প্রবন্ধ

অরণ্য বিস্তারের নামে চলছে  জমি দখল, মোদির বানানো জাতীয় অরণ্যনীতি ধবংস করবে অরণ্য

মহির কুমার দত্ত

(১) সম্প্রতি  পশ্চিমবঙ্গ সরকার  বক্সা সংরক্ষিত অরণ্য গড়ে  তোলার অজুহাতে অরণ্যের  মধ্যে  থাকা গ্রামগুলোকে  উচ্ছেদ করতে  শুরু করেছে৷

(২) ইতোমধ্যে  অসমের  বিজেপি সরকার সেখানকার  অভয়ারণ্য বৃদ্ধি করার নামে  বহু গ্রামের গ্রামবাসীদের  গ্রাম ছাড়া করে দিয়েছে৷

(৩) ঝাড়খন্ডের  যদুটোলা গ্রামের  বাসিন্দারা অরণ্য উচ্ছেদের  বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ  জানালে  পুলিশ  সেই গ্রামের  সকল মানুষদের  বিরুদ্ধে  আইন শৃঙ্খলা ভাঙ্গার  অভিযোগে  মামলা দায়ের  করে গত ১৩ অক্টোবর , ২০১৭ সালে৷

ওপার বাঙলা ও এপার বাঙলার বাঙালীদের অর্থনৈতিক করুণ চিত্র

সুশান্ত দেব

সোনার বাংলা! সে কি আর আদৌ আছে! না সেই বই---কবিতা, পদ্য, গদ্যের মধ্যেই সোনার বাংলার সীমাবদ্ধতা৷ সোনার বাংলায় শাসক আসে আর যায়৷  বাংলা মায়ের  মলিন মুখ সেই তেমনি থাকে৷ জনগণের  সার্বিকভাবে  উন্নতি আর হয় না৷ রবীন্দ্রনাথের সোনার  বাংলা, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, নজরুলের বিদ্রোহী বাংলা আজ বেকারত্বের জ্বালায় পুড়ে ছারখার৷ কোথায় সেই  সোনার বাংলা! কোথায় সেই  সারা ভারতকে  পথ দেখানো সেই বাংলা?

প্রতি বছর ৫০ লাখ লোক মারা যায় ধূমপানের কারণে

ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশনের মতে নিকোটিন গ্রহণের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ লোক মারা যায়৷ ডব্লিউ–এইচ–ও–র মতে ধূমপান বন্ধের ব্যাপারে কোন দেশের সরকার তেমন কড়াকড়ি করে না৷ মৃত্যুহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে৷ সারা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর প্রায় ৯৫ শতাংশই কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারে না৷ ধূমপান করে৷ এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই মৃত্যুহার গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ লাখে৷ তাদের তথ্য থেকে আরো জানা যায়, সেকেণ্ড হ্যাণ্ড ধূমপান অর্থাৎ ধূমপানের ধোঁয়া থেকে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ৬ লাখ লোক৷ ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যে ডব্লিউ–এইচ–ও ২০০৩ থেকে সারা বিশ্বের প্রায় ১৭০

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা

যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’

পরম পুরুষের আকর্ষণ

(গত ২৬শে সন্ধ্যায় আনন্দনগর ধর্মমহাসম্মেলনে রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্র্স্যলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আচার্য কিংশুকরঞ্জনজীর ভাষণ ঃ আচার্য মোহনানন্দ অবধূত কর্তৃক  অনুলিখিত ও সংক্ষেপিত)

ধার্মিক ব্যাষ্টির বৈশিষ্ট্য হল , সে সংশ্লেষণের  পথ ধরে এগিয়ে  যাবে৷  নিজে কেবল  ধার্মিক ব্যষ্টি হলে যথেষ্ট নয়, তাঁর আচরণ  যেন ধর্মসম্মত  হয় তা দেখতে হবে ৷ নেতারা  বিশ্লেষণের  পথ নিয়ে চলে  আর  তা চলে  স্বার্থপূর্ত্তির উদ্দেশ্যে৷ কিন্তু ধার্মিক ব্যষ্টি  বা সাধক  চলবে সেবা-মানসিকতা নিয়ে৷ এতে  মানসিক শক্তির  প্রচুর  বিকাশ ঘটবে৷

ভাবজড়তার মায়া জাল

জিজ্ঞাসু

কুসংস্কার, অন্ধকারে শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে অন্ধবিশ্বাস, বহুদিনের  পুরাতন  কুভ্যাসের মানসিকতার অন্য নাম ‘‘ভাবজড়তা’’ বা ডগমা৷ একটা অজগর সাপ  অনেকগুলি  প্যাঁচে  একজন  মানুষকে  জড়িয়ে  ধরেছে, মাথাটা সবে মাত্র সাপের  মুখে ঢুকেছে৷ মানুষটি নামে মাত্র বেঁচে আছে৷ এবার কল্পনা করুন যাবতীয় যুক্তি বুদ্ধিহীন অন্ধবিশ্বাসই  ওই অজগর সাপ৷ ভাবজড়তাই যেন অজগরের মত বুদ্ধিকে গিলে নেয়, মানুষের তখন বেঁচে থাকা না থাকা সমান৷ সে অসহায়, আশাহীন, হতাশ৷ এমন সাপের  (ভাবজড়তার) বিষয়ে সজাগ করতেই এই লেখার অবতারণা৷

মহান ভারতবর্ষের কয়েকটি খণ্ডচিত্র

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

‘‘নিঃস্বার্থ প্রেষণায় হৃদয়ে মিলিলে হৃদয়

ধুলার ধরনী সততঃ হয় মধুময়৷’’

সুপ্রাচীনকাল থেকে আধ্যাত্মিকতার  নিগড়ে বাঁধা হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের মিলন, প্রেম-প্রীতি,  ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শই ভারতবর্ষের  সনাতন    ঐতিহ্য৷ এই ঐতিহ্যের জন্যেই সুদীর্ঘকাল ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  মানুষ ছুটে  এসেছে এই দেশে, আপন  করে নিয়েছে এই দেশের  মাটি, মানুষ ও সংস্কৃতিকে আর  এদেশের মানুষও অতিথিদের  নারায়ণ জ্ঞানে  সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে৷ এই  দেয়া-নেয়ার মধ্য দিয়েই গড়ে  উঠেছে সুমহান ভারতবর্ষের  মৈত্রী, শান্তি ও মহামিলনের পরম্পরা৷ তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘‘ভারততীর্থ’’   কবিতায় বলেছেন---

অর্থনৈতিক মন্দায় কাজ হারানোর ফলে চীনদেশের শ্রমিকরা জঙ্গি আন্দোলনের পথে

মিহির কুমার দত্ত

অনেকদিন আগেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকদের  পিছনে ছুরি মারা শুরু করেছে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে তারা নিজেদের  শ্রমিকশ্রেণীর  প্রতিনিধি হিসাবেই জাহির করে এসেছে৷ সেই চীনেই এবছরের প্রথম দশ সপ্তাহের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী শ্রমিকদের  আন্দোলন ও হরতালের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে৷ প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, চীনা সরকার কড়া  হাতে  সেই শ্রমিক আন্দোলন দমন করেছে ও সেই  আন্দোলনের সকল শ্রমিক নেতাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

দাদাঠাকুরের চিঠি - শৃঙ্খলা

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, সুক্লে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ঢ নোংরা করবে না৷

পরিবেশ ও আমরা

প্রবীর সরকার

পরিবেশ ভাবনা আজ  বিশ্বজুড়ে৷ পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য  নয়৷ আকাশ ,মাটি, সাগর নদী বন জঙ্গল, জলজ ও স্থলজ উদ্ভিদ , পশু-পক্ষী, কীট পতঙ্গ, সবার আছে এ বিশ্বে সমান অধিকার৷ কাউকে  বাদ দিয়ে চলার উপায় নেই৷  কাউকে  ধবংস করে চলার  চেষ্টা মানেই  প্রাকৃতিক  অবস্থার  ভারসাম্য  হারানো৷ যেহেতু  মানুষ সৃষ্টির সবচেয়ে উন্নত জীব তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার  দায়িত্ব রয়েছে তার বেশী৷