প্রবন্ধ

নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষা ঃ কী পেল বাঙলা ও বাঙালী

সুকুমার সরকার

উনিশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গেল৷  প্রচণ্ড মোদি ঝড়ে আঞ্চলিক  দলগুলি সহ বৃহত্তর বিরোধী দলগুলিও খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে৷ বাঙলা ও বাঙালির ভাগ্যাকাশেও নেমে এসেছে এক পরিবর্তনের ইঙ্গিত ! এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত বাঙলা ও বাঙালির জন্যে কতটা ইতিবাচক ও কতটা নেতিবাচক তার হিসেব যদি বাঙালিরা না করে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে৷  

যোগদিবস ও যোগসাধনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আধ্যাত্মিকতার ঐতিহ্যমন্ডিত মৈত্রী, সম্প্রীতি, শান্তি ও মিলনের ক্ষেত্র আমাদের দেশ এই ভারতবর্ষ যোগসাধনার পীঠস্থান হিসেবে সমগ্র বিশ্বে  স্বীকৃত ও বন্দিত৷ অতিপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতবর্ষের মুনিঋষিগণ  বহু সাধনার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক,  মানসিক ও  আধ্যাত্মিক স্তরের সর্বাত্মক উন্নতিকল্পে নানাবিধ প্রক্রিয়া-পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ও গুরু-শিষ্য পরম্পরায় সেই শিক্ষা কালক্রমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে প্রসারিত হয়েছে৷ সুদীর্ঘ সাধনার অভিজ্ঞতায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন যে আধ্যাত্মিক সাধনার পথে অগ্রগতি আনতে হলে শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক স্বচ্ছতা একান্ত প্রয়োজন৷ মানুষের শরীরে যে সকল গ্রন্থি-উপগ্রন্থি রয়েছে সেগুলি থেক

বহু ভাষাভাষী রাষ্ট্র ভারত যেখানে বহুত্ববাদকে মান্যতা দিতে হবে সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দী ভাষা নিয়ে বাড়াবাড়িটা বিসদৃশ

প্রভাত খাঁ

দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি তথা এন.ডি.এ৷ সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হ’ল কীভাবে সারা ভারতে যে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যায় কোটি কোটি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার হয়ে জীবন যন্ত্রণা ভোগ করছেন তার কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা৷ তা না করে সেই হিন্দীভাষাকে কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কচি কচি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রবেশ করানো যায় তার জন্য পাঠ্যবিষয়ে হিন্দীকে বাধ্যতামূলক করতে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এ ব্যাপারে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরী জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করার প্রস্তাব করা হয় লোকসভায়৷ ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে মাতৃভাষা, ইংরেজী ও হিন্দী ভাষাকে বাধ্যত

বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থরক্ষার তাগিদে আপামর বাঙালীকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা বাংলার মাটি, জল, পরিবেশ, জলবায়ু, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বাঙালী জাতির বৈশিষ্ট্যে এক অভিনব স্বকীয়তা প্রদান করেছে৷ বাঙালী একাধারে অতি ভাবপ্রবণ, সহজ-সরল জীবনে অভ্যস্ত,সহনশীল, অতিথি বৎসল---আবার প্রয়োজনে এই বাঙালীই অস্ত্র হাতে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতেও সমান দক্ষ৷ বাঙালির ঐতিহ্য আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা, মিলন,মৈত্রী ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্বল৷ ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, স্বদেশপ্রেম, সর্বক্ষেত্রেই বাঙালীর অবদান পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছে৷ এই বাংলাতেই জন্মেছেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ,ঋষি

বাঙালীর ভবিষ্যৎ কোন্ পথে

মনোজ দেব

মানুষ আজ অমানুষে পরিণত হচ্ছে৷ হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ লোভ মানুষকে বিবর্তনের বিপরীত পথে নিয়ে চলেছে৷  রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি নানা নামে পরিচিত৷ মানুষের পরিচয় সে ভুলে যায়, মানব ধর্মের অনুশীলন সে করে না৷ দলীয় স্বার্থরক্ষা করা আর অর্থ উপার্জন তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ ক্ষমতার দখল নিতে সে উন্মত্ত, উন্মাদ৷ তাই তো এত খুন, এত রক্ত!কেউ একবারও ভাবে না কে কাকে মারছে? কে কার রক্তে হাত রাঙাচ্ছে?

‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন মানুষ যদি তার মনকে সূচাগ্র করতে চায়  তবে ওই মানুষটিকে  গুরুচক্রে মনকে রেখে ইষ্টের  ধ্যান করতে হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ  হ’ল গুরুচক্র কোথায় অবস্থিত  ও গুরুচক্রে মন রাখতে হবে কেন? আসলে গুরুচক্র সহস্রার চক্রের ঠিক নীচে  অবস্থিত৷ এখন, গুরুচক্র হ’ল মানব মহিমার  সর্বোচ্চ চক্র বা বিন্দু৷ মানব দেহে পরমপুরুষের  এটাই হ’ল অবস্থান  কেন্দ্র৷ তাই এই সর্বোচ্চ বিন্দুতে  মানুষ মন রেখে  ধ্যান করবে৷ মানুষ তার মনের সমস্ত শক্তিকে এই বিন্দুতে  যদি সংহত করতে  পারে তবেই  মানুষ একাগ্রতা লাভ করে ও সর্বজ্ঞ হ’য়ে উঠবে৷

মনের একাগ্রতা ও মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ

অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা

কথায় বলে যে যন্ত্র যত বেশী সূক্ষ্ম তার শক্তিও ততোধিক৷ মন শরীর থেকে অনেক অনেক বেশী সূক্ষ্ম, তাই তা অধিকতর শক্তিসম্পন্ন৷ সেই জন্যেই প্রত্যেকটি কাজ শরীর থেকেই শুরু করতে হয়৷

প্রাউট চায় সর্বসাধারণের কল্যাণ

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মূল পঞ্চনীতির প্রথম নীতি হ’ল ঃ সমাজের তথা সমবায়িক সংস্থার সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কাউকে কোন প্রকার জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে দেওয়া হবে না৷ স্পষ্টতঃই এই নীতি আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভিশাপ থেকে সমাজকে বাঁচাতে চায়৷ জগতের স্থূল সম্পদ (এক্ষেত্রে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের কথা বলা হচ্ছে না) সীমিত বলেই, কেউ যদি অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে অন্যত্র অভাব দেখা দেবেই৷ তাই অবাধ সঞ্চয় নীতিতে প্রাউট বিশ্বাসী নয়৷ মানুষ সঞ্চয় করে চারটি কারণে (১) দৈনন্দিন ব্যষ্টিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে৷ (২) বিশেষ বিশেষ পারিবারিক তথা সামাজিক দায়–দায়িত্বের জন্যে৷ ৩) অনন্ত সুখের এষণা, (৪) মানসিক ব্যাধি৷ প্রথম

বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে চলেছে

প্রভাত খাঁ

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু আছে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হ’ল এখানে গত ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে কয়েক টুকরো করে ভাগ করে পাকিস্তান ও হিন্দুস্থান তৈরী করা হ’ল৷ দেশের আপামর জনগণ এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না৷ এর ফলে মুসলমান সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে লক্ষ লক্ষ অসহায় হিন্দু নরনারী, শিশুদের নিজ নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করে এক ভয়ঙ্কর উদ্বাস্তু সমস্যা সৃষ্টি করে ও হিন্দুস্তানে অর্থাৎ ভারতে বিতাড়িত করে ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে অদ্যাবধি তার খেসারত ভারত দিয়ে চলেছে৷ ভারতের পুর্ব-পশ্চিমে দুটি ডানা আজ বিচ্ছিন্ন৷ আজও ভারত

নোতুন সকালের প্রতীক্ষায়......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৪ সনের পর ২০১৯---ভারতীয় গণতন্ত্রের এক সুদীর্ঘ নির্বাচন পর্বের অবসানে গত ২৩ মে প্রকাশিত ফলাফলের নিরিখে এন.ডি.এ-র নেতা হিসেবে শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ জয়লাভ করলেন ও প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেছেন৷ গত দুই মাসাধিক কাল ধরে যে নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীগণ যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য-বত্তৃণতায় গুটিকতক খয়রাতিমূলক অনুদান বিতরণের প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রকৃত উন্নয়নমুখী কর্মসূচীর বিশেষ উল্লেখ ছিল না৷ দলীয় ইস্তাহারগুলিতেও ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ গোছের গড়পরতা ঘোষণা ব্যতীত বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি৷ এত বড় একটা দেশের শাসনভার যারা পেতে চাইছেন তারা গত পাঁচ