প্রবন্ধ

সমাজ বিপ্লবের রণকৌশল

মোহন সরকার

একটি ফুল  অথবা  একটি ফুলের মালা৷ কোনটি অধিক নয়নাভিরাম? সকলেই বলবেন মালাটি৷  কেননা মালাটি বহুফুলের বৈচিত্র্যের  সমাহার৷ তবে এর পাশাপাশি আর  একটি তথ্য মনে রাখতে হয়, মালাটির সৌন্দর্য ও চমৎকারিত্ব পরিপূর্ণভাবে প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্য্যেকে আশ্রয় করেই৷

সমাজের ‘ভাগাড়ায়ন’---উত্তরণ কোন পথে ?

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

কিছুদিন ধরে ভাগাড় থেকে মৃত পশুর পচা মাংস কলকাতাসহ শহরতলির  হোটেল-রেস্তোরাগুলিতে  সরবরাহের খবরে  রাজ্য-রাজনীতি সরগরম৷ দক্ষিণ ২৪পরগণায় বজবজেব ভাগাড় থেকে  মৃত পশুর পচামাংস  পাচারের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে৷ পাচারের সাথে যুক্ত  স্থানীয় এক ব্যষ্টি ধরা পড়ে৷ প্রথমে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অনেকের মনে হলেও পরে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে৷ পুলিশের তৎপরতা ও তল্লাশির ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক ভাগাড় থেকে মৃত পশুর  পচামাংস  হোটেল-রেস্তঁোরায় সরবরাহের ঘটনার কথা  আসে৷ জানা যায়, পুলিশের ধারণা এর পিছনে আছে এক বিরাট চক্র৷  এই চক্রের মূল পান্ডা বিশু ধরা পড়ে৷ পুলিশি জেরায় তার কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ১০ বছর ধরে সে

মানব জন্ম এক বিস্ময়

জিজ্ঞাসু

মানুষের জন্ম যেখানেই  হোক, তার একটা বিশেষ  স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে সে বেড়ে ওঠে৷  এই পৃথিবীর  সব দেশের সব ভাষার মানুষের  মধ্যেই  একটা বিশাল মিল আছে৷ অন্য প্রাণী থেকে  তার অনেক অমিল৷ মানুষেরও প্রাণ আছে  সে অর্থে  প্রাণী হলেও, অন্য প্রাণীর  তুলনায়  মনের জগতে, প্রশ্ণের  জগতে, যুক্তি বুদ্ধির জগতে, জটিল মনস্তত্ত্বের  জগতে, সূক্ষ্ম অনুভব বা মানবিকতার জগতে  মানুষ অনেক এগিয়ে৷ অন্য প্রাণী এ বিষয়ে  অসহায়৷ আহার, নিদ্রা,  ভয়, সংখ্যাবৃদ্ধি+ অস্তিত্বের  জন্য আক্রমণ ও হত্যা  কিংবা  মৃত্যুবরণ  এতেই  সীমাবদ্ধ প্রাণী জীবন৷ ওই  হল সাধারণভাবে  প্রাণী জীবন৷ ওই হল সাধারণভাবে  প্রাণীধর্ম বা প্রাণধর্ম৷

৫ই জুন পরিবেশ দিবস - পরিবেশ রক্ষা ও নব্যমানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আমাদের চারপাশের জলবায়ু, গাছপালা, মাটি,  অন্যান্য প্রাণী, মানুষ, জৈব ও অজৈব সমস্ত কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ৷ পৃথিবীর পরিবেশ জীব বিকাশের  পক্ষে অনুকূল বলেই এই পৃথিবীতে মানুষের বাস৷  অথচ সৌরজগতের আর কোথাও বা বিশ্বব্রহ্মান্ডের  কোথাও এখন মানুষ জীবের সন্ধান পাচ্ছে না৷ হয়তো বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও না কোথাও জীব আছে৷ হয়তো, দূরবর্তী কোনো নক্ষত্রের সংসারে৷ যেমন এ সূর্যের  সংসারে পৃথিবী--- এমনি কোনো পৃথিবী আছে সেখানে হয়তো মানুষ আছে, কিন্তু এখনো আমাদের  বিজ্ঞানীদের জানার বাহিরে৷  তাই এখন আমরা বলতে পারি, এ সুবিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে একমাত্র পৃথিবীর পরিবেশ মনুষ্য বসবাসপোযোগী৷ এর বাইরে মানুষের  বাঁচবার বেড়ে

জঙ্গল মহল আজও পরিবর্তন চায়

হরনাথ মাহাত

পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলো৷  জঙ্গলমহল এবার  তৃণমূল  দল থেকে  বিজেপি  দলকে বেশী পছন্দ করেছে৷ কেন? কী তার জবাব?  উত্তর কারোর জানা  নেই৷ প্রথমে  কংগ্রেস, সিপিএম  তারপর  মাওবাদী এর পর তৃণমূল এখন বিজেপি  দলকে সামনে এনে মুখের স্বাদ পরিবর্ত্তন  করার একটা  প্রবনতা স্থানীয়  নেতাদের  ইচ্ছা জাগে  আর সাধারণ  মানুষ ভেড়ার  পালের  মত তাঁদের  পিছনে  দৌড়ায়৷ (আমি ইচ্ছা করে রাঢ়ের  বা জঙ্গলমহলের  মানুষকে  ভেড়া  বলিনি৷  আমার গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী খুবই শ্রদ্ধা করতেন আমিও করি৷ পরিস্থিতি বলতে বাধ্য করেছে)

অধ্যাপক ভাস্কর পুরকায়স্থ স্মরণে

আচার্য রবীশানন্দ অবধূত
Bhaskar Babu

অধ্যাপক ভাস্কর পুরকায়স্থের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১১ সাল থেকে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধান  ডঃ দিলীপ হালদার আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ভাস্কর পুরকায়স্থের সঙ্গে৷ ২০১১ সালের জুন মাসে আনন্দ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে  একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল মৌলালী যুবকেন্দ্রে৷ সেই সভায়  অধ্যাপক পুরকায়স্থ বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন৷ তিনি প্রাউটের  সমবায় পদ্ধতির অভিনবত্ব ও সদবিপ্রতন্ত্র সম্পর্ক

আধ্যাত্মিকতাই  জীবনের পরশমণি

বাদল মজুমদার

 ধর্মের নামে ভণ্ডামির  বিরোধিতা করতে   গিয়ে  অনেকেই  ধর্ম নামক বিষয়টাকেও দোষারোপ করছেন৷  ওই সব ‘যুক্তিবাদী’,  সমালোচকদের বোঝা উচিত, মানব সমাজে  ভণ্ডামির  মাধ্যম শুধু  ধর্ম নয়৷  রাজনীতি ক্ষেত্রে কি ভণ্ডামি নেই? ধর্মের  নামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়৷ রাজনীতির নামে কি দাঙ্গা হয় না?  বর্তমান যুগে  ধর্মের ভেকধারী দুবৃর্ত্তদের চেয়ে রাজনৈতিক মুখোশ পরা শয়তানদের  সংখ্যা অনেক বেশী৷ তাবলে  কি রাজনীতি নামক বিষয়টাই  খারাপ?

দেশভাগ, সাম্প্রদায়িকতা ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক ব্যর্থতায় ও ৭১ বছরেরর দুর্বল শাসনে গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস

প্রভাত খাঁ

আমরা অখন্ড ভারতবর্ষকে খন্ড খন্ড করে  রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাই ১৯৪৭ সালের  ১৫ই আগষ্ট৷ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারীর দিনটিকে আমরা সাধারণতন্ত্র  দিবস হিসেবে ঘোষণা করি৷

তাই আজ  ৭১ বছর  হলো  আমরা গণতান্ত্রিক  রাষ্ট্রে বাস করছি৷ পা পা করে  অনেক বছর হলো ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে  পাশাপাশি  রয়েছে৷ স্মরণে থাকে  যে পূর্ব-পাকিস্তান অর্থাৎ  পূর্ব বাংলাই বাংলাদেশ হয়  পরবর্ত্তীকালে  বাংলাভাষা আন্দোলনের  মাধ্যমে৷

জাগৃতি

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহের (ওই মহামানব  আসে) লেখাটি পড়ে কারো কারো মনে এমন প্রশ্ণ জেগেছে, মানুষ যদি বিজ্ঞানীর ল্যাবেই  অতি মানব বানিয়ে  নিতে পারেন, তবে  ব্যষ্টিগত বা সামুহিক জীবনে আধ্যাত্মিক  অনুশীলনের তো প্রয়োজনই নেই৷ গতবারের লেখা কে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি৷ দুঃখিত ৷ আজ সমগ্র পৃথিবীটা অনিশ্চয়তা ভয় ও দুঃখের সাগরে ভাসছে৷ বিজ্ঞানের  বেশ খানিক অগ্রগতির পরও দারিদ্র্য শোষণ অসুখ সন্দেহ লেগেই  আছে৷ কারণ? মানুষ যুক্তি-বুদ্ধির অখন্ডচেতনার বোধের মিলন ঘটাতে  পারেননি৷ তাতে কি হল?

ক্ষমতা লাভের  লালসাতে মত্ত হয়ে মিথ্যা স্তোক বাক্য শুণিয়ে মানুষের  প্রকৃত কল্যাণ করা যায় না

কৃষ্ণমোহন দেব

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সিপিএমের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের  জন্যে জনগণ মমতার  নেতৃত্বে সিপি এমের  ৩৪ বছরের কুশাসনের অবসান ঘটিয়ে মমতাকে  ক্ষমতায়  এনেছে৷ তাই বলছিলাম সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কেউই শান্তির পায়রা নয়৷