প্রবন্ধ

দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যবোধ ও নব্যমানবতাবাদ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দায়িত্ব ও কর্তব্য এই দুইটি ছোট শব্দ ব্যষ্টি জীবন, সমাজজীবন রাষ্ট্র তথা বিশ্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই দুটি ভাব জাগ্রত থাকলে ব্যষ্টি বা সমষ্টি যে কোন পর্যায়েই চরম উন্নতি সাধন সম্ভব, আবার এগুলির অভাবে ভয়ঙ্কর পরিণামও অনিবার্য৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের ঘটনাপ্রবাহ, এমনকি সমগ্র বিশ্বের অশান্ত পরিস্থিতির জন্যেও এই দুইটি বিষয়ের প্রতি অবহেলা বা অবমাননা বহুলাংশে দায়ী৷

অবিলম্বে জলের অপচয় বন্ধ করুন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ থেকে বহু বছর আগে প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তিনটে জিনিস অপচয় করতে বারণ করেছিলেন৷ কোন জিনিষের অপচয় তিনি পছন্দ করতেন না৷ কিন্তু বিশেষ করে তিনটি জিনিসের কথা তিনি বলেছেন, জল, জ্বালানি, বিদ্যুৎ৷ তিনি এও বলেছেন--- এমন একটা দিন আসবে যেদিন মানুষ জল খেয়ে মরবে,  না খেয়েও মরবে৷ জল এমন একটা জিনিস যার অভাবে শুধু মানুষ নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা কারো পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়৷ মানুষের সীমাহীন লোভ, প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুন্ঠন, ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার মানুষের সামনে এই বিপদ ডেকে এনেছে৷ এখন হয়তো সময় আছে, মানুষ যদি সচেতন হয় রাষ্ট্রের পরিচালক বিজ্ঞানী, সমাজবিদ, বিজ্ঞানী সকলের মিলি

‘দধি’ মাইক্রোবাইটামে ভরপুর, মানবদেহালয়ের প্রকৃতিদত্ত ঝাড়ুদার

যোগাচার্য

পৃথিবীর নানা ক্ষুদ্র বৃহৎ মানব সমাজে যত ধরণের খাদ্য ও পানীয় বিভিন্ন দেশের জনগোষ্ঠীদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে তাতে মানুষ নামক জাতিটিকে প্রায় সর্বভুক আখ্যা দেওয়া যায়৷ কিন্তু এত অজস্র রকমের প্রাচুর্যে গড়া মানুষের খাদ্য ভাণ্ডারের মধ্যে এত ধরণের বৈচিত্র্য, এত রকমের প্রোটিন–ভিটামিন–সল্,  মিনারেলস শ্রেণীর খাদ্য ও পানীয় থাকা সত্ত্বেও একটি মাত্র খাদ্য বস্তুকে শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর.

যোগ এক দিবসের জন্যে নয়, সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

(দ্বিতীয় পর্ব)

‘যোগ’ হচ্ছে কী? না---জীবন গড়ার সাধনা, আত্মবিকাশের সাধনা৷ ‘একটা কলি অর্থাৎ কুঁড়ি থেকে ফুলের বিকাশ ঘটে, ওই কুঁড়ির মধ্যে যে রূপ, বর্ণ, গন্ধের সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিস্ফুট হয়৷ একটা ছোট্ট বটবৃক্ষের বীজের মধ্যে একটা বিশাল বটবৃক্ষের সম্ভাবনা থাকে৷ তেমনি মানুষের মধ্যে অনন্ত শক্তি ও গুণের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যথাযথ পরিচর্যার দ্বারা এই শক্তি ও গুণগুলির প্রকাশ ঘটাতে হয়৷

শান্তি ও অহিংসার পীঠস্থান ভারত বর্তমানে বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী দেশ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের ও লজ্জার কথা, তা হ’ল ভারতের মত বিরাট দেশ যে দেশ শান্তি ও অহিংসার বাণী বিশ্বকে আজীবন শুনিয়ে এসেছে সেই দেশ আজ বিশ্বশান্তি সূচকে নিম্নগামী, গত ১৬ই জুন ফাদারস্ ডে তে দিল্লী থেকে প্রকাশিত হয় এই সংবাদ৷ ইণ্টার ন্যাশনাল থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রকাশিত সংবাদের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসে৷ গ্লোবাল পিস্ ইনডেকস্ জানিয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে হিংসা বাড়ছে৷ --- ভারতীয় সমাজে দ্বন্দ্ব, হিংসা ও অশান্তি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত৷ দেশের সীমান্তে রক্তপাতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, রিপোর্টে জানা গেছে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ ভুটান প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ গত ১২ বছরে ৪৩ ধাপ এগিয়ে প্রথম ২০তে ঢুকে পড়েছে ভুটান৷

কৃত্রিম হিন্দিভাষা নয়, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক

সুকুমার সরকার

‘‘হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান’’---এই শ্লোগানই প্রমাণ করে যে সংঘ পরিবার ও সংঘ পরিবারের বিজেপি মোটেই ভারতীয় সনাতন আদর্শে আদর্শায়িত নয়৷ শ্লোগানের এই তিনটি শব্দই মুসলমানদের দান৷ আরব মুসলমানেরাই তাদের ভাষার উচ্চারণে প্রাচীন সিন্ধু অববাহিকার মানুষদের হিন্দু বলে অবিহিত করেছে, সমগ্র দেশকে তারাই হিন্দুস্তান বলেছেন৷ সুতরাং হিন্দু বা হিন্দুস্তান আজ যতটা জাতি বা ধর্মমত বাচক, তার চেয়ে বেশি দেশ বাচক৷ সেই দেশ বাচকতায় ভারতে বসবাসকারী সকল মানুষই হিন্দু৷

‘‘জয় বাংলা’’-বাংলার জয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের লোকসভায় শপথ গ্রহণের সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত অধিকাংশ সাংসদ বাংলায় শপথ গ্রহণ করেন ও শপথের আগে বা পরে তাঁরা বিভিন্ন জয়ধবনিসূচক শব্দবন্ধও উচ্চারণ করেন৷ যদিও নিয়মানুযায়ী শপথের জন্যে নির্দিষ্ট বয়ানের অতিরিক্ত শব্দবন্ধগুলি সংসদের রেকর্ডে নথিবদ্ধ হয় না, তথাপি ওই জয়ধবনিগুলির মাধ্যমে বক্তার মানসিক অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশটি অবশ্যই লক্ষ্যণীয়৷ ওইসকল শব্দবন্ধগুলিতে যেমন পৌরাঢ়ণিক দেব-দেবী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়গত জয়ধবনি ও ভারতমাতার নামে জয়ধবনি ছিল, ঠিক তেমনি ছিল জয়হিন্দ,বন্দেমাতরম্, জয় বাংলাও৷ কার্য-কারণ পরম্পরা যা-ই হোক না কেন, সংসদকক্ষে বাংলার নামে জয়ধবনি বড় একটা

মোদি কি দেশকে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের পথে দেশকে নিয়ে যেতে চান?

মনোজ দেব

দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাধিক্যে ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী আবার আবাজ তুলেছেন এক জাতি, এক নির্বাচন৷ একটা কথা জেনে রাখা ভাল---বিপুল সংখ্যা হলেও বিপুল জনসমর্থন ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় এই নির্বাচনের ফল নয়৷ দীর্ঘকালীন ভোট, বিপুল পরিমাণ অর্থের ছড়াছড়ি, তারপর নির্বাচন কমিশনের ভেতর থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে৷ প্রযুক্তিগত কারচুপিরও অভিযোগ উঠছে৷ এই নিয়ে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও পক্ষই বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করেননি৷ মোদি জমানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন তার সহ বিচারপতিরা৷

যোগ একদিবসের জন্যে নয়   সমগ্র জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তি

মোহন সরকার

যোগ একটা দিবসের জন্যে নয়৷ যোগ সমস্ত দিবসের জন্যে---যোগ সারা জীবনের জন্যে৷

যোগ কী?

 জীবনের অপূর্ণতা থেকে আনবার জন্যে জীবনে যা করণীয় তারই শিক্ষার নাম যোগ৷ একটা চারাগাছকে  বিজ্ঞান সম্মতভাবে বলি পরিচর্যা করা অর্থাৎ ঠিক নিয়ম মেনে জল, সার দেওয়া, বেড়া দেওয়া, ইত্যাদির মাধ্যমে চারাগাছটিকে বিকশিত করে পত্রে ফুল ফলে ভরিয়ে তোলার বিজ্ঞানই হ’ল যোগ৷

‘যোগা’ নয়, ‘যোগ’

রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার ও জনগণকে  বিশেষভাবে সচেষ্ট হতে হবে

মুশাফির

আজ ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শোষিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত রাজ্য হল, এই ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত পশ্চিমবাংলা৷ কেন্দ্র চিরকালই এই রাজ্যকে শোষিত ও বঞ্চিত করে আসছে৷ যেহেতু পশ্চিমবাঙলা প্রায় ৪১ বছর বিরোধীদলের শাসনে,  তাই কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করে রাজ্যকে  প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করে আসছে৷  বিশেষ করে দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম শাসনের অবসানের পর যে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনে এসেছে, সেই রাজ্য সরকারকে বিজেপি নানা ভাবে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করে আসছে৷ এই কারণে  তৃণমূল কঠোর আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে, সেটা সারা পশ্চিমবাঙলার জনগণ উপলদ্ধি করেন৷ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শিক্ষক, শিক্ষাক্ষেত্রের অন্যান্য  কর্মচারী তথা সরকা