প্রবন্ধ

রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

প্রভাত খাঁ

পৃথিবীর বুকে যত স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে মূলত তা  পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কিন্তু মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার  আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই৷ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণই পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের চেয়ে সংখ্যায় বেশী ছিলেন৷ তাই তাঁদের মাতৃভাষা বাংলাই রাষ্ট্রভাষা হওয়াটা যুক্তিযুক্ত৷ কিন্তু  মিঃ জিন্নার দল সেটিকে  মান্যতা দেননি৷ ঊর্দ্দুভাষাকেই জোর করে রাষ্ট্রভাষা করা হয়৷ এই কারণে পূর্ব পাকিস্তানে ২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সালে ঢাকায় জনগণ সমবেত হন তীব্র প্রতিবাদে৷ এই প্রতিবাদে পাকিস্তানী পুলিশের গুলিতে  তরতাজা পাঁচজন তরুণ প্রাণ হারান৷ তাঁদের নাম যথাক্রমে সর্বশ্রী রফিক, বর

নিপীড়িত মানবতার মুক্তির আদর্শ ও দধীচি দিবস

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মানুষ আজ দিশাহীনতায় ভূগছে৷ লক্ষ্যহীন মানব জীবন৷ ধর্মের স্থান অধিকার করেছে রাশি রাশি ডগমা বা ভাবজড়তা, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার৷ সামাজিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও মূলত পুঁজিবাদ, মাকর্সবাদ (জড়বাদ) আর ডগমা এই তিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছে৷ অথচ এই তিনের কোনটারই সর্বাত্মকশোষণমুক্ত সমাজ গড়বার সামর্থ্য নেই৷ ফলে মানব সমাজে আজ সর্বক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম আদর্শগত শূন্যতা৷

এরফলে আজ সর্বত্র চলছে ব্যাপক দুর্নীতি ও শোষণ, আর মানুষের ব্যষ্টিগত জীবনেও চরম উচ্ছৃঙ্খলতা ও অশান্তি৷

নব আদর্শে---নব উদ্দীপনায় সবাই হোক উজ্জীবিত

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মনুষ্য জাতির ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই কোন মহাপুরুষ, মনীষী, সমাজ সংস্কারক, নূতনের বার্তাবহ মানুষের কল্যাণে, নিপীড়িত মানবতার সংকট মোচনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, জ্ঞানের আলোকবর্ত্তিকা ঊধের্ব তুলে ধরেছেন তখনই অন্ধকারের পিশাচেরা, ভাবজড়তার ধবজাধারীরা নিজেদের সর্বনাশের আতঙ্কে যূথবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করেছে, চক্রান্ত করেছে---এমনকি ছলে-বলে-কৌশলে তাদের হত্যার ষড়যন্ত্রও করেছে৷ প্রাচীন যুগের সেই সদাশিবের সময় থেকেই একই ধারাপ্রবাহ বয়ে চলেছে৷ পাহাড়ে-পর্বতে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা মানুষজনকে এক সূত্রে গেঁথে, বিবাহ ব্যবস্থার প্রচলন করে’ মানব সমাজকে একটা বিধিবদ্ধ রূপ দিয়েছিলেন সদাশিব৷ এছাড়াও বৈদ্যক শাস্ত্রের সৃষ্

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷

কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷

নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য

তপোময় বিশ্বাস

১২ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৩৷ ইতিহাসের পাতায় এক উল্লেখযোগ্য দিন যা বিশ্ববাসীর কাছে নীলকণ্ঠ দিবস নামে পরিচিত৷ পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিলেন আনন্দমার্গ দর্শন ও প্রাউট তত্ত্বের প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার৷ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিবিআইয়ের মাধ্যমে ডাক্তারকে দিয়ে ঔষধের নামে তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার কে? তাঁকে কেন বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল? প্রথমেই বলি প্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শন ও আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

একুশ আমার, একুশ তোমার

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে একুশে ফেব্রুয়ারী এক স্মরণীয় ও বরণীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ ধন্য হওয়ার একটি দিন, একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই, পেশীর বাঁধনে একুশকে বন্দী করা যায় না,একুশ অমর ও অজেয়৷

বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করতেই নাগরিক সংশোধন আইন

এইচ. এন. মাহাত

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ করে এন.আর.সি. , এন.পি.আর,  সি.এ.এ. নিয়ে তৎপর হ’ল কেন? এত জোর দিয়ে আইন সংশোধন করে সরকার কী বোঝাতে চাইছে? বাঙালী জনগোষ্ঠী একটু ভেবে দেখেছেন কী? ব্যষ্টিগতভাবে আমার মনে হয় এন.আর.সি.

নীলকণ্ঠ দিবস ও প্রাউট কি ও কেন

অনন্যা সেনগুপ্ত

আমরা জানি সদাশিবকে নীলকণ্ঠ বলা হয়৷ কারণ সমুদ্র মন্থনের সময় যে গরল অর্থাৎ বিষ উঠেছিল তিনি তা নিজ কণ্ঠে ধারণ করে জগৎকে বাঁচিয়েছিলেন৷ বিষ ধারণের ফলে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়৷ সেই থেকে শিবের এক নাম নীলকণ্ঠ হয়৷

লক্ষ্যহীন, অর্থহীন আয়-ব্যয় মাত্রিকা

প্রভাত খাঁ

কেন্দ্রীয় সরকারের এবারে আয়-ব্যয় মাত্রিকায় এমন কোন পথ নির্দেশনা নেই যাতে বর্তমান চরম আর্থিক দুরাবস্থার সুরাহা হতে পারে৷

উল্লেখ্য এই বিজেপি সরকার যে জি.এস.টি নামক এক কর কাঠামো ১৩০ কোটি জনগণের ঘাড়ে চাপিয়েছে সেটাই অদ্যাবধি সাধারণ মানুষ-এর বোধগম্য হয়নি৷ বরং তার কারণে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ তার সদুত্তর জনগণ পাচ্ছেন না বিক্রেতাদের কাছ থেকে৷ ‘‘একটাই উত্তর দাম বাড়ছে’’৷