বা একমুখী করে ৮০০০ কিলোমিটার দূর থেকে কলকাতার চেয়ে বড় এক শহরকে মুহূর্তের মধ্যে সবশুদ্ধ ভস্মিসূপে পরিণত করে ফেলা যায়, এই হিসাবে বিজ্ঞানীরা হিসেব করে বলেছেন--- সূর্য্যের চট করে পরমায়ু ফুরিয়ে যাবে না৷ এখনও প্রায় ১০০০ কোটি বছর পর্যন্ত চলবে অর্থাৎ ১০০০ বছর পর্যন্ত নিরাপদ৷ কিন্তু এই অনন্ত অফুরন্ত কালের time) সাপেক্ষে এই সময় অতি সংক্ষেপ সময়৷ তাই আমাদের গুরুদেব খুব দ্রুত আমাদের অন্যগ্রহে যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি ব্যবস্থার পরিকল্পনা নিয়েছেন৷ পৃথিবীর দূষন এতটাই দ্রুত হয়ে চলেছে, যাতে করে অন্যগ্রহ Galaxy)তে অবশ্যই যেতে হবে৷ নইলে প্রকৃতি প্রকৃতির পরিশোধ অবশ্যই নেবে৷ তাই অন্যগ্রহে অবশ্যই পাড়ি দিতেই হবে৷

আমরা জানি যে, কম্পাস বা চৌম্বক দণ্ড সাগর মহাসাগর বা মরুভূমিতে দিক্‌ নির্ণয় করতে সাহায্য করে৷ কিন্তু ইতিমধ্যে পৃথিবীতে বিশেষ করে অ্যামেরিকা এর মেস্কিকো অঞ্চলে ভিন্‌গ্রহীদের অস্তিত্ব মিলেছে৷ এই জায়গার নাম নেভেদা অঞ্চল, তারই দক্ষিণ অংশে রয়েছে বিরাট ভিন্‌গ্রহীদের বিশাল ঘাঁটি৷ এই সামরিক ঘাঁটির নামই হল--- এরিয়া-৫১৷ এই এলাকার উপর দিয়ে আজও কোন বিমানও উড়তে পারে না৷ এতটাই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় এই এরিয়া-৫১কে৷ অথচ নেভেদা অঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা মাঝে মধ্যে এই এরিয়া-৫১ থেকে ইউ.এফ.ও উড়তে৷ তারপর ২০১৩ সালে অবশ্য অ্যামেরিকা এই এরিয়া-৫১-এর কথা স্বীকার করেছে৷ মার্কিন সেনা বাহিনীর অফিসারগণ, বিশেষ করে বিজ্ঞানী ‘লজার’-কে প্রশ্ণ করে এই এরিয়া-৫১-এর বিশেষ বিশেষ সংবাদ জানতে পেরেছেন৷ এরিয়া-৫১ এর বিশেষ বিশেষ সংবাদ অন্য একটি সংবাদ বেরিয়েছে৷ সংবাদটির একটি জেরক্স নিম্নে দেওয়া হল--- পাঠকগণ এই এরিয়া-৫১ এর সংবাদ সংগ্রহ করে পড়ার অনুরোধ জানানো হ’ল৷