প্রবন্ধ

২৩শে জানুয়ারীর  কিছু কথা  কিছু ভাবনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাস্তাটা দিয়ে প্রায়ই যাই, কখনো  চোখে  পড়েনি৷ আজ পড়লে৷ মূর্তিটার চারপাশে  বাঁশের  ভাড়া বাঁধা৷ হঠাৎ কেন? ভালোই তো ছিল---কাক শালিখের আশ্রয়স্থল!

সামনে ২৩শে জানুয়ারি৷ নেতাজি, তোমায় স্মরণ  করতে হবে না! সারা বছর তো কাক শালিখের....ভরা থাকে৷  এই একটা দিনের জন্যে একটু ঘসে মেজে ঝক ঝকে করে নিতে হবে৷ তারপর সারা বছর কে আর তোমায় মনে রাখে! কতোই তো খোঁজা  হলো, কোথায় গেলে! আজকাল  আবার সোসাল মিডিয়া---না কী বলে?...ফেক নামে ভেক নামে কতোই না লেখালেখি! তবু তুমি কোথায়--- কেউ জানে না৷

অমর ভাণী

‘‘আমরা এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি একটা উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত---একটা বাণী প্রচারের জন্য৷ আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করিতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়---যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরাপ্রাণ লইয়া আমরাও মর্ত্যলোকে  নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷ যে অজ্ঞাত গূঢ় উদ্দেশ্য আমাদের ব্যর্থ জীবনকে সার্থক করিয়া তোলে তাহা আবিষ্কার করিতে হইবে---ধ্যানের দ্বারা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার দ্বারা’’

---নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

আদর্শ ও জীবন–সাধনা প্রসঙ্গে

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

প্রত্যেক  ব্যষ্টির বা জাতির একটা ধর্ম বা আদর্শ আছে৷ সে Ideal বা আদর্শকে অবলম্বন বা আশ্রয় করিয়া সে গড়িয়া ওঠে৷ সেই Ideal–কে সার্থক করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং সেই Ideal বা আদর্শকে বাদ দিলে তার জীবন নিষ্প্রয়োজন ও অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ দেশ ও কালের গণ্ডীর মধ্যে আদর্শের ক্রমবিকাশ বা অভিব্যক্তি একদিনে বা এক বৎসরে হয় না৷....আদর্শ একটা প্রাণহীন বস্তু নয়৷ তার বেগ আছে, গতি আছে৷ প্রাণ–সঞ্চারিণী শক্তি আছে৷....

তোমার আসন শূন্য আজও, হে তাপস নেতাজী

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃৃতা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্(Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ  ফুসফুসে ক্যানসাব, হৃদরো, ব্রঙ্কাইটিস্(Bronchitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা(Peptic ulcer) ইত্যাদি৷

নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা প্রসঙ্গে

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা প্রসঙ্গে আলোচনা করার আগে বর্তমান সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল হকিকত একটু দেখে নেওয়া প্রয়োজন৷ কয়েকমাস আগে খবরের শিরোণামে আসা ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস শহরের রেস্তোরায় বিক্রি তথা ভাগাড় কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ‘নোতুন পৃথিবী’ পত্রিকায় একটা প্রবন্ধ লিখেছিলুম৷ যার শিরোণাম ছিল ‘সমাজের ভাগাড়ায়ন---উত্তরণ কোন্ পথে’৷ সেখানে অবক্ষয় অর্থে ভাগাড়ায়ন শব্দটি ব্যবহার করেছিলুম৷  সমাজের সর্বক্ষেত্র কীভাবে অবক্ষয়ের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে তা বলতে গিয়ে আমি শিক্ষাক্ষেত্র, রাজনৈতিক ক্ষেত্র ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের ভাগাড়ায়ন কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে তার ব্যাখ্যা করেছিলুম৷ বর্তমানে ভারতের নামী

সকল মানুষের  ধর্ম এক

অরুণাভ সরকার

‘‘স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ, পরধর্র্মে ভয়াবহঃ৷’’ গীতোক্ত এই  আপ্তবাক্যের  সাধারণভাবে  যে অর্থ করা হয় তা হলো --- যে যে ধর্মমতে  বিশ্বাসী তার কাছে  সেই ধর্মটি  শ্রেষ্ঠ৷ অপরের ধর্ম  গ্রহণ করা বা ধর্র্মন্তরিত  হওয়া ভয়াবহ৷ তাই বিভিন্ন  ধর্ম মতাবলম্বীই  এ আদর্শ গ্রহণ করে নিজ নিজ ধর্মমতের  স্বপক্ষে অকাট্য যুক্তির  অবতারণা  করে থাকেন৷ কিন্তু  প্রকৃত অর্থ কি তাই?

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও নীতিহীন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি

বর্তমান রাজনীতি যে কতটা আদর্শহীন প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা  অহঃরহ  পাচ্ছি  সংবাদপত্রের বিবিধ প্রতিবেদনের  মাধ্যমে৷ প্রায়শই প্রতিবেদনের খবরে দেখা  যাচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর৷ এই জাতীয়  খবর সংশ্লিষ্ট অঞ্চল অর্র্থৎ যেসব এলাকায়  ঘটনাগুলি  সংঘটিত  হয় সেইসব অঞ্চলে তৈরী হয় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল সম্পর্কে একটা  নেতিবাচক মনোভাব৷ মুখে  কেউ কিছু  বলার  সুযোগ  পান না কিন্তু  এটা ভুললে চলবে না যে নেতিবাচক  মনোভাব  থেকে জনবিস্ফোরণ  ঘটতে  বেশি  দেরি হবে না৷

এভাবে বন্ধ ডেকে কার ভালো করতে চায় নেতারা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৪৮ ঘণ্টার ভারত বন্ধ ডেকেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও তাদের লেজুর শ্রমিক সংঘটনগুলি৷ কিন্তু এই বন্ধ কার স্বার্থে? জনগণের কী লাভ এই বন্ধে? যাদের বিরুদ্ধে ডাকা এই বন্ধ, তাদেরই বা কী ক্ষতি? এদেশের মানুষের ৯০ শতাংশের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক চেতনা নেই বললেই চলে৷ থাকলে বন্ধের নামে রাজনীতি ব্যবসা অনেক দিন আগেই লাটে উঠত৷