প্রবন্ধ

নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য

তপোময় বিশ্বাস

১২ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩৷ ইতিহাসের পাতায় এক উল্লেখযোগ্য দিন যা বিশ্ববাসীর কাছে নীলকণ্ঠ দিবস নামে পরিচিত৷ পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিলেন আনন্দমার্গ দর্শন ও প্রাউট তত্ত্বের প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের মাধ্যমে ডাক্তারকে দিয়ে ঔষধের নামে তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার কে? তাঁকে কেন বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল? প্রথমেই বলি প্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শন ও আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

একুশ আমার, একুশ তোমার

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে একুশে ফেব্রুয়ারী এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ ধন্য হওয়ার একটি দিন, একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, পেশীর বাঁধনে একুশকে বন্দী করা যায় না,একুশ অমর ও অজেয়৷

বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করতেই নাগরিক সংশোধন আইন

এইচ. এন. মাহাত

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ করে এন.আর.সি. , এন.পি.আর,  সি.এ.এ. নিয়ে তৎপর হ’ল কেন? এত জোর দিয়ে আইন সংশোধন করে সরকার কী বোঝাতে চাইছে? বাঙালী জনগোষ্ঠী একটু ভেবে দেখেছেন কী? ব্যষ্টিগতভাবে আমার মনে হয় এন.আর.সি.

নীলকণ্ঠ দিবস ও প্রাউট কি ও কেন

অনন্যা সেনগুপ্ত

আমরা জানি সদাশিবকে নীলকণ্ঠ বলা হয়৷ কারণ সমুদ্র মন্থনের সময় যে গরল অর্থাৎ বিষ উঠেছিল তিনি তা নিজ কণ্ঠে ধারণ করে জগৎকে বাঁচিয়েছিলেন৷ বিষ ধারণের ফলে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়৷ সেই থেকে শিবের এক নাম নীলকণ্ঠ হয়৷

লক্ষ্যহীন, অর্থহীন আয়-ব্যয় মাত্রিকা

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্রীয় সরকারের এবারে আয়-ব্যয় মাত্রিকায় এমন কোন পথ নির্দেশনা নেই যাতে বর্তমান চরম আর্থিক দুরাবস্থার সুরাহা হতে পারে৷

উল্লেখ্য এই বিজেপি সরকার যে জি.এস.টি নামক এক কর কাঠামো ১৩০ কোটি জনগণের ঘাড়ে চাপিয়েছে সেটাই অদ্যাবধি সাধারণ মানুষ-এর বোধগম্য হয়নি৷ বরং তার কারণে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ তার সদুত্তর জনগণ পাচ্ছেন না বিক্রেতাদের কাছ থেকে৷ ‘‘একটাই উত্তর দাম বাড়ছে’’৷

চিরন্তন প্রেরণার উৎস–নীলকণ্ঠ দিবস

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই কোনো মহাপুরুষ প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরোধিতা করেছেন, সামাজিক–র্থনৈতিক নানান শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন, শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ তুলে ধরেছেন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে শোষকশ্রেণী বা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্তাবকরা নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এমন কি তাঁদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে নানান্ভাবে চেষ্টা চালিয়েছে৷

তাই সক্রেটিসকে হেমলগ বিষ পান করানো হয়েছিল,  যীশুখৃষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল–এমনি অজস্র উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে৷

মাইক্রোবাইটামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন৷ এই তথ্যগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হ’ল৷

(১) অতীতে পজেটিব মাইক্রোবাইটার বিরাট প্রয়োজন হয়নি৷ এই প্রথম সাধারণ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্য মাইক্রোবাইটামকে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ব্যবহার পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রয়োজন ও ব্যবহার করার জন্য শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন৷

প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে.......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০২০ সনের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস সমগ্র ভারতবর্ষে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা, সম্মান  ও সমারোহ সহযোগে নিষ্পন্ন হল৷ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ও ভারতকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতবর্ষের সংবিধানে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে,‘‘প্রজা’’ বা নাগরিক সমুদায়কে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলির সুরক্ষা ও রাষ্ট্র নির্মাণে নাগরিকগণের দায়িত্ব তথা কর্ত্তব্য সমূহ সুনির্দিষ্ট করাই ছিল সংবিধান প্রণেতাগণের  মূল লক্ষ্য৷ তৎকালীন ভারত বর্ষে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের সুবিধার্থে সংরক্ষ

অথ সরিত কথা

জয়ন্তী চক্রবর্তী

পৃথিবীর ৩ভাগ জল, একভাগ স্থল ৷ তবু এই এক ভাগের তৃষ্ণাও মেটাবার মত যথেষ্ট জল আজ আর এই নীল গ্রহে নেই৷ বিবেচনাহীন অপচয়ই তার একমাত্র কারণ৷ আমরা নদীর তীরে বসতি শুরু করেছি তারপর জীবন যাপনের যাবতীয় বর্জ্র্য ছঁুড়ে দিয়েছি নদীরই জলে৷ নদীর তীরে কলকারখানা করেছি, বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য ফেলে ফেলে দূষিত করে দিয়েছি মায়ের দুধের মত পবিত্র মধুর অমৃত সমান জলধারাকে৷ যত্রতত্র বাঁধ দিয়ে উন্নয়নের নামে ডেকে এনেছি নদীর মৃত্যুকে৷ অপরিনামদর্শী এই আমরাই আবার নদী কে মাতা বলি, দেবী বলি, পাঁঠা বলি দিয়ে গঙ্গা পূজো করি৷ গঙ্গা তীরে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করি, প্লাস্টিকে মোড়া শাড়ি ছুঁড়ে দিই গঙ্গাজলে---মাতা পরবেন৷ অশিক্ষা,