প্রবন্ধ

বাঙালিদের নিজস্ব বাসভূমি কোথায়?

সুকুমার সরকার

বাঙালির দেশ কোনটি? এই প্রশ্ণ  আজ বাঙালিদের  সামনে  বড় হয়ে  দেখা দিয়েছে৷  অসম, বিহার, মণিপুর, ঝাড়খণ্ড, ওড়িষ্যা, ত্রিপুরা, আন্দামান, দণ্ডকারণ্য সহ বর্তমান ভারতের  বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাঙালি  বিতাড়ণ চলছে৷  বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে  দেশ ভাগের  কুফল হিসেবে  আজও হিন্দু  বাঙালি মুসলমান  বাঙালি বিতাড়িত হয়ে চলেছে৷ পশ্চিমবঙ্গে কুর্মী বাঙালী, রাজবংশী বাঙালী , মতুয়া বাঙালী করে  বাঙালীদের বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে৷ আরাকান  বাঙলার  বাঙালিদের দুর্দশার  চিত্র  তো বিশ্ব  বিবেক  কেড়েছে৷ কিন্তু  কেন?  বাঙলা ও বাঙালির  এত  দুরাবস্থার  পিছনে  কারনটাই  বা কী?

চলুন, সুখী সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ে তুলি!

জহরলাল সাহা

১০ই ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে  ত্রিপুরার   অন্যতম  দৈনিক  স্যন্দন পত্রিকায়  শ্রদ্ধেয় শম্ভূদেববর্মা ‘‘প্রসঙ্গ এন.আর.সি ও ত্রিপুরা’’  শিরোনামের প্রবন্ধটি সাম্প্রতিককালে একটি উৎকৃষ্ট সমালোচনামূলক  আলোচনা৷  এতে তিনি  সম্মানিত  হরিগোপাল  দেবনাথ, রঘুবীর দাস, জহরলাল সাহা, গৌরাঙ্গরুদ্র পাল, রঞ্জিত  বিশ্বাস,  শংকর দাশ, কপিল  তালুকদার, সংবাদ  প্রতিনিধি  ও জগদীশ  মন্ডল  মহাশয়গণের  লেখার  কিছু সমর্থক  ও কিছু  বিরোধিতা করেছেন৷ সমালোচনা  এক তরফা  হওয়া  উচিত  নয়৷  শ্রী দেববর্মার  গতি ছিল উভয় দিকেই৷ এটা  অবশ্যই  ধন্যবাদই৷

প্রথমেই  আমি মাননীয় শম্ভুবাবু যে যে  কথাগুলো  সমর্থন  করেছেন৷  তা হলো ---

অবশেষে বাধ্য হয়ে জি.এস.টি.-র দিকে নজর কেন্দ্রের

মুসাফির

আজ জনগণের মনে অনেক প্রশ্ণ জমে উঠেছে কারণ গত ৫টি রাজ্য নির্বাচনে  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পকেটে কোন রাজ্যেরই  আশাপূরণ ফল আসেনি তাই জি.এস.টি.

আদর্শ সমাজ গড়ার নোতুন ভাবনা

সত্যসন্ধ দেব

দুর্নীতিতে সারা দেশ ছেয়ে গেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েৎ স্তর পর্যন্ত সর্বত্র দুর্নীতির রাজ্যপাট চলছে৷ বলা বাহুল্য, ক্ষমতার সঙ্গে দুর্নীতির যোগসাজসটা সর্বাধিক৷ কারণ, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই দুর্নীতির রাজ্যপাট বিস্তারের সুবিধা৷ প্রশাসনিক ক্ষমতার সাহায্য পেলে দুর্নীতির আর ভয়–ডর কিসের?

গণতন্ত্রে যাতে মানুষের অবস্থা ফেরে সেদিকে রাজনৈতিক দলগুলির লক্ষ্য রাখাটা পবিত্র কর্ত্তব্য

প্রভাত খাঁ

 ভারত নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র৷ তাহলে দীর্ঘ ৭১ বছর পর পাঁচটি রাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রায় নয় লক্ষ বোটার নোটায় বোট দিয়েছেন কি কারণে ? এর কারণটা যে কতো বড়ো এটা রাজনৈতিক দলগুলির কাছে অশনি সংকেত৷ সেটা কি সরকারগুলি ভেবে দেখেছেন?

সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-মন্দ 

বীরেশ্বর  মাইতি

 প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার  পাশাপাশি  সোশ্যাল  মিডিয়া  নামক  একটি  নোতুন  জগতের  সাথে  আমাদের  পরিচিতি  ঘটেছে৷  একবিংশ  শতাব্দীর  সূচনা  লগ্ণ  থেকেই  সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা  শুরু৷  বর্তমান সময়ে  এর  প্রভাব  ও বিস্তার  উপেক্ষা করার  মতো নয়৷ আট  থেকে  সোশ্যাল মিডিয়ায়  পথ চলা  শুরু৷ বর্তমান  সময়ে  সব বয়সের মানুষের কাছেই  সমাদর  লাভ করেছে ফেসবুক , হোয়াটস অ্যাপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷

ছিন্নভিন্ন  মানব সমাজকে  একসূত্রে  বাঁধতে  আজ একান্ত জরুরী আধ্যাত্মিক নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

যে যাই বলুক  ও চিন্তা  করুক যা বাস্তব  সত্য তা হলো মানুষ  সমাজবদ্ধ প্রাণী৷ এই কারণেই  প্রাচীন ভারতবর্ষের  সমাজবেত্তাগণ ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্রকে  চলার পথে  ধ্রুবতারা বলেই  মান্যতা দিয়েছেন৷

প্রাউটের প্রকরণ ও প্রস্তাবনা

ড. দিলীপ হালদার, (অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)

প্রোগ্রেসিব ইয়ূটিলাইজেশন্ থিওরি Progressive Utilization Theory) কথাটাকেই সংক্ষেপে প্রাউট(PROUT) বলা হয়৷ প্রাউট প্রভাতরঞ্জন সরকারের একটি মৌলিক আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব৷ বাংলায় প্রাউটকে তিনি প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বলেছেন৷ এর উদ্দেশ্য হ’ল মানুষের জাগতিক দুঃখ-কষ্ট লাঘব করে পরমার্থ লাভের সন্ধান দেওয়া৷Progressive-এরPRO, Utilization-এরU ওTheory-রT এই তিনটি অংশ মিলে প্রাউট কথাটার সৃষ্টি৷ প্রতিটি অংশেরই আলাদা-আলাদা মানে আছে৷

বাঙলা  ভেঙ্গে  অসম

একর্ষি

অসম রাজ্যের  সিংহভাগ  বৃহত্তর  সাবেক বাঙলারই  খন্ডিত  অংশ৷  আজও  বাঙালীরাই  অসমের  সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ  ও তার বাঁয়া  হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ  ইতিহাসকে  বিকৃত  করে ভুল তথ্য  দিয়ে বাঙলা  থেকে  কাটা অসমের  ভূমিপুত্র  বাঙালীদেরই  গায়ে  বিদেশী অনুপ্রবেশকারী  দখলদার  লেবেল  সেঁটে  দিয়েছে,  ডি-ভোটার বানিয়েছে৷  এন.আর.সি ইস্যু তৈরী  করে বাঙালীদের  রাতের ঘুম  কেড়ে  নিয়েছে৷ বিপন্নতা বাঙালীদের গ্রাস  করেছে৷ অনিশ্চিত  ভবিষ্যতের  আতঙ্কে চলছে  আত্মহত্যা, চলছে  খুন , ধর্ষণ,  অপহরণ,  ‘বাঙালী খেদানো’রহুমকি৷ জঙ্গী  অহোমরা  পাঁচ  নিরীহ নিরাপরাধ  অসহায়  বাঙালীকে  কুকুর -ছাগলের  মতো   গুলি  ক

প্রাউটের কৃষিনীতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কৃষি অর্থনীতির ভিত্তি৷ কৃষি গোটা সমাজেরও ভিত্তি৷ একটা বহুতল বাড়ীর ভিত্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে তা ভেঙ্গে পড়ে৷ তেমনি কৃষি ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হলে সমগ্র সমাজের বির্পযয় দেখা দেবে৷ বর্তমানে ঠিক হচ্ছেও তাই৷ এ অবস্থায় উচিত কৃষিকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো৷ বলা হয়, That which is wrong in principle, must be wrong in detail.

মূলনীতিতে ত্রুটি থাকলে, সমস্ত ব্যবস্থাটাই ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাবে ও পরিশেষে তা ধবংস ডেকে আনবে৷ তাই মূলনীতির দিকে আগে দৃষ্টি দেওয়া উচিত৷