প্রবন্ধ

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মনে

আজ দেশ নিছক দলবাজিতেই ডুবতে বসেছে

প্রভাত খাঁ

এই বাঙলার তরুণ বিদ্রোহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছেন–‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি৷’’ যার ক্ষুণ্ণিবৃত্তি হয় সে ওই চাঁদকে দেখে সুন্দর ও অনেক কিছুই ভাবতে পারে কিন্তু যার পেটে খাদ্য নেই, ক্ষুধার জ্বালায় যে ছট্ফট করে তার চোখে খাদ্য বস্তু ছাড়া অন্য কোন কিছুই আসে না৷ এটা বাস্তব সত্য৷ তাই তো মানবতাবাদীরা এমনকি আধ্যাত্মিক পথের যাঁরা পথ প্রদর্শক তাঁরা বলেন–খালি পেটে ধর্ম হয় না৷ তাঁরা উপদেশ দেন যে অন্নহীনকে প্রথমে অন্ন দান কর তারপর ধর্মের কথা, আদর্শের কথা বল৷

ভারতীয় রাজনীতির এই কদর্য রূপ নোতুন নয়

মনোজ দেব

‘আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই, প্রতিধবনি নই, কারো Prototype নই--I am myself’৷ কথাগুলি বলেছিলেন সুভাষচন্দ্র৷ ১৯৩৯ সালে গান্ধী মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হবার পর গান্ধীজী ও তাঁর লবির নেতাদের পক্ষে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ আসলে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কংগ্রেসে যেটা চালু ছিল তা হ’ল পুঁজিবাদী একনায়কতন্ত্র৷ গান্ধীজী ছিলেন সেই পুঁজিপতিদেরই প্রতিনিধি৷ তাই কংগ্রেসে গান্ধীর কথাই শেষ৷ গান্ধীবাদী নেতা শেঠ গোবিন্দদাস সে কথা স্বীকারও করেন৷ তিনি বলেন---‘ফ্যাসিস্টদের মধ্যে মুসোলিনী, নাৎসীদের মধ্যে হিটলার ও কমিউনিষ্টদের মধ্যে স্ট্যালিনের যে স্থান কংগ্রেস স

বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত

পূর্ব প্রকাশিতের পর

এই ধরণের স্বৈরাচারী আক্রমণের সম্মুখীন যে শুধু আনন্দমার্গ হ’ল তাই নয়, যারাই এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে সক্রিয়ভাবে কিছু করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তাদের ওপরেই নেমে এসেছিল ওই আক্রমণ৷ কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এই ঘটনায় মর্মাহত হয়েছিলেন৷ তারা উপলব্ধি করেছিলেন ৩০ এপ্রিলের ওই বীভৎস ঘটনা তাঁদের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷ তাই তাঁরা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন---‘‘এবারের ২৫শে বৈশাখ হোক অনুশোচনার ও প্রায়শ্চিত্তের ২৫শে বৈশাখ৷’’

৩রা মে

মন্ত্র আনন্দ

লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছেন৷ প্রথমবার সভাপতি হয়েই কী সব আবোল-তাবোল বকছে৷ বলে কি না ‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সাহায্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে শক্তি অর্জন করেছে৷ মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে হবে৷’ এমন লোক দলে থাকলে তো ব্যবসা ছেড়ে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে৷ গত এক বছর ধরে চেষ্টা চলছে লোকটাকে দল থেকে তাড়াবার জন্যে৷ আর লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছে৷ এ কী পাগল নাকি!

গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দের আসল চরিত্র

অমৃতবোধানন্দ অবধূত

বর্তমান মানুষের জীবনযাত্রা প্রযুক্তি নির্ভর৷ তা জীবনে গতি ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে৷ একে প্রগতির দ্যোতক  হিসেবেই  গণ্য করা হয়৷  তবে কিছু কিছু ব্যষ্টি  বা গোষ্ঠী তাৎক্ষণিক লাভের স্বার্থে বিশেষ কোনো প্রযুক্তির  পরিবর্তন ঘটিয়ে সেকেলে পুরোনো ধ্যানধারণার প্রতিষ্ঠার  মতো প্রতিক্রিয়াশীল দাবীও করে থাকেন৷ নির্বাচন কমিশনে ইবিএম EVM) ব্যবহারে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে  এ আলোচনা৷ বিশেষ কোন প্রমাণ ছাড়াই  অনেকে ইবিএম - এর  কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ  প্রকাশ  করে সময়সাপেক্ষ ব্যালটে বোট Vote) গ্রহণের দাবী তুলেছিলেন৷  বোটপর্বকে  স্বচ্ছ  ও যথার্থ করতে নির্বাচন  কমিশন ইবিএম-এর সাথে ব

‘এ গান থামিবে না, এ দাবি দমিবে না’

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মহাকালের অনাদি থেকে অনন্তের যাত্রাপথে বিশেষ কিছু বিন্দু সৃষ্টি হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে এক একটা মাইল ফলক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে থাকে, বিশেষ কিছু মুহূর্ত বা ঘটনা মানব চেতনার গভীরে মোটা দাগ এঁকে দিয়ে যায়৷ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল এমনই একটা দিন যা পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতার  চরমতম লাঞ্ছনার অন্যতম একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই পরিচিত হয়ে থাকবে৷ আমরা আরও একটি ৩০শে এপ্রিল পেরিয়ে এলাম, যে দিনটাকে বিশ্বের সকল আনন্দমার্গী ভাই-বোন ‘‘মানবতা বাঁচাও দিবস’’রূপে পালন করে আসছেন৷ আনন্দমার্গের অনুগামী ও বিশ্বের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে এই দিনটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাবিদ্ধ হওয়ার দিন, হৃদয়ের সমস্ত সুকুমার বৃত্তিগুলোক

গো-বলয়ে অশনি সংকেত-তাই কি  বাঙলার দিকে এত নজর!

মনোজ দেব

 খাস তালুক গো-বলয়ের  উপর এবার দিল্লির  শাসকদল ভরসা  রাখতে পারছে না৷ উত্তরপ্রদেশে  যোগী ক্ষমতায়  আসার পর  থেকে যতগুলি  উপনির্বাচন হয়েছে সবগুলিতে  বিজেপি হেরেছে৷ তারপর এই নির্বাচনে অখিলেস-মায়াবতীর  জোট উত্তরপ্রদেশে শাসক  দলের মাথা ব্যাথা বহুগুন বাড়িয়ে  দিয়েছে৷ সম্প্রতি বিধানসভা  নির্বাচনে গো-বলয়ের  তিনটি রাজ্য বিজেপির  হাত ছাড়া হয়েছে৷  সেখানে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরেছে৷

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংসৃকতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টের