প্রবন্ধ

রাজনৈতিক দলগুলি  সংযত হোক ঃ এ রাজ্যের  জনগণকে আরও সজাগ হতে হবে

প্রভাত খাঁ

 এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এদেশে ২০১৩-২০১৪ অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির যে হার  ছিল ২০১৭তে  সেই উন্নতির  হার অনেক কমেছে৷ সেই কারণে  কর্ষকদের  মধ্যে মৃত্যুহার ও হাহাকার  বাড়ছে৷ তাঁরা অনেকেই  আত্মহত্যা করছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের লেবার ব্যুরোর প্রাপ্ত  সংবাদে জানা যায় ১লা এপ্রিল থেকে  জুলাই  ২০১৭তে ৪৭ হাজার চাকরীর অবলুপ্তি হয়েছে৷ ছোট ব্যবসায়ী যারা  ধান বিক্রি করে ৯ শতাংশ লাভ করেছিল৷ সেই পরিমাণ কমে ৫ শতাংশ হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক যোগদিবস ও আমরা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত কয়েক বছর যাবৎ জুন মাসের ২১ তারিখ দিনটিকে ‘‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’’রূপে পালন করা হচ্ছে ও সেই দিবসে সংবাদপত্র, দূরদর্শন তথা অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়া যেমন-ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে যোগচর্র্চর সুফল সম্বন্ধে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়৷ গণমাধ্যম গুলিতে দেখা যায় মন্ত্রী সান্ত্রী, ষড়যন্ত্রী, কূটতন্ত্রী, লুটতন্ত্রী সকলেই যে যার মতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন, পেট ফোলানো কমানো, নাকটিপে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্ষেপন, বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিশাল প্যান্ডেলে বহু মানুষজন একসাথে যোগব্যায়াম প্রদর্শন-প্রশিক্ষণ কর্মে ব্যস্ত৷ খুবই আনন্দের বিষয় যে, এইভাবে যোগদিব

নব্যমানবতা চাই

জিজ্ঞাসু

সভ্যতার পনেরো হাজার বছর পার হবার পরেও, পৃথিবীতে এত দুঃখ, অসুখ, যন্ত্রণা, অবিচার, নিষ্ঠুরতা কেন? এত হতাশা, ভয়, যুদ্ধ কেন? কারণ মনে-প্রাণে ইচ্ছা-এষণাতে আমরা যে একটাই, প্রাণ, বস্তু, শক্তি, চেতনা মিলিয়ে আমরা যে এক, অনন্ত অখণ্ড এক সেই শিক্ষাই আমাদের নেই৷ এই অদ্বৈত জ্ঞান যতক্ষণ না আসছে, বুদ্ধির মুক্তি যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অন্ধ হয়েই থাকব৷

যুদ্ধ ও শান্তি - প্রতিরক্ষার আড়ালে বহুজাতিক মুনাফা

মিহির কুমার দত্ত

ভারতবর্ষ কি আজ খুব বিপদে? তার চারিদিকে কি শত্রুরা আক্রমন শাণাবে বলে সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধের সাজসরঞ্জাম নিয়ে হাজির? তাহলে আমরা প্রত্যেক ভারতবাসী চরম নিরাপত্তার সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি! ভাবার বিষয় বটে৷

আমরা ভারতবাসী হিসেবে আমাদের চারিদিকে যে সকল প্রতিবেশী দেশ যেমন বাংলাদেশ -নেপাল-ভূটান-চীন-শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে পাই৷ ভারতের কাছে এই মুহুর্তে বিশেষ প্রতিবেশীর জায়গা হিসেবে চীন ও পাকিস্তান সবার আগে৷ কারণ এই বিশেষ প্রতিবেশী দেশ আবার আমাদের বিশেষ চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে সময় সময়৷ চিন্তাটা আক্রমনের , চিন্তাটা দেশের সার্বভৌমত্বের, চিন্তাটা অধিকার হরণের মতো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত৷

‘সামাজিক বোঝা’

জিজ্ঞাসু

মানুষের দেহ পেলেই তাকে মানুষ বলা যাচ্ছে না৷ যুক্তি বুদ্ধির মুক্তি যেখানে নেই, নিজের সামর্থ্যকে চেতনায় বিস্তারিত করার এষণা যার নেই, বিশালকে দেখে বা অতি ক্ষুদ্র জিনিসে লুকোনো সুন্দরকে দেখে যদি সে বিস্মিত হতে না জানে, দুর্গম অজানাকে জানার অনন্ত জিজ্ঞাসা যার নেই, পরিশ্রম নেই তেমন স্বার্থপর মানুষ হ’ল অসহায় পোকার মত৷ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এদেরকেই বলেছেন ‘লোক না পোক’৷ এরা থাকা না থাকা সমান৷ মানুষ হিসেবে এরা ‘সামাজিক বোঝা’৷ এদের মধ্যে অনেকের তথাকথিত ডিগ্রি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের, চাকরী বা ব্যবসা আছে, ভালো পোষাক আছে গায়ে, দুনিয়ার খোঁজ-খবরও রাখে আর তাই নিয়ে তর্ক করে৷ জীবনে কোনদিন ফুটবলে পা লাগায়নি এমন মান

অবহেলিত  বীরভূম সম্বন্ধে   দু’চারকথা

প্রভাত খাঁ

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার  তাঁর ‘বাংলা  ও বাঙালী’ গ্রন্থের  প্রথম  খন্ডে  ‘সভ্যতার  আদিবিন্দু রাঢে’  বীরভূম সম্বন্ধে  বলেছেন---‘‘অষ্ট্রিক ভাষায় ‘বীর’ মানে অরণ্য৷ সাঁওতাল  পরগণা জেলার  রাজমহল ও পাকুড় মহকুমা, বর্তমান বীরভূম  জেলার  রামপুরহাট  মহকুমা, মুর্শিদাবাদ জেলার  কান্দি মহকুমা ও রাঢ় অংশে (ভাগীরথীর পশ্চিম তীরবর্ত্তী অঞ্চলে)  বীরভূমের সিংহ  পদবীধারী কায়স্থ  রাজারা রাজত্ব করতেন৷ এঁরা বহুকাল  বৌদ্ধধর্মকে  ঠেকিয়ে  রেখেছিলেন৷’’

নেশা ছাড়ুন, নেশা ছাড়ান, নেশামুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

আজকের আধুনিক সভ্য সমাজে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হ’ল মাদকের নেশা৷ মাদক বলতে শুধু মদই নয় মদ, গাঁজা, আফিম, সিদ্ধি, ভাঙ্, ড্রাগ, হেরোইন, তামাক, গুটকা ইত্যাদি সব ধরণের উগ্র নেশাদ্রব্যকেই এককথায় মাদক বলা হয়৷ এ কথা হয়তো অনেকেই জানে না যে, যে কোন মাদকের নেশাই শরীর ও মনের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর–

          ১৷     মাদকের নেশায় শরীর–স্বাস্থ্য নষ্ট হয়

          ১৷     লিভার, কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়

          ২৷     ক্যানসারের মত প্রাণঘাতী রোগের আক্রমণ ঘটে

          ৩৷     মস্তিষ্ক্ ও স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়

          ৪৷     বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়

ডি.এ নিয়ে হইচই! সাধারণ মানুষের কথা ভাববে কে?

প্রভাত খাঁ

আর্থিক উন্নয়ন, বেকার সমস্যা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ---এসব ঠান্ডা ঘরে পড়ে৷ ডি.এ নিয়ে হইচই হচ্ছে সরকারী কর্মচারীদের জন্য৷ আলোচনা করা যাক ব্যাপারটা কতদূর গড়াচ্ছে৷ প্রায় তিন বছর হলো গত ২৭.১১.২০১৫ সালে রাজ্য বেতন কমিশন বসান রাজ্য সরকার৷ কমিশন কোন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন নি৷ কমিশনের আগামী ২৬/১১/২০১৮তে রায় দেওয়ার কথা কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সরকার ১৮ শতাংশ ডি.এ ঘোষণা করলেন ১৯শে জুন ২০১৮তে ৷ আর এটা নাকি দেওয়া হবে রাজ্য সরকারী ও আধা সরকারী কর্মীদের আগামী ২০১৯ সালের ১লা জানুযায়ী থেকে৷ জানুয়ারী মাস আসতে তো বেশ কিছুমাস বাকি?

নেশার কবল থেকে নিজেকে ও সমাজকে মুক্ত করুন

সমাজবন্ধু

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

এশিয়াবাসী  আশা করে  চীন এস.সি.ও-কে পূর্ণ মর্যাদা দেবে ও মানবসভ্যতাকে রক্ষা করবে

মুশাফির

মনে পড়ে ২০০১ সালে সাংহাই  শহরে এক আন্তর্জাাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সম্মেলনে  রাশিয়া, চীন, কিরগিজ রিপাবলিক, কাজাকাস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান-এর প্রেসিডেণ্টরা মিলিত হয়ে  সাংহাই কোপারেশন অর্র্গনাইজেশন (এস.সি.ও)   স্থাপন  করেন৷  গত ৯ই জুন এই এস.সি.ও.-র বার্ষিক  সম্মেলন  হয়  কুইংদাও নামক চীনের  বন্দর শহরে৷ এই বন্দর  শহরে  চীনের  প্রেসিডেন্ট মাননীয়  জিংপিং-এর আমন্ত্রণে ভারতের  প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন৷ এখানে  পৃথক ভাবে শ্রী মোদি ও জিংপিং-এর মধ্যে এক গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হয়৷ সেই আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় সন্ত্রাস মোকাবিলা ও মৌলবাদের  বিরুদ্ধে  যৌথ লড়াই -এর আহ্বান৷ প্রকৃতপক্ষে এশিয়ার  দু