প্রবন্ধ

পণপ্রথা আজও একটি সামাজিক ব্যাধি

কণিকা দেবনাথ

পত্রপত্রিকায় চোখ দিলেই দেখা যায় কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানোর দুর্বিষহ যন্ত্রণার ছবি৷ একবিংশ শতাব্দীর দুদশক পার করেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারী অভিশাপমুক্ত হলো না৷ অবশ্য তথাকথিত অভিজাত বা  হাই সোসাইটির আধুনিক কন্যার কথা আলাদা৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম দিলে নারীকে আজও নানা অত্যাচার ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়৷

সমাজের নারীর প্রতি এই বৈষম্য মূলক আচরণের অন্যতম কারণ হলো পণপ্রথা৷ আজও সমাজে অনেক ছেলেই শ্বশুর বাড়ির টাকায় বড়লোক হওয়ার স্বপ্ণ দেখে, তাই কন্যা বিবাহ যোগ্যা হলেই দুশ্চিন্তায় পিতা মাতার ঘুম ছুটে যায়৷

শিক্ষাব্যবস্থা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মহাবিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রো বাইটাম তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম হ’ল মিত্র স্বভাবের মাইক্রোবাইটাম৷ অর্থাৎ এই মাইক্রোবাইটাম মিত্র বা বন্ধুর মত  মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম প্রতিসঞ্চর ধারায় সৃষ্ট হওয়ায় এরা মানবজীবনের জাগতিক স্তর ও মানসিক স্তরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়৷ বিশেষ ক’রে  এরা শুভবুদ্ধি ও বিবেকের জাগরন্ ঘটায় এবং অপরপক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অশুভ কর্মতৎপরতাকে প্রতিহত করে৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম সবসময়ে শুভ  কর্মে লিপ্ত থাকার উৎসাহ প্রদান করে এবং  উদার মনবৃত্তি তৈরীতে উৎসাহ বা প্রেরনা যোগায়৷

ফাগুয়া, হোলি ও দোলযাত্রার তাৎপর্য

বিশেষ প্রতিনিধি

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

রবীন্দ্রনাথের নোবেল আজও অধরা! এ যে শতাব্দীর লজ্জা

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক অবিস্মরণীয় অবিসংবাদিত নাম৷ যিনি চির স্মরণীয় ও চির বরণীয়৷ রবীন্দ্রনাথ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক, ছান্দসিক সমবায় নীতির পথিকৃত৷ সর্বোপরি তিনি মানব মৈত্রীর ঋষি৷ এ কথায় কোন বিশেষণই তাঁর পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ ৮০ বছরের বৃত্তে দাঁড়িয়ে তিনি হাজার বছরের কাজ করেছিলেন৷ আমরা গর্বিত ও ধন্য এই ভেবে তিনি বাঙলার ভূমিপুত্র৷ আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও সৌভাগ্যবান এই কারণে আমরা রবীন্দ্রনাথের দেশে জন্মগ্রহণ করেছি৷

প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে...

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পরিশেষে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু বাঙালী পরিবার ভারতে প্রবেশ করেন, যাদের অনেকেই পরে আর নবগঠিত রাষ্ট্র ‘বাঙলাদেশ’-এ ফিরে যাননি৷

মানব ইতিহাসে শিবের অবদান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

ঐতিহাসিক শিব

শিব প্রকৃতপক্ষে কাল্পনিক দেবতা নয়৷ আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে হিমালয় অঞ্চলে (কৈলাস) এই মহামানব শিব জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ ধর্ম, নৃত্য-গীত, চিকিৎসা, সমাজব্যবস্থা---তৎকালীন সমাজের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে শিব মানুষকে যথাার্থ পথ প্রদর্শন করে মানব সমাজের আদি গুরু রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন৷

আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে শিবের অবদান

শিবই আধ্যাত্মিক সাধনা বিজ্ঞান ও তন্ত্র শাস্ত্রের রচয়িতা৷ বেদ মূলত তাত্ত্বিক৷ এর ৯৫ শতাংশ তত্ত্ব৷ এতে বৈবহারিক সাধনা পদ্ধতি অতি সামান্য৷, বলা চলে পাঁচ শতাংশ মাত্র৷ তাও বেশীরভাগ কেবল প্রার্থনামূলক৷

ছুটিয়াছে জাতি প্রেম মৃত্যুর সন্ধানে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কয়েকদিন এক ভয়ঙ্কর বর্বরতার সাক্ষাৎদ্রষ্টা হয়ে থাকল দেশের রাজধানী শহর৷ তথাকথিত ধর্মের নামাবলী গায়ে একদল পাষণ্ড হিংসার উৎসবে মেতে উঠল৷ মানুষের রক্তের অকাল হোলি দেখল শহরবাসী৷ এই হিংসার উস্কানীদাতা লজ্জা-শরমহীন একদল দেশনেতা(!) কণ্ঠে যাদের হুঙ্কার ধবনি---‘গোলি মারো শা....’৷ এই দেশনেতারাই দেশের কর্ণধার৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন সাক্ষীগোপাল হয়ে থাকল৷ একই হুঙ্কার কলকাতাবাসীকেও শুনিয়ে গেল দেশের রক্ষক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর সভাতেও আবাজ উঠল---’গোলি মারো.....’৷ শাহজী শুনে উচ্ছ্বসিত হলেন, বাঙলা তাহলে দখলে আসছে! আশ্বাস দিলেন সোনার বাঙলার৷ গোলির বন্যায় সোনার বাঙলা---বাঙালী উদ্বেলিত!

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ তিনি বহু প্রচলিত বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

ইয়ূথ/ইয়ূনিয়ন/ইয়ূনিটি......

ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যা ও বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত

এইচ এন মাহাত

একদা দেশটির নাম ছিল ভারবর্ষ৷ হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী দালালদের দৌলতে ভারতের স্বাধীনতার নামে যে রাষ্ট্র আমরা পেলাম তার নাম হলো শুধুমাত্র ভারত৷ এই ভারতের স্বাধীনতার জন্যে সব থেকে বেশী রক্ত দিয়েছে বাঙালী, আর আজ সেই বাঙালী জাতিকেই ৭০ বছর পর প্রমাণ দিতে হবে তাঁরা কী ভারতীয়?