প্রবন্ধ

বর্তমান রাজনীতির পঙ্কিল আবর্ত

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

‘‘বাঙলা ও বাঙালী’’র নিজস্ব সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা লোকসভা ও বিধানসভায় উপস্থাপন করলে তো বিষয়গুলোর  দ্রুত ও যথার্থ সমাধান হতে পারতো৷  তবে কেন তারা সরব হন না?’’-আমার ইতোপূর্বে লেখা এক প্রবন্ধের  পরিপ্রেক্ষিতে শ্রদ্ধেয় গোবিন্দ-দার উক্ত জিজ্ঞাসার উত্তরে  আমার এই প্রবন্ধের অবতারণা৷ প্রশ্ণ খুবই স্বাভাবিক হলেও উত্তরটা নিয়ে হয়তো মতানৈক্য থাকতে পারে৷ তবে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ লব্ধ অভিজ্ঞতার  নিরিখে আমার এ মূল্যায়ন৷

বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় আয়-ব্যয়মাত্রিকা (বাজেট) লক্ষ্যহীন একটা রাজনৈতিক চমক!

প্রভাত খাঁ

ভারতের বর্ত্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আর মাত্র কয়েক মাস আয়ু আছে কারণ ২০১৯ এর মাঝামাঝি পাঁচবছর পূর্ণ  হতে চলেছে৷ এই সরকারের শেষ ‘অন্তবর্তী বাজেট’ লোকসভায়  পেশ হয়েছে৷ কিন্তু এই বাজেট-এর আকার-প্রকার কিয়েক মাসের  জন্য নয়৷ এটা দেখে মনে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বাজেট৷ ২০১৯-২০২০ সালের বাজেট৷  বাজেট পেশ করা উচিত ছিল কয়েক মাসের জন্য  কাজ চালাতে৷ নির্বাচনের পর যে সরকার আসবেন তারা পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন৷ কিন্তু বিজেপি  সরকার প্রথা ভেঙ্গেছেন  নির্লজ্জভাবে নির্বাচনী চমক দিতে৷

‘নীলকন্ঠ দিবস’-এর শপথ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ইতিহাসের পাতা ওল্টালে আমরা দেখতে পাই,অতীতে যখনই কোন নূতন আবিষ্কার বা আদর্শ মানব সমাজের যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চেয়েছে তখনই সেই আদর্শের বিরোধিতায় যূথবদ্ধ হয়েছে সমস্ত অশুভ-শক্তি৷ পুরাতনের জীর্ণ কঙ্কালকে আঁকড়ে ধরে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দীর্র্ঘয়িত করার চক্রান্তে সামিল হয়েছে তারা৷ নূতনের বার্তাবহ,ধারক-বাহকের ওপর চলেছে অশেষ নির্যাতন, নিপীড়ন, প্রাণঘাতী অত্যাচার --- এমনকি নেমে এসেছে অকাল মৃত্যুর  নিষ্ঠুর আঘাত৷ গ্যালিলিও,সক্রেটিস, যীশুখ্রীষ্ট, হজরত মহম্মদ কিংবা  মহাসম্ভূতি সদাশিব ও শ্রীকৃষ্ণ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ৷ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে আনন্দমার্গ ও প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজ

যুক্তিহীন অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার নয়, মানবসমাজে অগ্রগতির জন্যে চাই যুক্তিপূর্ণ আধ্যাত্মিকতা

সত্যসন্ধ দেব

এবার গঙ্গাসাগরে মকরসংক্রান্তির মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভীড় জমিয়েছিলেন৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, উত্তরপ্রবেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে – ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে, এমনকি সাগরপার থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এসেছেন৷ অনেকে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করে সেই সঞ্চিত অর্থ নিয়ে, অনেকে জমি–জমা গোরু–বাছুর বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে, অনেকে ধারকর্য করে গঙ্গাসাগরে এসেছেন সংক্রান্তির দিন বিকেলে মেলা প্রাঙ্গনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বললেন, এবারে ৩৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভীড় হযেছিল৷ ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে৷

দরিদ্রতম গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে জয়লাভে লক্ষ লক্ষ টাকা মাঠ ভরাট এতে খরচটা কী সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়?

প্রভাত খাঁ

১৩০ কোটি মানুষের বিরাট দেশ ভারত,বর্তমানে  সেখানে চলছে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়গণতন্ত্রে নামে জঘন্য, দলতন্ত্র যা দেশবাসীর নাভিশ্বাস তুলছে৷ গত ১৯৪৭ সাল থেকে ইংরেজের বিদেশী শাসনের অবসানের পর   এদেশের রাজনৈতিক নেতারা হাল ধরেছেন৷ দেশে সাধারণ তন্ত্রের শাসন  শুরু হয় ২৬শে জানুয়ারী ১৯৫০ সাল থেকে৷ বর্তমানে সারা ভারতের জাতীয় দল বলতে যা বোঝায়  তার অস্তিত্ব প্রায় নেই বল্লেই চলে৷ সর্বভারতীয় দলগুলি তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে  ফেলেছে৷ বাকি দলগুলির অনেকগুলি আঞ্চলিক দল বা জাতীয় দল ভেঙ্গে গড়ে ওঠা ছোট ছোট দল৷ আর জাতীয়  দল হিসাবে অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, জাতীয় কংগ্রেস আর বিজেপি৷

আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি ও ভারতের ভবিষ্যৎ?

অমৃতাবোধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি খবরে প্রকাশ ২০১৯-এ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা জোটের দলনেতা তথা প্রধানমন্ত্রী প্রোজেক্ট না  করেই প্রথমে মোদী পরিচালিত বিজেপিকে গদিচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপাবেন৷ এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই সাধুবাদ  যোগ্য-কারন দেশের স্বার্থে সবাই প্রধানমন্ত্রী পদের লোভ সংবরণ করেছেন৷ কিন্তু  প্রশ্ণ হল পরস্পর  আদর্শগত বিরোধিতা ভুলে কোন ঘটনামূলক যৌথ কর্মসূচী ছাড়া শুধুমাত্রমোদী হটানোর সেন্টিমেন্টে কয়েক ডজন দল আপাতত এককাট্টা হলেও তাদের সুশাসন ও ভবিষ্যতের  স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ণ থেকেই যাবে৷ তাছাড়া মোদী  যদি হটে যান, তাহলে মোদি হটানো জনিত সেন্টিমেন্টের ও তাৎক্ষণিক অবলুপ্তি ঘটবে৷ আর সেই সেন্টিমেন্টের উপর  গড়ে

তিপ্রাল্যাণ্ড কী সত্যিই বাঞ্ছনীয়?

হরিগোপাল দেবনাথ

আমাদের প্রিয় বাসভূমি ত্রিপুরা এর সাবেকি নাম ছিল পার্বত্য ত্রিপুরা বা হিল ত্রিপুরা আর এই নামের ইংরেজি বানান পূর্বে ছিল (Tipperah) রাজন্য আমলের নির্দেশন স্বরূপ একে রাজগী ত্রিপুরা বলে অভিহিত করা হয়৷ বর্তমানে এই ত্রিপুরার মোট আয়তন হচ্ছে, ১০,৪৯১,৬৯ বর্গকিমি৷ তাও আবার দুটি ভাগে বিভক্ত ঃ--- (ক) এডিসিভুক্ত এরিয়ার আয়তন ৭,১৩২.৫৬ বর্গ কিমি ও (খ)  এডিসি এলাকার বাইরের আয়তন ৩,৩৫৯.১৩ বর্গকিমি৷ প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হচ্ছে যে আয়তনের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে ভারতের যেকোনো রাজ্যের কোন জেলা থেকেও  রাজ্যটির আয়তন কম হবে আর লোকসংখ্যাও কমই হবার কথা৷ সবচেয়ে বড় কথাটা কি ?

৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উপলব্ধি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত২৬শে জানুয়ারী  ভারতবর্ষের ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবস সারাদেশে মহাসমারোহে উদ্যাপিত হলো৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লীর মূল অনুষ্ঠান , সমস্ত রাজ্যসরকারের নিজস্ব অনুষ্ঠানসহ দেশের সব জেলা, ব্লক, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা, এমনকি পাড়ায় পাড়ায়  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ক্লাব ইত্যাদি পর্যায়ে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,নেতা-নেত্রীগণের ভাষণ, রক্তদান শিবির, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ ও বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম প্রভৃতির আয়োজন সূচারুরূপে সম্পন্ন হলো৷ নেতা-নেত্রীগণের বক্তব্যে বলা হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রজাতান্ত্রিক তথা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা, সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার ও দায়ি

গান্ধী, নেহেরু, ব্রিটিশরা একযোগে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সুভাষ বসুকে কংগ্রেস থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন

মানস দেব

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের জন্য জেলে৷ সেই সময় কংগ্রেসের গয়া অধিবেশন চলছে৷ সভাপতি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ৷ সেই অধিবেশনে দেশবন্ধু বললেন, ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ফ্রণ্ট খোলা হবে৷ সেই ফ্রণ্ট হবে আইনসভার ভেতরে৷ ভোটে জিতে ভেতর থেকে সরকারকে অচল করে দেওয়াটাই হবে নতুন কৌশল৷

কিন্তু গান্ধী গোষ্ঠী ভোট বয়কট, অধিবেশন সভা বয়কটের চিল চিৎকার জুড়ে দেশবন্ধুকেই বয়কট করে দিলেন গয়া অধিবেশন থেকে৷

তারপর দেশবন্ধু মতিলাল নেহেরুকে সঙ্গে নিয়ে দল গড়লেন ‘স্বরাজ পার্টি’ নাম দিয়ে ১৯২৪ সালে৷ কংগ্রেসেরও অধিকাংশের সমর্থন পেয়ে গেল স্বরাজ পার্টি৷ আপাততঃ নো-হোয়ার হয়ে গেলেন গান্ধী৷